রাজা কহিলেন, “ভন্তে, কী প্রয়োজনে আপনাদের প্রব্রজ্যা? আপনাদের পরমার্থই বা কী?”
স্থবির বলিলেন, “কেন, মহারাজ, এই বর্তমান দুঃখ নিরুদ্ধ হইবে।
অপর (ভাবী) দুঃখ উৎপন্ন হইবে না। এই প্রয়োজনেই আমাদের প্রব্রজ্যা।আসক্তিবিহীন হইয়া পরিনির্বাণ লাভই আমাদের পরমার্থ বা চরম লক্ষ্য।”
“ভন্তে নাগসেন, সকলেই কী এই উদ্দেশ্যে প্রব্রজিত হন?”
“না মহারাজ, কেহ কেহ এই উদ্দেশ্যে প্রব্রজিত হন। কেহ রাজভয়ে, কেহ চোরভয়ে, কেহ ঋণের দায়ে, কেহ বা কেবল জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রব্রজিত হয়। যাঁহারা প্রকৃতপক্ষে প্রব্রজিত হন, তাঁহারা এই উদ্দেশ্যেই হইয়া থাকেন।”
“ভন্তে, আপনি কি এই উদ্দেশ্যেই প্রব্রজিত হইয়াছেন?”
“মহারাজ, আমি বাল্যকালে প্রব্রজিত হইয়াছি। তখন জানি নাই আমি কি উদ্দেশ্যে প্রব্রজিত হইয়াছিলাম। অথচ আমার ধারণা ছিল: “এই শাক্যপুত্রীয় শ্রমণগণ পন্ডিত। তাঁহারা আমাকে শিক্ষা দেবেন। এখন আমি তাঁহাদের নিকট শিক্ষা লাভ করিয়া জানিয়াছি ও দেখিতেছি যে এই জন্যই প্রব্রজ্যা।”
“ভন্তে নাগসেন, আপনি সুদক্ষ।”
– মিলিন্দ প্রশ্ন থেকে উদৃত
উপস্থাপনায়ঃ স্নেহাশীষ প্রিয় বড়ুয়া
মতামতঃ প্রবজ্যার উদ্দেশ্য উক্ত কয়েকটি শব্দে পরিস্কার এবং সকলে যে সে উদ্দেশ্যে প্রবজ্জিত নয় তাহা ও অস্বীকার করা হয়নি উপরন্তু এর ব্যতয় ঘটিলে পন্ডিত শ্রমণগন তাহার সুরাহা করিবেন তাহাই প্রকাশ কিন্তু দুখের বিষয় আজকাল ফেইসবুকে দেখি ৫ শীলের একটির ও পালনের চেষ্টা পর্যন্ত না করিয়া কিছু বাবু সারাদিন ফেইসবুকে এই শ্রমণ ওই শ্রমণের দোষ ত্রুটি ধরিয়া বেড়ান আবার বুলিদেন সমাজ বিনির্মানের। – এরা কি কনফিউজড ডট কম?