বুদ্ধ সুদীর্ঘ ৪৫ বছর যাবত জীবগণের কল্যাণ লক্ষে ও মুক্তি প্রধানে যে ধর্ম দেশনা করেছেন সেই ধর্মকে যথাযথ ভাবে ধারণ করতে হবে শ্রবণ করতে হবে অনুশীলন করতে হবে।বুদ্ধ ধর্ম পদের গাথায় বলেছেন যতক্ষণ না পর্যন্ত মানুষের মন প্রকৃত সত্যকে জানতে পারবে না বুঝতে পারবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্মও তার অন্তরে ধারণ হওয়া সম্ভব নয়।
মানুষের বাইরের বৈশিষ্ট্য যাহা কিছু মানুষ অন্তরের মধ্যে শান্তি না পেলে সুখ না পেলে মনের পবিত্রতা না থাকলে মনের মধ্যে হিংসা, লোভ,দ্বেষ, মোহ সংযম না হলে প্রকৃত সুখ লাভ করা সম্ভব নয়। রাতের অন্ধকারে মানুষ যেমন কোন কিছু দেখতে পায় না। ঠিক তেমনি যেখানে সত্য নেই, বাস্তবতা নেই সেখানে প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারে না। সে জন্য ভগবান বুদ্ধ ধর্মপদ গাথায় বলেছেন মানুষ যখন হাসে আনন্দ করে যদি মনের মধ্যে শান্তি না থাকে মন যদি কুশল চিত্তে ধাবিত না হয় তখন কিন্ত অন্ধকারে বিদ্যমান থাকে সেই হাসি আনন্দ। প্রকৃত হাসি আনন্দ তৃপ্তি দেয় না।
বুদ্ধ বলেছেন, যদি মনের মধ্যে হিংসা, লোভ,দ্বেষ, মোহ উৎপন্ন হয় লোভ,দ্বেষ, মোহ যদি অন্তরের মধ্যে দাও দাও করে জ্বলে তখন কিন্তু সেই হাসি আনন্দ প্রকৃত সুখ আনয়ন করতে পারে না। মানুষ যে ধর্ম আচরণ করে সুখের জন্য লাভের জন্য প্রকৃত সুখের জন্য। কোন প্রাণী কোন মানুষ দুঃখ পেতে চায় না কষ্ট পেতে চায় না। প্রত্যেকে সুখে শান্তিতে থাকতে চায়। কিন্তু সেই সুখের জন্য মানুষ নানা রকম অকুশল কর্ম সম্পাদন করে থাকে তার জন্য মানুষ দুঃখ পায় কষ্ট পায়। মানুষ এত দুঃখ কষ্ট এসবের কারণ কী?
বুদ্ধ বলেছেন এর কারণ মানুষ সত্যকে জানতে পারে না বুঝতে পারে না। মানুষ মনের মধ্যে যখন হিংসা, লোভ,দ্বেষ, মোহ ভরপুর হয়ে যায় তখন মানুষ প্রকৃত সুখ বিবেচনা করতে পারে না। তখন তারা নানা প্রকার পাপ কর্ম সম্পাদন করে। আর দুঃখ পায় কষ্ট পায়। আর ও বুদ্ধ বলেছেন মানুষ যদি প্রকৃত সুখ শান্তি পেতে চায় তাহলে থাকে সত্যকে সত্য রূপে দেখতে হবে, মিথ্যাকে মিথ্যা রূপে দেখতে হবে। যখন মানুষ সত্য কে সত্য রুপে দেখবে তখন মানুষ প্রকৃত সুখ শান্তি লাভ করবে। তখন পৃথিবীতে নেমে আসবে প্রকৃত সুখ শান্তি।।
——————–সাধু সাধু সাধু
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।।