১ম পর্বের লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/barua910/posts/10156516571084302
দান বা ত্যাগ শুধু একটি শব্ধ নয় বলা যেতে পারে মুলার্থ যেমন যদি ত্যাগ করতে পারেন- তবে লোভ, দ্বেষ, মোহ এর অবসান হলে যা প্রজ্ঞা ব্যতিরেকে সম্ভব নয় তবে তো দুখের নিবৃত্তি হয়ে নির্বান লাভ হওয়ার কথা যা এক লাফে সম্ভব নয় তাও আপনারা জানেন তবে কেন মিথ্যা ব্যাখ্যা দান। বাশের কথাটা এ লেখার শেষে উক্ত।
অনেকে বলেন, আপনার মত ২/১ জন যদি এভাবে এগিয়ে আসতো আমাদের সমাজ আর গরীব থাকতো না। কথাটা হয়তো আংশিক সত্য কিন্তু ভেবে দেখুন আমাদের সমাজে আর ও কত লোক মহা দান করেছে – যেমন বটন বাবু, রানা বাবু (এ লিষ্টটা অনেক বড়) আর আজ যখন তাদের প্রয়োজন তখন কিন্তু তাদের পাশে আমরা কেউ নেই – ভেবে দেখবেন আবার অন্য পক্ষে যেমন পাহাড়তলী গ্রামের রুপম বাবু, কাজল বাবু (এ লিষ্টটা অনেক বড়) এরা যা করেছেন তা অসামান্য কিন্তু এদের কতটুকু মূল্যায়ন আমরা করেছি এবার আসুন ভিক্ষুদের মধ্যে যেমন শ্রদ্ধেয় বিশুদ্ধানন্দ ভান্তে (এ লিষ্টটা অনেক বড়) যা করেছেন সে সম্পর্কে নিশ্চই কেউ অমত নন কিন্তু আমরা তো জানি তার মৃত্যুর এতদিন পরে ও আমরা তাকে তো ঠিকমত মূল্যায়ন করতে পারিনি এমনকী তার শশ্নান এখন ও অবহেলিত। আর এ বিষয়গুলো যখন লিখি তখন দেখা যায় এ লেখাগুলো কিছু মানুশ গ্রহন করতে চায় না শুধু তাই নয় তারা উপদেশ পাঠায় অন্যের দোষ না ধরার কথা – সেটা ও ভুল ব্যাখ্যা কারন এ লেখাগুলোতে কোণ ব্যাক্তির দোষ ধরে লেখা হয় না বরং শুধু পাপকে ঘৃনা করা হয় পাপীকে নয় মহা করুনা সম্পত্তিতে – এতে বোঝা যায় এ সংঘবদ্ধ চক্র কতটা অপব্যাখা এবং ধর্মের বেসাতিতে জড়িত।
আমাদের দানের সিংহভাগ আমরা দান করি মন্দির আর ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে যেখানে কোটি কোটি মানুষ অর্ধাহারে, অনাহারে দিনাতিপাত করছে – সেটা কি বিনয়সম্মত? ভিক্ষুত্ব কি ভোগের জন্য? শুধু তাই নয় খোজ নিয়ে দেখবেন – এসব ভিক্ষুদের সিংহভাগের পাসপোর্ট/আইডি/ব্যাঙ্ক একাউণ্ট কিন্তু ভিক্ষু নামে নয় ব্যাক্তিগত নামে এবং অনেকে তা আবার প্রকাশ্যে ব্যবহার ও করেন আর আমরা কর্নপাত ও করি না তবে ভেবে দেখুন আপনার সে দান কি ভিক্ষুকে দিচ্ছেন না ভিক্ষু নামে ব্যবসায়ীকে দিচ্ছেন? এরকম হবার কথা ও ত্রিপিটকে ও উক্ত থাকার পরে ও যদি আমরা করি তার জন্য দায়ী কে? সাত কোটি বাঙালির হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি।
একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল তা ও আবার ঘটেছিলো ভাদ্র মাসে(মধু পুর্ণিমা), বুদ্ধ জীবিত থাকাকালিন ভিক্ষু সংঘ কুকর্মের জন্য দুই ভাগে ভাগ হয়েছিলো এবং বুদ্ধ তাই পারিল্যেয় বনে চলে গিয়েছিলেন তাদের ত্যাগ করে আর তীর্যক প্রাণী শুরু করেছিলো বুদ্ধের সেবা অর্থাৎ বুদ্ধ কিন্তু এ ক্ষেত্রে অলোকিক শক্তি দিয়ে ও সে ভিক্ষু সংঘের সমাধান কল্পে ব্রতী হন নি কারন হয়তো উলু বনে মুক্ত ছড়িয়ে লাভ কী। তবে এ বিবাদের অবসান তথা সংঘ মিলন কিভাবে হয়েছিল ? আনন্দের বিষয় সে সমস্যার সমাধান হয়েছিলো না দেওয়াতে অর্থাৎ উপাসক উপাসিকারা যখন সেই কুশীল ভিক্ষুদের দান করা বন্ধ করে দিয়েছিলো তখন বাধ্য হয়ে তারা বুদ্ধের শরনাপন্ন হয়েছিলেন। উল্লেখ্য সংঘ ভেদ শুধু আজ নয় বুদ্ধ জীবিত থকাকালীন ও ঘটেছে এবং যা করেছিলেন ভিক্ষু সংঘ এবং তাই বুদ্ধ ইহাকে মহাপাপ বলিয়া ও আখ্যায়িত করতে ভুলেন নাই।
বাশঃ দাতাদের কাছে অনুরোধ মনে রাখবেন যখন দান দেবেন সংগে কিছু টাকা গ্রহীতাকে অতিরিক্ত দেবেন যাতে তিনি কয়েকটি বাশ কিনতে পারেন যা পরবর্তীতে আপনাকে দেয়া হবে।
জগতের সকল প্রানী সুখী হউক। এখন দয়া করে কমেন্ট করার আগে মনে রাখবেন এটা পর্ব দুই অর্থাৎ অনেক কথা এখন ও বলা হয়নি অতএব অনেক বিষয় এই পর্বে অনুভূত হবে না অতএব কোন প্রশ্ন থাকলে ইনবক্স করবেন এবং আর ও তিনটি পর্বের অপেক্ষা করবেন। কোন ফেইক আইডি থেকে কোন কমেন্ট করবেন না কারন যিনি ফেইক আইডি ব্যবহার করেন তিনি ফেইক নন কি এবং ফেইক আইডি হলে তা রিপোর্ট করা ও ধর্ম করার সামিল।