বুদ্ধ সমকালীন যাঁরা ধনী বা শ্রেষ্ঠী ছিলেন, বুদ্ধ তাঁদেরকে প্রশংসা করেননি প্রকৃত ধনী বলে। দীন-দরিদ্র পথের ভিখারী হয়েও যাঁরা ‘শ্রদ্ধা, শীল, লজ্জা, ভয়, শ্রুতি, ত্যাগ ও প্রজ্ঞা’ এই সপ্ত আর্যধনে ধনী ছিলেন, তাঁদেরকেই তিনি যথার্থ ধনীপদে ভূষিত করতেন। যেমন উদাহরণ স্বরূপ-দীন-দরিদ্র কুষ্ঠরোগী সুপ্রবুদ্ধ। তার কারণ কি? যেহেতু এই সপ্ত আর্যধন ক্লেশ নিবারক, চিত্তশান্তি প্রদায়ক, জরা-ব্যাধি-মৃত্যুর সংহারক ও নির্বাণ সংবর্তক। পরম শাশ্বত সুখের জন্যে মুক্তিকামী মানুষের যেই আয়াস, তা একমাত্র এই আর্যধনেই সুলভ্য। অপরদিকে স্থাবর জঙ্গম প্রভৃতি সম্পত্তির মালিক হয়ে শত ধনীশ্রেষ্ঠী হলেও তাতে দুঃখ বৈ সুখের আশা করা যায় না।
শ্রদ্ধার শ্রেনী বিন্যাস করতে গিয়ে একে ‘আগম, অধিগম, অকম্পন ও প্রসাদ’ ভেঙ্গে চারিধায় ভাগ করা হয়েছে। আগম শ্রদ্ধা বোধিসত্ত্বগণের নিকট বিদ্যমান থাকে। তাঁরা যেদিন প্রার্থনা স্থাপন করেন, সেদিনই অধিষ্ঠান করেন যে- আমাকে দানাদি সমত্রিংশ পারমী পূর্ণ করতে হবে। দানাদি পারমী পূর্ণ করা বোধিসত্ত্বগণের অবশ্যই কর্তব্য। পারমীর পূর্ণতা সাধন না হলে বোধিজ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। তাই যতদিন পারমীর পূর্ণতা সাধন না হয়, ততদিন যাবৎ শ্রদ্ধাকে পুরোভাগে রেখে তাঁরা পারমী সকল পূর্ণ করেন। সুমেধ তাপস কালেও দেখা যায়-গৌতম বোধিসত্ব সংসারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে অশীতি কোটি ধন-বিভব পরিত্যাগ করে ঋষি প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর যদি ঐকান্তিক শ্রদ্ধা না থাকত, তবে এত ধন ত্যাগ করে ঋষি প্রব্রজ্যা গ্রহণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হতো না। সুতরাং বোধিসত্ত্বগণের বোধিজ্ঞান লাভের জন্য যেই শ্রদ্ধা বলবৎ থাকে, উহা আগম শ্রদ্ধা নামে অভিহিত। সাধনাকালীন যতদিন সাধকের লোকোত্তর মার্গফল বা নির্বাণ সাক্ষাৎ না হয়, তাবৎ অচল অটলভাবে শ্রদ্ধা সহকারে ধ্যানের অনুশীলন করার নাম- অধিগম শ্রদ্ধা। বুদ্ধাদি শ্রদ্ধেয় বস্তুর প্রতি বা গুণের প্রতি প্রসন্ন হয়ে যে অচঞ্চল শ্রদ্ধার উদ্রেক হয়, উহাকে বলে- অকম্পন শ্রদ্ধা। সাধারণতঃ ত্রিরত্নের নাম শ্রবণের সাথে সাথে যে চিত্ত প্রসন্নতা উৎপন্ন হয়, উহাকে বলে- প্রসাদ শ্রদ্ধা।
নির্বাণ ধর্মে যাঁর একান্ত বিশ্বাস আছে, তিনি নিশ্চিত নির্বাণ সমীপেই অবস্থান করেন। নির্বাণ তো আর এত সুখলভ্য নয়। নির্বাণকে সহজ লভ্যের কারণে সাধক আত্মসংযম অবলম্বন করেন। শীলের মাধ্যমেই আত্মসংযম সম্ভব। মানবের চরিত্রকে দৃঢ়তর করবার শীলই একমাত্র উপায়। শীলে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে ত্যাগ ধর্মের মাধ্যমে তাঁরা দেবত্ব গুণ অর্জন করেন। তাঁরা তখন যাবতীয় পাপকাজ সম্পাদনে লজ্জা ও ভয় উৎপাদন করেন। উৎপন্ন অকুশল বর্জনের জন্য সতত