ব্রেকিং নিউজ

একটিপ্রভাত ফেরী—সাগর বড়ুয়া টিপলু…………………..

14716161_1158455254246736_8153648291958778797_n
কিছু তরুন প্রতিভা________
তরুন প্রজম্মের সেই একতা_________
কয়েকজন তরুন প্রতিভার মেধা ও সাহসিকতার আশারুপ ফসল হয়ে উঠলো ১৮ই অক্টোবর ২০১৬ সুপ্রাচিন তীর্থপল্লির ঐতিহ্যমন্ডিত সার্বজনীন শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে অনুষ্ঠিত শুভ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান।বিলুপ্তি কে তুলে ধরলো জাগ্রত করলো সেই তরুন প্রতিভারা।সেই বিলুপ্তি হওয়া”প্রভাত ফেরী”কে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তুলে ধরলো রাত ৪টা থেকে শুরু করে সকাল ৬টা পর্যন্ত পুরো গ্রাম পদক্ষিন সহ সুত্রপাঠ ও বৌদ্ধ কীর্তন সহকারে।
৩ মাস বর্ষবাসের পর বিহারে বিহারে শুরু হয় “শুভ কঠিন চীবর দান” অনুষ্ঠান।এই “কঠিন চীবরদান” অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বিহারে বিহারে ভিক্ষু ও সুধিজনকে আমন্ত্রন থেকে নিমন্ত্রন,প্রভাত ফেরী,জাতিয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন,বিশ্বশান্তি কামনায় শান্তি ও শোভাযাত্রা,বুদ্ধপুজা ও সীবলি পুজা,শীলগ্রহন,অষ্টপরিষ্কারসহ সংঘদান,ও আলোচনা সভা,ফুলে ফুলে পুষ্প শোভিত করে পুরো অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন,সংঘদানথেকে শুরু করে অতিথিদের ভোজনের ব্যাবস্তা,ধর্মসভা ও কঠিন চীবরদানৎসব,সর্বশেষ প্রদীপ পুজা,বর্ণিল ফানুস প্রজ্জ্বলন দিয়ে কঠিন চীবর দানুর প্রস্তুতি।বৌদ্ধধর্ম মতে আসলেই কি সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়??????????
তবে কেন বিলুপ্তির পথে” প্রভাত ফেরী”———
যে প্রভাত ফেরীর সাথে সাথে ধর্মপ্রাণ নর নারীরা জাগ্রত হয়ে মনোনিবাসের মাধ্যমে নিজের একাগ্র চিত্তে পুন্যের শোভিত বীজ রোপন ,শীল সমাধি,প্রঙার উন্মোচন,চীবরদানের প্রস্তুতিকে সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত করে।
বৌদ্ধ ধর্ম মতে,দিনের মঙ্গল কামনায় তাই প্রকৃতির সাথে সাথে ধর্মীয় কীর্তণ বা সূত্রপাঠের মাধ্যমে মানুষের জাগরণের জন্য এই প্রভাত ফেরি।প্রতি প্রভাতে প্রকৃতি কালো আধার ভেঙ্গে ফুটফুটে স্বর্ণালী আভায় আর প্রাণ জুড়ানো হীম শীতল হওয়ায় নবদিনের জানান দেয়। দিনের অন্যান সময়ের চেয়ে এই সময়টি চিত্তাকর্ষণের চেয়ে বেশি কার্যকর। আর শ্রদ্ধা জানানো বা ধর্মীয় চেতনা সৃষ্টির জন্য এই সময়টি অর্তন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সময়ের আবর্তন,ও কালের বিবর্তনে বেড়েছে বিহার দ্বীগুণ বেড়েছে কঠিন চীবর দান সহ নানা অনুষ্ঠান মালা।কিন্তু দুঃখের বিষয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিলুপ্তির পথে।যে ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমরা বৌদ্ধ সম্প্রদায় আজ গর্ব করে বলতে পারি আমরাই বড় সারিয়া,আমরাই আর্য।
যুগের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে চলেছে মানুষের মন মানসিকতার।যদি ধর্মিয় এই আনুষ্ঠানিকতা ও পরিবর্তন হয় তাহলে বৌদ্ধসম্প্রদায়রা আজ মহা বিপর্যয়ের পথে। স্বাগত জানান তারুন্যকে,তাদেরএই সুন্দর পথচলাকে সাধুবাদ জানান।পুর্বের আকাশে যেমন লাল সূর্য উদয় হয়,তেমন তরুন এই প্রতিভাদের সুন্দর ধর্মিয় চিন্তা চেতনা ভয়ে আনুক সমাজের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ।যা হবে জাতির জন্য মঙ্গল আর একটি অনাবিল প্রাণবন্ত সমাজ ব্যাবস্তা……………!!

সম্মন্ধে vuato2

এটা ও দেখতে পারেন

বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম দণ্ডায়মান বুদ্ধপ্রতিবিম্বের বুদ্ধাভিষেক ও একক সদ্ধর্মদেশনা অনুষ্ঠান…ত্রিরত্ন সংঘ।।

গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ সাল রোজ শুক্রবার শুভ দিনে ভারত – বাংলা উপমহাদেশের সর্বজন নন্দিত …

Leave a Reply

Translate »