বৌদ্ধরা ঈশ্বরবাদী নয়,নিজেই নিজের মুক্তিদাতা।
==================================
সুমন রাজ
জগত জুড়ে যত ধর্মের উৎপত্তি, সৃষ্টি হয়েছে অধ্যায়ন করলে দেখা যায় তাদের মূলে কেউ ঈশ্বর পুত্র,কেউ ঈশ্বরের পুত্র,কেউ ঈশ্বরের দেবতা আবার কেউ বা ঈশ্বরের অবতার। কিন্তুু বৌদ্ধধর্ম উৎপত্তির মূলে কোন ঈশ্বর পুত্র বা দেবতা,অবতার নাই।মানব কুলের দুঃখ যন্ত্রনা দেখে রাজপুত্র সিদ্ধার্থ রাজ প্রসাদ ছেড়ে বৈরাগ্য জীবন বেছে নিয়েছিলেন। সকল জীবের প্রতি মৈত্রী,করুণা দিয়ে জয় করেছিলো মানবের মুক্তির পথ।যে মুক্তি সকল মানবের ইহলোক ও পরলোক জীবনে দুরদশা হতে মুক্তি লাভে সক্ষম হয়েছিল।গৌতম বুদ্ধ কখনো নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবী করেননি।একজন মানবপুত্র হিসেবে নিজের প্রাপ্ত জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিয়েছেন মানবের মুক্তির জন্যে। বুদ্ধের সেই সম্যক জ্ঞানকে বুদ্ধধর্ম হিসেবে অভিহিত করা হয়।
বুদ্ধ ধর্মের অনুসারী হয়ে দেব,দেবতার পুজা,ঈশ্বরের পুজা করা টা যতটা বেমানান,ততটা বৌদ্ধধর্মের জন্য লজ্জাজনক, অপসংস্কৃতি।কিছু কিছু বৌদ্ধ জনপদে দেখা যায় করা হয় বিদ্যা পুজা,কার্ত্তিক পুজা,লক্ষী পুজা, মায়ের সেবায় পান তেল পুজা। আবার দেখা যায় বাড়ীতে বুদ্ধের ছবির পাশে দেব দেবী ও ঈশ্বরের ছবি।কোন ধর্ম কে হেয় করায় আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য নয়। সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা বিনয় থাকাটা ভালো।জানতে হবে কোন টা আমার পরিচয়?কোনটা প্রকৃত ধর্ম? আমার ধর্ম বৌদ্ধধর্ম। বুদ্ধ কি কোথায় বলছে দেব দেবী বা ঈশ্বরের পুজা করতে? বৌদ্ধ ধর্মে ত্রিশরণ ব্যতীত অন্য কোন শরণ নেই।
বৌদ্ধধর্মের অনুসারীদের কাছে এমন দেব দেবীর পুজা করাটা অপসংস্কৃতি ও অন্ধের জালে আবদ্ধ বলে মনে করি। আমাদের মুক্তি দ্বার আমাদের নিজেকে খুলতে হবে।বুদ্ধ মাত্র পদপ্রদর্শক।এই অপসংস্কৃতি রোধ করুন। কর্মফলে বিশ্বাসী হোন। এতে করে মানব কল্যাণের মুক্তির ধর্ম বৌদ্ধধর্ম আরো বেশী অগ্রগামী হবে। প্রজন্ম জানতে পারবে তাদের মূল ধর্মকে। এমতঅবস্থায় বৌদ্ধ জনপদের বিহারের পুজনীয় ভিক্ষুসংঘদের শুভ দৃষ্টি কামনা করছি।
বৌদ্ধধর্ম শ্রীবৃদ্ধি হোক। সকলের শুভ চেতনার উদয় হোক কামনা করছি।