গত ২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং ত্রিরত্ন সংঘের বাৎসরিক কার্যক্রম ত্রিরত্ন তীর্থযাত্রায় এবারের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিলো রামু ও কক্সবাজার। সংঘের এই তীর্থযাত্রার উদ্দেশ্য হল বৌদ্ধদের ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থান গুলো পরিদর্শন করানো ও স্থান গুলোর ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করানোর পাশাপাশি সকলের পূন্যরাশি সঞ্চয় ও সকলের মনে প্রশান্তি আনার সুযোগ করে দেওয়া যায়।
ত্রিরত্ন সংঘের প্রচেষ্টা থাকে এই তীর্থযাত্রায় সর্বাধিক মন্দির ও জাদী পরিভ্রমণ করানো। বর্তমান সময়ে কর্মব্যস্ততার মাঝে মানুষ দুর্গম দর্শনীয় স্থান গুলো ভ্রমণের সুযোগ লাভ করতে পারে না। এই চিন্তা মাথায় রেখে এই ভ্রমণে অনেক গুলো মন্দির ও জাদী পরিদর্শনের একটি পূর্ব পরিকল্পনা করা হয়।
তারি প্রেক্ষিতে এবারো এই ত্রিরত্ন তীর্থযাত্রায় রামু কক্সবাজারের মোট নয়টি মন্দির ও জাদী ভ্রমণ করানো হয়। এবারের তীর্থযাত্রা চট্টগ্রামের কাতালগঞ্জ নবপন্ডিত বিহার হতে তিনটি বাস সকাল ৫:৩০মিনিটে যাত্রা শুরু করে প্রথম ভূবনশান্তি ১০০ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মূর্তি ও মন্দির,লামার পাড়া রাখাইন বৌদ্ধ বিহার, লাওয়ে জাদী, রাখাইন পাড়া বৌদ্ধ বিহার, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার, লাল চিং,সাদা চিং ও রাংকুট বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করা হয়।
ঐতিহাসিক রাং-উ-কুট বনাশ্রম বিহারে সকল তীর্থযাত্রী মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সমবেত প্রার্থনা করে সঞ্চিত পূন্যরাশি সকল প্রাণীর মঙ্গল ও বিশ্বের শান্তি কামনায় দান করে।
ঐতিহাসিক মন্দির ও জাদী পরিদর্শন শেষ করে সকল তীর্থযাত্রীদের সমুদ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নিয়ে যাওয়া হয়।
কক্সবাজার হতে ৭:২০মিনিটে যাত্রা শুরু করে কাতালগঞ্জ নবপন্ডিত বিহারে এসে ত্রিরত্ন তীর্থযাত্রা ২০১৯ইং এর পরিসমাপ্তি করা হয়।
এই তীর্থযাত্রার সকলের জন্য পানি দান করে ত্রিরত্ন সংঘের পৃষ্ঠপোষক পতেঙ্গা থানার অফিস ইনচার্জ উৎপল বড়ুয়া।
সংঘের এই কার্যক্রম প্রতি বছর চলমান থাকবে।