চেষ্টিত থাকেন। তারপর বুদ্ধ দেশিত বাণী সমূহ হৃদয় প্রাণ দিয়ে গ্রহণ করেন। শ্রুত বিষয়ে জ্ঞান উৎপন্ন হলেই তখন চারি আর্যসত্যে বোধ জন্মে। চারি আর্যসত্যের যখন সমাধান হয়, তখনই জন্ম জরা ব্যাধি ও মরণ দুঃখের চির অবসান হয়। সুতরাং একটি মাত্র শ্রদ্ধাকে ভিত্তি করলে অপরাপর ছয়টিধর্ম- শীল লজ্জা ভয় শ্রুতি ত্যাগ প্রজ্ঞা অবলীলাক্রমে এসে পড়ে। তাই বুদ্ধ বলেন- যাদের নিকট এই সাতটি ধন বিদ্যমান- তারা অবশ্যই আর্যধনে ধনী এবং তারাই নির্বাণ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। একদা শারিপুত্র স্থবির দেশনাচ্ছলে শ্রেষ্ঠী অনাথপিন্ডিককে বলেছিলেন-
হে গৃহপতি, অশ্রুতবান পৃথগ্জনের কাছে সপ্ত আর্যধন নাই। তারা এর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে না। এই সপ্ত আর্যধনের প্রতি তারা তেমন বিশ্বাসও রাখে না। তাই তারা এই জীবনে ধনী আখ্যা লাভের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হয় এবং মরণান্তে তাদের দুর্গতিই আশা করা যায়। দুর্গতি বলতে বুঝায়- চারি অপায়। পক্ষান্তরে সপ্ত আার্যধনে ধনী শ্রুতবান আর্যশ্রাবক কল্যাণ পৃথকজন ধনী আখ্যা লাভের গৌরব অর্জন করেন এবং মরণান্তে তাঁদের গতি একান্তই সুগতিমূখী। তাঁদের জন্য অপায় দ্বার চিররুদ্ধ। এই প্রসঙ্গে অঙ্গুত্তর নিকায়ে আরও উল্লেখ আছে- এই সংসারে যাঁরা পরমার্থ মানবরূপে ভূষিত তাঁরা উপরোক্ত সাতটি ধনে অধিষ্ঠিত থাকেন। এই সাতটি ধন মহামানবতা অর্জনের পরম সহায়ক। মরণের পর যাঁরা ঊর্ধ্বতন দেবলোকে জন্ম নিয়ে অপরিসীম দিব্যসুখ ভোগ করছেন, মর্তধামে তাঁরা নিশ্চিত এই সাতটি আর্যধন থাকে, তাঁরা অবশ্যই ধনী এবং তাঁদের জন্ম ধারণই সার্থক। আমি এক্ষেত্রে সকলের অবগতির জন্য সপ্ত আর্যধনের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করবো-
(ক) শ্রদ্ধাধনঃ- শ্রদ্ধা মানে একান্ত বিশ্বাস। কিসে বিশ্বাস? এই জীবন অনিত্য দুঃখ অনাত্মময়। জীবন মুক্তির শ্রেষ্ঠতর অয়ন-মার্গ আছে। মুক্তি আছে, নির্বাণ আছে। দান-যজ্ঞ আছে, মাতা-পিতার সেবা আছে, সেবার ফল আছে, সুকৃত-দুষ্কৃত কর্মের ফল-বিপাক আছে, ইহলোক-পরলোক আছে, স্বর্গ-নরক আছে, অনন্ত গুণ সম্পন্ন বুদ্ধ ও তাঁর দেশিত নির্বাণ ধর্ম এবং ধর্মের অনুসারী ভিক্ষু-সংঘ আছেন। শীল-সমাধি-প্রজ্ঞার উদ্বোধনের প্রয়োজনীয়তা আছে ইত্যাদি। এই কয়টি বিষয়ে যাঁদের একান্ত বিশ্বাস আছে, তাঁদের পক্ষে সম্যকভাবে জীবন পরিচালনার তেমন কোন অসুবিধা হয় না। এর ফলে তাঁদের সৎদৃষ্টি ফিরে আসে, মিথ্যাদৃষ্টির অবসান হয়। জীবন সুন্দর পবিত্র ও উজ্জ্বল হয় এবং নির্বাণ মার্গের সন্ধান লাভ করে।
