সাতকানিয়া থানাধীন ঢেমশা গ্রামে এখনো পানি বন্দী মানুষজন। অনেক জায়গায় পানি আস্তে আস্তে পানি কমে গেলে ও ঢেমশা গ্রামে এখন ও কমে নি। তাই এই গ্রামের মানুষদের জীবন যাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে। তারা আপাতত আশ্রয় কেন্দ্রে ও অন্যের বাড়িতে দিন যাপন করছে। নেই তাদের কোন কাজ কর্ম। শুধু অপেক্ষায় রয়েছে কখন তারা নিজেদের বাড়ি ভিটাতে ফিরে যাবে।
ত্রিরত্ন সংঘের সদস্যরা গতকাল চন্দনাইশ থানাধীন কানাইমাদারী গ্রামে ত্রাণ বিতরণ শেষে জানতে পারে ঢেমশা গ্রামের মানুষজন খুবই কষ্টে আছে।বন্যায় তাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। তাই সংঘের সদস্যরা মিলে কেরানীহাট থেকে তাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী কিনে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ঢেমশা গ্রামের জন্য ত্রাণ সামগ্রী কিনে সেখানকার দুই দুইবারের ইউপি মেম্বার বাবু মনহর বড়ুয়া, রতন বড়ুয়া, পঞ্চনান বড়ুয়া ও উৎস বড়ুয়ার হাতে হস্তান্তর করা হয়।
ইউপি মেম্বার বাবু মনহর বড়ুয়া বলেন আমরা নিজ হাতে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবো।
আজ সকালবেলা তারা নৌকায় করে ঘরে ঘরে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দেয়। ঢেমশা ইউপি মেম্বার বাবু মনহর বড়ুয়া বলেন, ত্রিরত্ন সংঘের এই ত্রাণ আমাদের গ্রামবাসীর জন্য অনেক কল্যানকর সুফল বয়ে এনেছে।তিনি ত্রিরত্ন সংঘের সকল সদস্যদেরকে আর্শীবাদ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সত্যিই তো ত্রিরত্ন সংঘের সদস্যরা গতকাল শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমার দিনে সবাই সমবেত প্রার্থনা,পঞ্চশীল, অষ্টশীল নিয়ে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য ছুটে যায় বন্যার্ত মানুষদের কাছে। অর্ধশতাধিক পানি বন্দী মানুষের কাছে এই ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। ত্রিরত্ন সংঘের এই ত্রাণ পেয়ে পানিবন্দী মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটেছে।
ত্রিরত্ন সংঘের সদস্যরা সব সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে একটু হাসি ফোঁটাতে পারে। এটায় তো মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।। মানবতার জয় হোক।। ত্রিরত্ন সংঘের শ্রীবৃদ্ধি হোক।।