পরম সত্য বোধিজ্ঞান কিংবা জন্ম-মৃত্যহীন পরম সুখময় নির্বাণকে লাভ করতে হলে বিদর্শন ভাবনার প্রয়োজন আর তা শুরু করার আগে যা পাঠ করতে হয় তাকে বলে আরক্ষা পাঠ যা নিম্নরূপঃ
১। ত্রিশরণ গ্রহনঃ বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের শরণ গ্রহন করছি। দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বার …………।
২। কর্মস্থান প্রার্থনাঃ সর্ববিধ দুঃখ হতে মুক্তি লাভ এবং নির্বাণ সাক্ষাৎ করার জন্য বিদর্শন কর্মস্থান যাচনা বা প্রার্থনা করছি।
৩। শীল গ্রহনঃ গৃহী ৫শীল বা ৮শীল, শ্রমণ হইলে ১০ শীল, ভিক্ষু হইলে ২২৭ শীল এবং ভিক্ষুনী হইলে ৩১১ শীল প্রতিপালন করিতে হইবে। শীল ধ্যান বিষয়ের ভিত্তি বলিয়া গন্য।
৪। ক্ষমা প্রার্থনাঃ ইহজন্মে ও অতীতে ভুলবশতঃ, প্রমাদে কায়-বাক্য-মনে বুদ্ধ, ধর্ম, সংঘ, আর্য, মাতা-পিতা এবং গুরুজনদের প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করিয়া থাকিলে সজ্ঞানে নতশিরে ক্ষমা ভিক্ষা করছি, ক্ষমা ভিক্ষা করছি, ক্ষমা ভিক্ষা করছি।
৫। পূন্যদানঃ সহস্পতি মহাব্রক্ষ্মাসহ ব্রক্ষ্মলোকে যত ব্রক্ষ্মসত্বগন আছেন, দেবরাজ ইন্দ্রসহ দেবলোকে যত দেবগন আছেন, মহা ঋদ্ধিসম্পন্ন দেবতা – পৃথিবীর সব আকাশবাসী, ভূমিবাসী, বৃক্ষবাসী, সাগরবাসী, জলবাসী, স্থলবাসী, চার লোকপাল দেবতা, ভূত, যক্ষ, সবাইকে মৈত্রী ও সঞ্চিত পূণ্যরাশি দান করছি, তারা যেন সুখে থাকেন এবং আমাকে যেন সুখে রক্ষা করেন।
৬। সংকল্প গ্রহনঃ আমার এই শরীর ৩২ প্রকার অশুচিতে পরিপূর্ণ। দুঃখ হইতে বিমুক্তির কারণে নির্বান লক্ষে বিদর্শন ভাবনা করার সংকল্প গ্রহন করিতেছি।
৭। যোগী নিজেকে বিদর্শন আচার্যের নিকট সম্পুর্নভাবে সমর্পন করিবেন যাহাতে আচার্য যোগীর সঙ্গে দ্বিধাহীনভাবে ভাবনা বিষয়ক আলোচনা বা পথ নির্দেশ করিতে পারেন যদি কোন যোগী তাতে অসমর্থ হন তবে তিনি অন্ততঃ আচার্য্যের নির্দেশ ও উপদেশ অনুযায়ী ভাবনা কার্য অনুশীলন করিবেন।