(খ) শীলধনঃ- শীল মানবের অমূল্য সম্পদ। শীল পালনে আনন্দ এবং লংঘনে অনুতাপ উৎপন্ন হয়। শীল সম্পদে মানুষকে পবিত্র মহান ও শ্রেষ্ঠতর করে। আর্য প্রশংসিত শীলের প্রতি যাদের একান্ত অনুরাগ বা বিশ্বাস বিদ্যমান থাকে, তারা অতি গৌরবের সাথে শীল সমূহ পালন করেন। শীল লংঘন জনিত অনুতাপ তাদের ভোগ করতে হয় না। সাধারণতঃ গৃহী জীবনে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল পালনের নির্দেশ আছে। আর্য গৃহীরা ঐ শীল সমূহ জীবন-প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেন। শীলবানেরা মরণান্তে সুগতি স্বর্গলোকে জন্ম নেন আর দুঃশীল মানব চারি অপায়ে বা গরু ছাগল কুকুররূপে জন্ম নিয়ে অসীম দুঃখ ভোগ করে।
(গ-ঘ) লজ্জা ও ভয়ধনঃ- ‘হিরোত্তপ্পং লোকং পালেতি’ লজ্জা ও ভয় এই দু’টি ধর্ম পৃথিবী রক্ষা করে। পাপের প্রতি লজ্জা-ভয়, পুণ্যে শ্রদ্ধা ও উৎসাহ মানুষকে উর্ধ্বদিকে নিয়ে যায়। যারা দানাদি সুকর্মকে কুকর্ম এবং প্রাণী হত্যাদি কুকর্মকে সুকর্ম বলে বিবেচনা করে, তখন বুঝতে হবে যে- তাদের মানবতা বোধের অভাব ঘটেছে। লজ্জা-ভয়হীন মানুষ পশু সমতুল্য। শাস্ত্রে ছোট-বড় যে কোন পাপকাজে লজ্জা ও ভয় করবার আদেশ-নির্দেশ আছে কিন্তু পুণ্য কাজে তেমন নিষেধাজ্ঞা নাই বরং প্রীতমনে তা সম্পাদনের আবেদন আছে। যেহেতু পুণ্যই সুখের উৎস। আমরা অনেক ক্ষেত্রে মোহের তাড়নায় আসল সত্যকে ভুলে যাই। ফলে লজ্জা-ভয় না করবার বিষয়টিকে লজ্জা-ভয় করি আর লজ্জা-ভয় করবার বিষয়টিকে লজ্জা-ভয় করি না। পাপ কাজে বাধা দেওয়া এবং পুণ্যকাজে উৎসাহিত করা জ্ঞানীর লক্ষণ। যদি নিজের বিবেক দিয়ে বুঝতে পারে যে- ‘ইহা পাপ জনক, নিন্দা-জনক, ইহা সম্পাদনে ভয়ের কারণ আছে, ইহা সুগতি সংবর্তক, ইহা নিরয় সংবর্তক ও দুঃখ দায়ক।’ এভাবে উভয়টির ভাল-মন্দ বুঝতে পারলে উন্নত মানব জীবন সংগঠনের উপায় সহজতর হয়। লজ্জা ও ভয়শীল মানুষ কখনো পাপকাজ করতে পারেনা। তারা সর্বদা পবিত্রভাবেই জীবন যাপন করে।
(ঙ) শ্রুতধনঃ- শ্রুতধন মানবের এক বিরাট সম্পদ। শ্রুত বলতে বুঝায়-বুদ্ধের মুখ নিঃসৃত বাণী সমূহ হৃদয়-প্রাণ দিয়ে গ্রহণ করা। তিনি যে সর্বপ্রাণীর হিতার্থে ৮৪ হাজার বাণী প্রচার করেছেন, তার সদর্থ জ্ঞাত হয়ে জীবনে অনুশীলন করা। যাবতীয় অকুশল বর্জন এবং কুশল অর্জন করা শ্রুতশীল ব্যক্তির প্রধানতম লক্ষণ। পাপকে বর্জন করা, সদ্কাজের অনুষ্ঠান করা শ্রুতশীল ব্যক্তিরই একমাত্র সম্ভব। বুদ্ধের প্রত্যেক বাণী নির্বাণ রস যুক্ত। বিমুক্তিবাণী যাদের বহুলভাবে আয়ত্ব বা অধিগত, তারা অবশ্যই শ্রুতধনে ধনী। ভগবান তথাগত তাদেরকে প্রশংসা করেছেন- যেই ভিক্ষু বা ভিক্ষুণী উপাসক বা উপসিকা বুদ্ধোপদিষ্ট বাণী সমূহ শ্রবণ করে হৃদয় কোষে সঞ্চিত করে রাখেন এবং তা জীবনে রূপায়িত করতে সচেষ্ট হন। শ্রুতশীল মানবের কাছে বুদ্ধ-দেশিত জটিল বিষয়- চারি আর্যসত্য, প্রতীত্য সমুৎপাদ, ত্রিলক্ষণ, সপ্তবোধ্যঙ্গ, পঞ্চেন্দ্রিয়, পঞ্চবল, আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ সমূহ দুর্বোধ্য বলে বোধ হয় না। উহা অতি সহজতরভাবে গ্রহণ করতে তারা সমর্থ হন। শ্রুতশীল মানবকে তিনি আর্যশ্রাবক নামে অভিহিত করেছেন। যেহেতু আর্যশ্রাবক বিনা বুদ্ধের ধর্ম উপলব্ধি করা বড়ো কঠিন। বুদ্ধ সেবক আনন্দ স্থবির এই মহান গুণের অধিকারী ছিলেন।
