গৌবিন্দ ঠাকুরেরর জীবন কাহিনী(প্রথম পর্ব)
রাউজান থানার অর্ন্তগত বিনাজুরির ইউনিয়নের ঐতিহ্যময় পূর্ব ইদিল পুর গ্রামে শাক্যমুনি বিহারে শ্রদ্ধেয় মহা পূরুষ গৌবিন্দ ঠাকুরের শ্বশান ও স্মৃতি মন্দির।এই মন্দিরে প্রতিদিন দূরদূরান্ত হতে অনেক ভক্তবৃন্দের আগমন হয়,কারো মনোবাসনা পূর্ণ হয়েছে বলে আবার কারো ও মনের ইচ্ছা পূরণের আশায় দর্শন করতে আসে।
শুনেছি,চোখে দেখিনি গৌবিন্দ ঠাকুর কে।এই সাধক সমগ্র চট্টগ্রামের প্রতি ঘরে ঘরে প্রাতঃস্মরণীয় গুরু ঠাকুর নামেই এখনো সমাধিক প্রসিদ্ধ। জোবরা গ্রামজাত এই মহান সন্তান হলে ও জন্ম গ্রহন করেন মামার বাড়ী হাটহাজারীর মিরেরখীল গ্রামে।১৮৮২ সনে শুভ দিনে এই মহান পূরুষের জন্ম হয়।তবে কখন কিভাবে কার কাছে প্রব্রজ্যা ধর্মে দীক্ষা নিলেন তা আমার জানা নেই।এই দেশের মাঠিতে তিনি ছিলেন বৌদ্ধ সাধনায় এক মহাঋদ্বিমান গৌবিন্দ ঠাকুর।প্রায় দেড়শো বছর ধরে এখন ও পযন্ত এই মহা সাধকের অসংখ্য ঋদ্বি প্রদর্শনের খ্যাতি সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের মুখে মুখে শোনা যায়।
একদা একদিন খুব ভোর বেলায় নদী পার হওয়ার জন্য ঘাটে আসেন।তখন সেখানে এক মাঝি নৌকা নিয়ে বসে ছিলেন।মাঝি কে বললেন,ও মাঝি ভাই আমাকে একটু নদীটা পার করে দাও।মাঝি দেখলেন যে একজন সন্ন্যাসী মানুষ,সে তো আমায় পয়সা দিতে পারবে না।বিনা পয়সাই পার করালে আমার দিনটাই বৃতা।তাই ওনাকে গালাগালি করে অন্য মানুষদের কে নিয়ে মাঝ নদীতে নৌকা ভাসালেন।হঠাৎ নদীর মাঝে গিয়ে দেখেন,সেই সন্ন্যাসী একটা গামছার উপর দাঁড়িয়ে নদী পার হয়ে অপর প্রান্তে চলে গেলেন।এবং চোখের নিমিষেই কোথায় হারিয়ে গেলেন।তখন সেই মাঝি তার ভুল বুঝতে পেরে হা হুতাস করতে করতে গৌবিন্দ ঠাকুর কে খোঁজতে লাগলেন।
চলমান