তৃতীয় পর্ব…..
গুরু ঠাকুরের স্মৃতি মন্দিরের উত্তর দিকে,ডাবুয়া খালের পুর্ব পাশে ইসহাকের মা’র ঘোনা নামে কিছু চাষের জমি ছিল,সেই নাম এখন ও বিদ্যমান আছে।তখনকার সময়ে সেই ঘোনায় এক কৃষক আখ ক্ষেতের চাষ করে।আখ যখন লম্বা হয় তখন ক্ষেতের মধ্যে শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে যায়,শিয়াল প্রতি রাতে এসে আখ খেয়ে ফেলত।এই অবস্তা দেখে ক্ষেতের চারপাশে ঘেড়া দিল কৃষক।তারপর ও শিয়াল এসে আখ খেয়ে ফেলত।কৃষক অতিষ্ঠ হয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলেন,এইখানে তো গুরু ঠাকুর নামে এক সাধুবাবা থাকে,উনি নাকী অনেক কেরামতি জানেন,ওনাকে গিয়ে বললে হয়ত আমাকে সুপরামর্শ দিতে পারে,আমি যেন শিয়ালের অত্যাচার থেকে আমার আখের ক্ষেতটা রক্ষা করতে পারি।যে ভাবা সেই কাজ।কৃষক ক্ষেত হতে বেড়োতেই দেখে,গুরু ঠাকুর জমির আঁইলের পথ ধরে হেঁটে চলে যাচ্ছে।কৃষক তাড়াতাড়ি দৌঁড়ে গিয়ে গুরু ঠাকুরের সামনে গিয়ে দাড়াঁতেই, গুরু ঠাকুর বলতে লাগলেন যে খাঁইবু ইতি দাম দিবু,যে খাঁইবু ইতি দাম দিবু এই কথা পুনঃ পুনঃ বলতে বলতে চলে গেলেন।এদিকে কৃষক ভাবতে লাগলেন আমার কথাটা ও বলতে পারলাম না আর উনি কী বলে গেলেন তার অর্থ ও বুঝতে পারলাম না।কৃষক আশাহত হয়ে আবার ক্ষেতে ফিরে এসে ভাল করে ঘেড়া দিয়ে চলে গেলেন।পরের দিন সকালে ক্ষেতে এসে দেখে সামন্য একটা সুতায় জীবন্ত একটা শিয়াল আটকে গেছে।এই খবর মূহর্ত্বেরর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে,এবং দলে দলে উৎসুখ জনতা জীবন্ত শিয়ালটিকে এক নজর দেখতে আসে।সেই সময় কুন্ডেশ্বরীর পাশে এক কবিরাজের ঔষধ তৈরি করার জন্য,জীবন্ত শিয়ালের প্রয়োজন হয়।আর এইদিকের জীবন্ত শিয়াল ধরার খবর ঐ কবিরাজের কাছে চলে যাই।কবিরাজ এসে কৃষক কে বলল আপনি যত টাকা চাইবেন আমি দিতে রাজি আছি,বিনিময়ে আমাকে শিয়ালটা দেন।কৃষক তখন শিয়ালটা কবিরাজের কাছে বিত্রুী করে দিলেন এবং যে টাকা পেলেন,ক্ষেতের সব আখ বিক্রী করে ও এত টাকা পাওয়া যেত না।তখনি তার সাধু বাবা গুরু ঠাকুরের কথা মনে পড়ে গেল,এবং বুঝতে পারলেন গুরু ঠাকুরের সেই কথার মর্মার্থ
“যে খাঁইবু,ইতি দাম দিবু”
এটা ও দেখতে পারেন
গৌবিন্দ ঠাকুরের অলৌকিক জীবন কাহিনী-সংগ্রহে বকুল বড়ুয়া
দ্বিতীয় পর্ব- কথিত আছে মুষল ধারে বৃষ্টির মধ্যে বিনা ছাতায় শুস্ক বস্ত্রে তিনি বিচরণ করতেন।সকলের …