(চ) ত্যাগধনঃ- ত্যাগ মানে স্বত্ত্ব বা স্বার্থ ত্যাগ। এই সংসারে আপন স্বার্থ ত্যাগ করা বা স্বার্থ ত্যাগে প্রণোদিত হয়ে জীবন গঠন করা কম সহজ কথা নয়। ত্যাগশীলতা অর্জন করতে হলে তাকে সর্বপ্রথম মৈত্রীধর্মে অধিষ্ঠিত থাকতে হয়। সর্বপ্রাণীর প্রতি মৈত্রীধর্ম থাকলেই ত্যাগধর্ম পরিপূর্ণ করা যায়। মৈত্রীহীন হৃদয়ে কখনো ত্যাগ মানসিকতা আসতে পারে না। যেমন পুত্রের প্রতি মাতার অপরিসীম স্নেহ-মমতা ও দয়া-দাক্ষিণ্য বিধায় মাতা পুত্রের জন্য সবকিছু ত্যাগ স্বীকার করতে বাধ্য থাকে। তেমন অন্যসব প্রাণীর প্রতি যাদের প্রেম-মৈত্রী আছে তারা দান বা স্বার্থত্যাগে কখনো কুণ্ঠিত হয় না।
ত্যাগের অন্য অর্থ- কিছু দিয়ে মনের পবিত্রতা সাধন করা। ত্যাগ বিনা কেহ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারে না। আপন স্বার্থ পরের সুখের জন্য বিলিয়ে দেওয়া কম সহজ কথা নয়। মহৎ হৃদয়ে সবকিছু ত্যাগ করা যায়। কিন্তু সংকীর্ণ হৃদয়ে তা কখনো সম্ভব নয়। সর্বদা তাদের হৃদয়ে সংকোচতার প্রাবল্যই বিদ্যমান থাকে। তাই তারা মহত্বের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না। উদার হৃদয় ত্যাগ পরায়ণ মানুষ সর্বজনের নন্দিত ও পুজিত হন। অপরদিকে দাতার নাম দেবতা। তাই ত্যাগধনে ধনী হওয়া সকল মানবের একান্তই কর্তব্য।
(ছ) প্রজ্ঞাধনঃ- বৌদ্ধ সাহিত্যে বা দর্শনে প্রজ্ঞার স্থান অতি উচ্চে। প্রজ্ঞার উদ্বোধন হলেই মানুষ নির্বাণ-মুক্তি লাভ করতে পারে। অন্ধ মানুষ যেমন পৃথিবীর কোন স্বরূপ বুঝতে পারে না তেমন প্রজ্ঞাহীনের পক্ষে বুদ্ধের ধর্ম বা দর্শন উপলব্ধি করা অথবা দেহতত্ত্ব মনস্তত্ব বা কার্যকারণ নীতি হৃদয়ঙ্গম করা সহজ বোধ হয় না। এই পঞ্চস্কন্ধ দেহের উৎপত্তি স্থিতি ও ব্যয় সম্বন্ধে যথাযথ জানাই প্রজ্ঞার লক্ষণ। দেহতত্ত্ব সম্বন্ধে জানতে হলে ভাবিত চিত্তের প্রয়োজন। চিত্তকে একমাত্র ভাবিত করতে পারে শমথ ও বিদর্শন ভাবনার মাধ্যমে। এই দু’টি বিদ্যাভাগীর বিষয়। অবিদ্যায় ঢাকা মানুষ সত্যাসত্য ভাল-মন্দ বুঝতে পারে না। যতদিন মানবের চারি আর্যসত্যে বোধ না জন্মে, ততদিন মানুষকে এই ভব সংসারে পরিভ্রমণ করতে হয়। যথাযথ প্রজ্ঞা উৎপন্ন হলেই চারি আর্যসত্যে বোধ জন্মে এবং সেই বোধের কারণেই জন্মের চির অবসান হয়। সুতরাং প্রজ্ঞাধন আযত্ব করা মুক্তিকামী মানুষের অবশ্যই কর্তব্য।
নিজের আলোকে আলোকিত হতে
জ্বালাও প্রজ্ঞাজ্যোতি
তোমারি সাধনা মুক্তির পথে
আনিবে পরম গতি।
এটা ও দেখতে পারেন
খুব সংক্ষেপে মহাসতিপট্ঠান সহায়িকা
একূশটি উপায়ে অরহ্ত্ত্ব লাভের উপায় তথা কর্মস্থান সংযূক্ত গভীর অর্থসংযুক্ত মহাসতিপট্ঠান সূত্তI এখানে একুশটি উপায়ে …