রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামীলীগের নৌকা কোন দিকে যাচ্ছে? রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বাবু স্বজন কুমার তালুকদার। অনেকে হাসছেন – অনেকে ভাবছেন – নির্বাচন বলে দেবে, হবে ভরাডুবি বলে অনেকের ধারনা হলে ও তেমনটি ভাবছি না।
২১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাকে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নেত্রী কিংবা নেত্রীর মতো অবস্থায় থেকে যখন কেউ এরকম কোন সিদ্ধান্ত নেন – সে সিদ্ধান্ত কিভাবে নেন – যেমন
১) রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করা হয়। এরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জহির আহমদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক স্বজন কুমার তালুকদার ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম চিশতি।
মনোনয়নের ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রেরিত তিনজনের নাম জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর প্রেরণ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগ তা কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে প্রেরণ করে।
২) বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হয়েছে মন্ত্রী হাসান মাহামুদ এবং বিপ্লব বড়ুয়ার মাধ্যমে – প্রশ্ন হচ্ছে ক) যে স্বজন কুমার তালুকদার ভালো করে শুদ্ধ বাংলায় এক প্যারাগ্রাফ কথা বলতে পারে না, মাতাল, বৌদ্ধদের জন্য মীরজাফর, দুর্নীতিবাজ বলে বিভিন্নভাবে প্রমানিত তাকে কেন মনোনীত করা হলো। খ) শুনেছি বিপ্লব বাবু এবং মন্ত্রী হাসান প্রমান করতে চেয়েছেন তারা বড়ুয়াদের পক্ষে কাজ করেন এবং সেভাবে জননেত্রী কে বুঝিয়েছেন এবং মদতি স্বজন তালুকদারকে মনোনীত করেছেন – বেশ ভালো কথা মেনে নিলাম তাই – সে ক্ষেত্রে বড়ুয়াদের মধ্যে স্বজন তালুকদারের চেয়ে তো অনেক ভালো লোক ছিলো তাদের বাদ দিয়ে এ অপদার্থকে কেন মনোনীত করলেন? তাতে তো বড়ুয়াদের দুর্নাম হবে এবং ভবিষ্যতে বড়ুয়াদের মধ্যে যারা সম্ভাবনাময় তাদের কপালে ছাই ছাড়া অন্য কিছু জুটবে না। এভাবে কি জাতীর মংগল সাধিত হয়? দুই মনোনীত ৩ জনের মধ্যে ও স্বজন তালুকদার সবচেয়ে নিকৃষ্ট – এ ধরনের কাজ কি আওয়ামী লীগের জন্য মঙ্গলকর? এতে আওয়ামীলীগের প্রতি মানুষের শ্রধ্যা বাড়বে নাকি কমবে? ওরা আসলে কি চাইছে? ঘরের শত্রু বিভিষন নয় কি? নেত্রীকে এই ভুল বোঝানোর দোষ কার ঘাড়ে চাপানো উচিত? গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই বাঁ কি করছে? এরকম খবরের সত্যতা যখন নেত্রী পর্যন্ত পৌছাতে পারছে না – নাকি তারা পৌছাতে চায় না? নাকি তারা ও অতিষ্ঠ হয়ে গেছে? এভাবে চললে কতদিন চলবে নৌকা? আর ও একবার কি ৭৫ দেখতে হবে? এ লজ্জা কার? তোরা আবার মানুষ হ। এমন কেউ কি আর অবশিষ্ট নেই যিনি জননেত্রীকে এই ধরনের খবরগুলো পৌছে দেবেন –তার হাতকে শক্তিশালী করে মানবতার জয় সুনিশ্চিত করবেন???