অধর্ম করতে গিয়ে যে ধার্মিক হয় লেখাটি দীর্ঘায়িত করতে হলো কিছু প্রশ্নের উত্তরের অন্বেষায়।

অধর্ম করতে গিয়ে যে ধার্মিক হয় লেখাটি দীর্ঘায়িত করতে হলো কিছু প্রশ্নের উত্তরের অন্বেষায়। তাই অনুরোধ মুল লেখাটি আবার ও পড়ে দেখা যাক

অধর্ম করতে গিয়ে যে ধার্মিক হয় – যেমন বোধিসত্ব। অধার্মিকের মধ্যে ও যখন বোধিসত্ব জ্ঞানের উদয় হয় তখন তিনি নির্বাণকামী হতে পারেন।

ধর্ম করতে গিয়ে যে অধর্ম করে – যেমন যারা একই পাড়ায় দুই বা তিনোধিক মন্দির করে বিভাজন সৃষ্টি করে, নিজেদের মতো করে অবৌদ্ধ ধর্ম রচনা করে নিজে প্রকৃত ধর্ম থাকে দূরে সরে যায় এবং অন্যদের ও বিরত করে। নিজের এবং অপরের উভয়ের অশান্তির কারন। বিভিন্ন ধরনের ফতুয়া শুনতে পাবেন তাদের মুখে- জ্ঞানপাপী

প্রকৃত ধর্ম ধারন করে যে ধার্মিক তার অসুখী হওয়ার কোন অবস্থান নেই তথা নির্বাণকামী। তাদের লোক দেখানো গোটা কয়েক মন্দির, গোটা কয়েক সংঘটন করার ও প্রয়োজন নেই। যখন ই দেখবেন আপনার মধ্যে অনাবিল শান্তি তখনি বুঝতে হবে আপনি প্রকৃত ধর্ম করছেন।

পাড়ায় পাড়ায় মন্দিরকে ভিত্তি করেই যদি ঝগড়া বিবাদ হয় তবে তাকে মন্দির না বলে যুদ্ধক্ষেত্র বলাই সমিচীন নয় কী?

এক বুদ্ধপুত্র যদি আর এক বুদ্ধপুত্রের সঙ্গে বসবাস করতে না পারে তবে তাদের জিহাদি বলাই সমিচীন নয় কী?

একটা গল্প বলা যাক তাহলে – এক ভদ্রলোক একটি নুতন গাড়ী ক্রয় করে ছয় মাস যাবত গ্যারেজে ফেলে রেখেছেন ।

তা দেখে অন্য এক ভদ্রলোক তাকে প্রশ্ন করলেন, ভাই গাড়িটি চালাচ্ছেন না কেন?

ভদ্রলোক উত্তর দিলেন, অপেক্ষা করছি কবে রাস্তার সমস্ত সিগনালে সবুজ বাতি থাকবে তবেই গাড়িটি চালাবো এ গেলো প্রথম প্রেক্ষাপট।

অপর প্রেক্ষাপটে বলতে হয়, তথাগত কোন এক ধর্মসুধায়, গৃহীকে ভিক্ষু বলে সম্বোধন করেছেন কারন সে গৃহী মার্গ ফলে অধীষ্টীত আবার অন্য এক ধর্মসুধায়, সনাতন ধর্মের আচার্য্যকে ও ভিক্ষু বলে সম্বোধন করেছেন, কারন তিনি ব্রক্ষ্মগুনে অধীষ্টীত। ভিক্ষু,শ্রামণ, বুদ্ধপুত্র, গৃহী বলতে আমরা কাকে বুঝাচ্ছি সেটা স্থানান্তরে বিভিন্ন।

অন্য প্রেক্ষাপটে এখন প্রশ্ন হচ্ছে জিহাদি সমোচিত ভিক্ষু,শ্রামণ, বুদ্ধপুত্র, গৃহীর সাথে আমার সাক্ষাত হলে আমি কি করি – আমি ভিক্ষু,শ্রামণ, বুদ্ধপুত্রের শ্রামণ্য ধর্মের দীক্ষালাভের গুনকে আর গৃহীর বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের শরানাগ্রহ হওয়ার গুনকে সম্মান করি তাই বলে তাদের জিহাদি সমোচিত কর্মকান্ডের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করা থেকে বিরত থাকি।

আর ও একটি প্রেক্ষাপটের সংঝোজন প্রয়োজন, কারা বৌদ্ধ ? যারা বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের শরণ গ্রহন করেন, তাতে কোন জাত-পাত নেই, বড়ুয়া, তালুকদার, রহমান, আমীর, চাকমা, দাস, সমতল, অসমতল, জাতী, উপজাতী, নৃগোষ্টি নেই।

সুধীজনের মতামত প্রত্যাশি