শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমায় সংঘের সদস্যরা সমবেত প্রার্থনা করে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করে বন্যার্তদের মাঝে ভালোবাসা প্রদানের লক্ষে ছুটে যায় তাদের পাশে। সংঘের সদস্যরা দলবদ্ধ হয়ে প্রথমে চন্দনাইশের কানাইমাদারী গ্রামে যায়। গ্রামটি ৪-৫দিন বন্যা প্লাবিত হয়ে গ্রামবাসী বন্যার পানিতে পানিবন্দি হয়ে আছে।গ্রামটি নদীর পাড়েও একটু ভিতরে হওয়ায় এখানে কেউ ত্রাণ নিয়ে আসে না।গ্রামের কিছু সচেতন যুবক মিলে যতটুকু করা যায় এগিয়ে আসেন।সরকারি ভাবে ত্রাণ আসার কথা থাকলেও এখনো কোন অনুদান আসে নাই।
ত্রিরত্ন সংঘের শুভাকাঙ্ক্ষী শ্রদ্ধেয় দীপানন্দ ভিক্ষু ত্রিরত্ন সংঘকে জানায় যে কানাইমাদারী গ্রামবাসী অনেক কষ্টে আছে। সংঘ এই খবর জানার পর সকল সদস্যরা যে যা পারে ত্রাণ বিতরণে এগিয়ে আসার চেষ্টা করে। এই মঙ্গলময় কাজের সারাদিয়ে নির্বাণকামী গ্রুপের সকল সদস্য এই ত্রাণ বিতরণে এগিয়ে আসার অনুপ্রাণিত হয়। নির্বাণকামী গ্রুপের পক্ষে প্রধান এডমিন প্রবাসী স্নেহাশীষ প্রিয় বড়ুয়া ও তার সহধর্মিণী শুক্লা বড়ুয়া অংশগ্রহণ করে।
কানাইমাদারী গ্রামের চারদিকে পানি থাকায় একমাত্র যাতায়াত নৌকা করে ত্রাণ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। ত্রাণ বিতরণ করা হয় গ্রামের এক উঁচু রাস্তা থেকে।এই ত্রাণ বিতরণে ত্রাণ আনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে মিথুন বড়ুয়া।
সংঘের সদস্যরা আরো জানতে পারে ঢেমশা গ্রামের মানুষ ও পানি বন্দি হয়ে আছে।তাদের অবস্থাও করুণ।তাই সংঘের সদস্যরা কামাইমাদারী গ্রামে ত্রাণ বিতরণ করে ঢেমশায় ত্রাণ বিতরণ এর জন্য রওনা হয়। কেরানিহাট থেকে ঢেমশা যাওয়ার জন্য বর্তমানে একমাত্র পথ নৌকা আর ত্রাণ কিনতে হবে কেরানিহাট থেকে।সংঘের সদস্যরা কেরানিহাট থেকে ত্রাণ কিনে দেওয়ার সুবিধার্থে আলাদা আলাদা প্যাকিং করে ফেলে। এই প্যাকিং করে ঐ গ্রামের এক সদস্য ও ইউপি মেম্বারের হাতে ত্রাণ গুলো তুলে দেওয়া হয়।কাল তা নৌকা করে ঘরে ঘরে গিয়ে দিয়ে আসা হবে।
সংঘের সদস্যরা তাদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের মাঝে ভালোবাসা প্রদান করে আসে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হল ত্রিরত্ন সংঘের সদস্যরা আজ এমন একটি দিনে ত্রান বিতরন করেছে সত্যিই পূন্যের কাজ। সকালবেলা সমবেত প্রার্থনা,পঞ্চশীল, অষ্টশীল উপোসথ নিয়ে ত্রান দিতে বেরিয়ে পড়ে এই সদস্যরা।সত্যিই এমন পূর্ন্যময় দিনে পূন্যের কাজ করা অতীব দূর্লভ। পানি বন্ধী গ্রামবাসিরা এই ত্রান পেয়ে খুবই খুশি হয়। ত্রিরত্ন সংঘের ও নির্বাণকামী সদস্যদের আর্শীবাদ ও পূন্যদান করেন গ্রামবাসীরা।