ফেইসবুক হচ্ছে যোগাযোগের মাধ্যম। অতএব ফেইসবুকে ধর্ম করা যাবে এ বিষয়ে মতবিরোধ নেই। ঠিক তেমনি করা যায় অধর্ম। অনেকের প্রশ্ন হচ্ছেঃ ভিক্ষুদের ফেইসবুক ব্যবহার বিনয়সম্মত কিনা? এ রকমি একটা প্রশ্নে শুনেছি – ভিক্ষুদের ফোন ব্যবহার করা ও নাকি বিনয় সম্মত নয়। আর ও বললেন, তবে কথা আছে মূল বা অরহত ভিক্ষু যিনি তিনি ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না কিন্তু উনার শিষ্যগন ফোন ব্যবহার করতে পারবেন – অতএব আপনি ফোন করলে উনার শিষ্য ধরবেন তারপর আপনি যা বলবেন তা সে শিষ্য অরহতকে বলবেন। এই যদি হয় বিনয় তবে প্রশ্ন হচ্ছে তার মানে বিনয় কি শুধু মুল বা অরহত ভান্তেদের জন্য? তিনি অরহত হবেন আর তার শিষ্য গোল্লায় যাক। রাজাধিরাজ। ফোন ব্যবহার করে একজন যখন খুনের কজে লিপ্ত হয় তাকে বলে খুনি বা অমানুষ আর যিনি ধর্মদান বা অর্থদান করে কল্যান সাধন করে তাকে বলে মানুষ।মানুষ নির্বান না পাওয়া পর্যন্ত ভুল করবে তাতে সন্দেহ নেই কিন্তু একজন ভালো মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করে নিজেকে পরিশোধিত করে আর অজ্ঞানী ভুলকে প্রতিপালন করে।এখানে উল্লেখ প্রয়োজন প্রকৃত অরন্যচারী ভিক্ষু – নির্বানি যার লক্ষ্য তার মোবাইল কেন লোকালয়ের সব কিছুই ত্যাজ্য এবং তার ক্ষেত্রে তা বিনয় বহির্ভুত। সে ক্ষেত্রে সে ধরনের ভিক্ষুরা সিংহাসনে ও বসবেন না। অর্থ ছোবেন না, বিত্তের বাসনা থাকবে না, উচ্চাশয়না, মহাশয়ানা ও থাকবে না, কারো নাম ধরে সমালোচনা করে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করবেন না – কারন তারা পাপকে ঘৃনা করেন পাপীকে নয় সে কারনে। আর যদি নাম ধরে করে ও থাকেন তবে তা কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নয় তাকে সমাজ থেকে বের করে দেয়ার জন্য নয় বরং তার মংগলার্থে। সমাজে দলাদলি, সংঘাতের সৃষ্টি করবেন না, এক পাড়ায় দুটি মন্দিরের জন্ম দেবেন না ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাতের নিমিত্তে। লেখা চলবে তবে অসভ্যভাবে নয়, গালাগালি করে নয়, কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নয়, পাপিকে ঘৃনা করে নয় তবে পাপকে ঘৃনা করে – একজন ভালো মানুষের মত কিন্তু জংগি ধার্মিকের মত নয় উপরন্তু সাধারন মানুষকে ভন্ডদের চিনতে সাহায্য করার চেয়ে বড় ধর্ম আর কি হতে পারে?❤️
![](http://news.nirbankami.com/wp-content/uploads/2019/11/complainandwishdom-500x330.jpg)