সাধু সাবধান!
কয়েকদিন ধরে দেখছি, কিছু স্বার্থান্বেষী ধর্মান্ধ লোক দেশে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়ে আরেকটা রামু ট্রাজেডি তৈরি করতে চাচ্ছে। পুরনো বিভিন্ন ঘটনার ছবিকে মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হাতে মুসলিম নিধন নামে চালিয়ে যাচ্ছে এরা। বুঝে বা না বুঝে তাতে লাইক দিচ্ছে, শেয়ার করছে অনেক সাধারন ধর্মপ্রাণ মানুষ। আর কৌশলে তাঁদের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী।
সচেতন মানুষ হিসেবে, মানবাধিকারের পক্ষের একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে, যে কোনো মানুষের উপর যে কোনো ধরণের অন্যায় অবিচার বা নির্মমতার প্রবল বিরোধী আমি। কিন্তু পূর্ব পশ্চিমের কোনো সংবাদ মাধ্যমে এ ধরণের কোনো সংবাদ নেই, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কোনো বক্তব্য নেই, ও আইসির কোনো উদ্বেগ নেই, হাওয়াই গুজবের ভিত্তিতে সকল উদ্বেগ বাংলাদেশের তথাকথিত কিছু ধর্ম ব্যাবসায়ীর! রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের মায়া কান্নার কোনো শেষ নেই, কিন্তু আমাদের কক্সবাজার এলাকার মানূষজন জানেন, উদবাস্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে কি বিপদেই না আছে্ন সেখানকার বাঙালিরা! রিপোর্রোটার হিসেবে জানি, গত কয়েক বছরে রোহিঙ্গারা এলাকাটিকে প্রায় জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছে। কেবল ধর্মের কারণে তারা বিশেষ কোনো সহানুভূতি দাবি করে বলে আমার মনে হয় না।
কোনো ধরণের তথ্য উপাত্ত ছাড়া, সূত্র উল্লেখ ছাড়া, সত্যতা যাচাই ছাড়া ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, যারা বৌদ্ধমুক্ত বাংলাদেশ কায়েমের ঘোষণা দিচ্ছে, যারা বৌদ্ধদের মন্দির, ঘরবাড়ি, জমি, নারী দখল করতে চায় তাদের চিহ্নিত করার এবং তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই।
নইলে এরা আরেকটা রামু কাহিনী যে ঘটিয়ে ফেলবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে?
লেখক-সংবাদ প্রধান এটি,এন, বাংলা টেলিভিশন।
এটা ও দেখতে পারেন
পূজনিয় শরনংকর বনাম ডঃ হাছান মাহমুদ বা এরশাদ শিরোনামটা শতভাগ সঠিক নয়
(লেখাটি যে কোন কেউ ছাপাতে পারেন আমার অনুমতির প্রয়োজন নাই) পূজনিয় শরনংকর বনাম ডঃ হাছান …