বিহার দানের মত মহাদান করতে গিয়ে সংঘ বিচ্ছেদের মতো মহা পাপ করলে তা হবে তলাবিহীন ঝুড়ির মতো- ঠিক তেমনি পঞ্চশীল আর অষ্ট শীলের ব্যাখ্যা দুই ভাবে দেয়া যেতে পারে – ভীষম খাবেন না – কেউ শুধু মাত্র তার বর্ননা করতে পারবেন কুশল আর অকুশল ভেদে আর কেউ দিতে পারবেন তার বিশ্লেষণাত্নক ব্যাখ্যা কার্যকারণ নীতির মাধ্যমে। অর্থাৎ পঞ্চশীল আর অষ্টশীলকে কেউ বুঝতে শিখেছেন কুশল ও অকুশল ভেদে আর কেউ বুঝতে শিখেছেন অভিধর্ম ভেদে। এই দুই স্তরের ব্যক্তিদের মধ্যে বিবাদ হওয়াটা অস্বাভাবিক কি? দুটোই কিন্তু ত্রিপিটকেই বিশ্লেষিত প্রথম টি সুত্র পিটকে আর ২য়টি অভিধর্ম পিটকে। সাধারণতঃ প্রথম ধরনের ব্যাখ্যাই শোনা যাবে সচরাচর এবং সেক্ষেত্রে অন্যটি শোনা গেলে প্রথমে দৃষ্টি কটু লাগাটাই স্বাবাভিক নয় কি? করুনা সম্পত্তিতে উক্ত – প্রজ্ঞা আর কলুর বলদের মধ্যে একটা বিরাট পার্থক্য রয়েছে। সাধারনের কাছে সত্য যে বহুমুখী তা অজানা নয় – তাই আমরা এক এক জন এক একেক রকম ভাবি – আর সেটাই সত্য বলে বিশ্বাস করি। জগতের সকল প্রানী সুখী হউক।