বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল ওয়েলফেয়ার মিশন কর্তৃক পরিচালিত কলকাতা এবং বুদ্ধগয়া ২টি বিহারের মধ্য কলকাতা বিহারে যেখানে পশ্চিমবঙ্গের সর্ব বৃহৎ বুদ্ধ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে গত ১৯ অক্টোবর ২০১৭ সাড়ম্বরে প্রচুর ধার্মিকের সমাবেশে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব সুসম্পন্ন হয়।
সকাল ১০টায় রাজচন্দ্রপুর এবং বেলুর গ্রামবাসীদের পরিচালনায় পঞ্চশীল প্রার্থনা করা হয় এবং ভদন্ত দিকপাল মহাথের শীল প্রদান করেন। ধর্মদেশনা প্রদান করেন-প্রধান ধর্মদেশক ভদন্ত ড. রতনশ্রী মহাথের, ভদন্ত ধর্মরত্ন থের, সকল সহযোগিতাকারী তথা দাতাদের এবং ধর্ম সভায় সকলের প্রানবন্ত উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বি. আর্যপাল(আরিয়াপাল ) ভিক্ষু, সভাপতি ভদন্ত জিনানন্দ মহাথের সকাল বেলার অষ্ট-উপকরনসহ সংঘদান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
দুপুর ১১.৪৫মি. থেকে ১২.৩৫মি. পযর্ন্ত খাবার গ্রহনের সময় বোধি পল্লব কীর্তন সংস্থা কর্তৃক সুমধুর কন্ঠে বুদ্ধ সংকীর্তন পরিবেশন এবং বিশ্বরূপ পাল গান করে সকলকে মুগ্ধ করেন। রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা পরিবেশিত করেন নিক্বণ সেন্টার ফর পারফরমিং আর্টস। কীর্তন সহকারে চীবর পরিক্রমার পর দুপুর ২টায় সোলান্কি বড়ুয়া (শ্রীকান্ত ও সুনন্দা বড়ুয়ার মেয়ে ) উদ্বোধনী নৃত্য, শ্রীমতি সুষমা বড়ুয়ার গান এবং জিনাপাল, ধর্মদরশী ও জয়পাল ভিক্ষুর মঙ্গলাচারনের মাধ্যমে কঠিন চীবর দান শুরু করা হয়। পঞ্চশীল প্রার্থনা পরিচালনা করেন রিষড়া এবং মহেশতলাবাসী। ধর্মদেশনা প্রদান করেন ড. জিনপ্রিয় থের, প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন বিদর্শনাচায ভদন্ত বুদ্ধরক্ষিত মহাথের এবং তিনি কিছুক্ষণ বিদর্শন ধ্যান অনুশীলন করান। বক্তব্য করেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়র প্রাক্তন ভাইস চ্যনচেলর ড. সুভাষ সাহা ও বকুল দাশ।
সমাজের উন্নতি সাধনে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয় যথাক্রমে নিক্বণ, আশীষ বড়ুয়া, ডা: অভিজিৎ বড়ুয়া, সরোজিত চৌধুরী, মাখন বড়ুয়া ও বোধি পল্লব কীর্তন সংস্থাকে। সভাপতি ভদন্ত দিকপাল মহাথেরর ধর্মদেশনার পর এবং চীবর উৎসর্গ করার পর সভা সমাপ্ত করা হয়।করুনাপাল ভিক্ষুর পরিচালনায় ফানুস উত্তোলনের মাধ্যমে সান্ধ্যকালীন পূজা এবং ৪০ জনকে নতুন শাড়ী প্রদান করা হয়।
সংবাদদাতাঃ-বি. আর্যপাল ভিক্ষু,কলকাতা।