দেশে ও বহিঃবিশ্বে সকলের কাছে সু-পরিচিত সংগঠন ত্রিরত্ন সংঘ বাংলা পুরানো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে বিরল প্রজাতির নানা প্রানী অবমুক্ত করার কার্যক্রম হাতে নেয়। এই কার্যক্রমকে সংঘের সদস্যরা চারটি পর্বে ভাগ করে।গতকাল সন্ধ্যায় কর্ণফুলীর অভিয়মিত্র ঘটে প্রায়৫০০ কাঁকড়া (কাঁকড়া হত্যাকারীর থেকে কিনে) মুক্ত করে দেওয়া হয়। এই সময় সংঘের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া(পিএমজেএফ) সহ সংঘের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এটা ছিলো প্রাণ দান কর্মসূচির প্রথম পর্ব।
আজ ১৪ই এপ্রিল ১লা বৈশাখ শুভ নববর্ষের দিন কাপ্তাই চিৎমরম লেকে বিরল প্রজাতির প্রাণী নয়টি কাছিম ও অগণিত মাছ অবমুক্ত করে দেয় সংঘের সদস্যরা। এই কাছিম আর মাছ মুক্ত করে দেওয়ার পর সকলের চিৎমরমের পুরানো কাঠের বিহারে বুদ্ধ ও ভিক্ষু সংঘকে প্রার্থনা করে।
তৃতীয় পর্বে ছয় জোড়া কবুতর অবমুক্ত করা হয়।এই কবুতর অবমুক্ত করার সময় উপস্থিত উপাসক উপাসিকারাও প্রানী অবমুক্ত করার মনোরম দৃশ্যটি উপভোগ করে।
চতুর্থ পর্বে সকল সদস্যরা সমবেত প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করে। এই সময় সদস্যরা ভিক্ষু সংঘকে নানা দানীয় সামগ্রীর প্রদান করে। সমবেত প্রার্থনা শেষে জল ঢেলে প্রানী দান ও নানা দানীয় সামগ্রীর দানের পূন্যরাশি সকল প্রানীর মঙ্গল, সুখ,শান্তি ও নির্বাণ সুখ কামনায় দান করে।
ত্রিরত্ন সংঘের সদস্য বাংলা নববর্ষের দিন নানা পূন্যময় কাজে অংশগ্রহণ বাংলা নববর্ষকে বরন করে নেয়।
এই পূন্যময় দান কাজে সংঘের সকল সদস্যদের পাশাপাশি সংঘের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী অংশগ্রহণ করে। সংঘের সকল সদস্যদের পক্ষে সংঘের সভাপতি অভি বড়ুয়া অর্ণব সকল সদস্যসহ যারা যারা প্রতিবারের ন্যায় এবারো “প্রাণী অবমুক্ত করণ” এর মত পূন্যময় কাজে অংশগ্রহণ করেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানায়।
সংঘের সদস্য সহ সংঘের শুভাকাঙ্ক্ষী যারা যারা এই দানে অংশগ্রহণ করেন তাদের সকলের নিরোগ দীর্ঘায়ু জীবন কামনায় পূন্যরাশি দান করেন।
“সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্তু”
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।।