গারবো চ,নিবাতো চ,সন্তট্ঠি চ,কতঞ্ঞতা,
কালেনা ধম্ম সবনং এতং মঙ্গল মুত্তমং।
👏👏👏👏👏👏👏 👏👏👏👏
কেন তুমি রইলে না?
যাপিত জীবনের যান্ত্রিক কোলাহল আজ থেকে পুনরায় চালু হল।সুখ ও আনন্দ যে চিরস্থায়ী নয় তা কিন্তুু বাস্তব।
ছুটি শুরু হওয়ার পর ১৩ ই আগষ্ট পর্যন্ত চিত্ত বড়ই চঞ্চল ছিল। তবে,১৪ ই আগষ্টে চিত্ত হয়ে গেল একেবারে শান্ত। কোন চঞ্চল পাখির কলতান ছিল না এই দিন। এই মন চপলা হরিণী একেবারে শান্ত সুবোধ বালকের মত চিত্ত নত করে বসেছিল শান্তার চরণ তলে।চিত্ত তখন একটি বাক্য বার বার উচ্চারণ করছিল।হে শান্তা শুধু একটি বার বলুন আদেশের সুরে। এই যান্ত্রিক তুমি আজ থেকে শান্ত হয়ে এখানে বসে থাকবে তোমার সকল যন্ত্রণা ঝেড়ে। যদি এমন হত এই নষ্ট মানব জীবন যেন পূর্ণতা পেত।
১৪ ই আগষ্টে যাদের বদন তায় এমন হল সেই প্রাণের স্বজন দাদা স্নেহাশিস প্রিয় বড়ুয়া ও বৌদি শুক্লা বড়ুয়া। এই কপোত কপোতীর পৃষ্ঠ পোষকতায় নির্বানাকমী’র বাস্তবায়নের। কম্পিউটার প্রশিক্ষনের উদ্বোধন উপলক্ষে ধর্মের বাজার বসেছিল জ্ঞান শরণ মহারণ্যে।এই ধর্মযজ্ঞে প্রেমসূধা বিলিয়েছেন আমার প্রাণের ঠাকুর এই গৌরবী বাংলার পরিবাজ্যক, ধুতাঙ্গ সাধক ভদন্ত শরণংকর থের মহোদয়। এই পূর্ণ পুরুষের সুমধুর সুরেলা কণ্ঠ ধর্মবাণী ও দেশনা এক পবিত্র পরিবেশ সৃষ্টি করে ছিল তখন অরণ্য ভুবনে। মন তখনই আনমনে গেয়ে উঠে ” এই দিন যেন শেষ না হয়, এই লগ্ন যেন বয়ে না যায় “।
যখন পুজেনীয় বললো যে ওখানে একটি বৃদ্ধশ্রাম হবে উত্ত স্থানে।থাকার সুযোগ পাবে তারা যারা একমাত্র পুত্রকে বুদ্ধ শাসনে দান করেছে।তখন মন ক্ষনিকের জন্য চঞ্চল হয়ে উঠে। আমার একমাত্র পুত্র মুখের বোল ফোঁটার পর থেকে বলে আসছে সে বুদ্ধপুত্র হয়ে যাবে। এই কথা সেই নিজেরই মুখে পুজেনীয়কে বলেছে দুই এক বার।আহ্ এমন যদি হয় বৃদ্ধ বয়সে বসে বসে প্রভাত, দিবস,সন্ধ্যা, রাতি দেখব সংঘের বিচরণ। আহ্ এত হবে পরম সুখ, পরম আনন্দের।
এই পূর্ণময় অনুষ্ঠানে অর্জিত সকল পূর্ণরাশি ও জম্ম জন্মান্তরের অর্জিত পূর্ণরাশি।মৈত্রী পূর্ণ হ্নদয়ে দান করিলাম নিজ পিতা মাতাকে যাদের দানে আজ আমি। দান করিলাম পৃষ্ঠ পোষক দাদা, বৌদি ও তাদের ভবিষ্যৎ প্রজম্মকে।দান করিলাম স্বীয় স্ত্রীকে যার কারনে আমি পরিপূর্ণ পুরুষ হয়েছে। নিজের ঔরস্যজাত সন্তানদের যাদের পিতা ডাকে ঝংকার উঠে মনে।দান করিলাম নির্বাণকামী’র প্রতিটা সদস্যদের যারা এই গ্রুপের প্রাণ।দান করিলাম ভূলোক, সুলোক,দুলোকের সকল সত্তাকে।