মঙ্গল সূত্রের “সমণনঞ্চ দস্সনং’ এই মঙ্গল বাক্যের বর্ণনায় বর্ণিত হইয়াছে যে শ্রদ্ধাপ্রযুক্ত প্রসন্নচিত্তে ও প্রীতিচোখে ভিক্ষু – শ্রমণের দিগকে দর্শন করিলে, সেই দর্শন জনিত পূণ্য প্রভাবে বহু জন্মে কোন প্রকার চক্ষুরোগ উৎপন্ন হয় না। সর্বদা বিশুদ্ধ কুলে জন্ম হয় ও অতি শ্রীযুক্ত হয়। চক্ষুদ্বয় সুলক্ষণ যুক্ত মনোময় হয়৷ বহু জন্ম দেব-মনুষ্যলোকে শ্রীসৌভাগ্যের অধিকারী হয়। মনুষ্যকুলে জন্মগ্রহণ করিলে জ্ঞানবান প্রখর চক্ষুজ্যোতি ও দিব্যদৃষ্টি লাভ করে। আর যাহারা ভিক্ষু-শ্রমাণের দেখিয়া চিত্তের ঈর্ষাভাবে উদ্রেক করে, সর্বদা অহিতকাঙ্খী হইয়া বিচরণ করে এিং দুর্নাম প্রচার করে, তাহারা প্রেতলোকে জন্ম নিয়া দারুণ প্রেত দুঃখ ভোগ করে।
ভগবান বুদ্ধ যখন বেদীয় নামক পর্বতের ” ইন্দ্রশাল গুহায়” অবস্থান করিতেছিলেন, তখন একটি পেঁচা ভগবান বুদ্ধ পিন্ডুচরণে যাইবার সময় অর্ধেক পথ বুদ্ধের পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইত। পুনঃ ভগবান গ্রাম হইতে ফিরে আসিবার সময় অর্ধেক পথ হইে আগুবাড়াইয়া লইত। এক সময় ভগবান বুদ্ধ ভিক্ষুসংঘ পরিবৃত হইয়া উপবিষ্ট আছেন, এমন সময় ঐ পেঁচা বুদ্ধের সম্মুখে ডানা প্রসারিত ও মাথা নীচু করিয়া ভাগবানকে অভিবাদন জ্ঞাপন করিতেছিল। ভগবান পেঁচার এতাদৃশ বন্দনা দেখিয়া ঈষৎ হাসিলেন। আনন্দ স্থবির ভগবানের এই হাসি দেখিয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। তখন ভগবান পেঁচার ভবিষ্যৎ সৌভাগ্য বর্ণনা প্রসঙ্গে বলিলেন।
“অনুত্তর ভিক্ষুসংঘ ও আমার প্রতি চিত্ত প্রসন্নতা হেতুর প্রভাবে এই পেঁচা কল্পকাল পর্যন্ত কোন প্রকার দুর্গতিতে জন্মগ্রহণ করিবে না। সে দেবলোকে হইতে চ্যুত হইয়া এই কুশলকর্ম প্রভাবে ভবিষ্যতে “সোমনস্য” নামক প্রসিদ্ধ এক অনন্তজ্ঞানী মহাপুরুষ হইবে।
উপস্থাপনায়
শ্রীঃবুদ্ধশ্রী ভিক্ষু
দশবল বৌদ্ধ বিহার
খবং পড়িয়া, খাগড়াছড়ি সদর।
তাং- ৫ এপ্রিল ২০১৯ খ্রীঃ