বছর ঘুরে আবার এলো আমাদের মহা ধর্মীয় দানোৎস কঠিন চীবর দান। কঠিন চীবর দান আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য।সদ্ধর্মের ও সমাজ অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ধর্মীয় মহাৎসব। প্রবরণা পূর্ণিমার পর দিন হতে মাস ব্যাপী অনুষ্টিত হবে কঠিন চীবর দান। ইতিমধ্যে কঠিন চীবর দানের দিনক্ষন নির্ধারিত হয়ে গেছে। প্রতিটা বিহার কমিটি ব্যস্ত কঠিন চীবর দানকে সার্থক করে তোলার জন্য।কম বেশী হলেও প্রায়ই কঠিন চীবর দানে প্রধান অতিথি বানানো হচ্ছে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিগোষ্টি ও জন প্রতিনিধিদের কিছু পাওয়া,র আশায়। একটু কি ভেবে দেখছেন এইসব প্রধান অতিথি কঠিন চীবর দানে কি দিয়ে গেলো? আর আমরা কি পেলাম? ধরে নিন কাল আপনার বিহারে কঠিন চীবর দান। গতকাল রাত হতে কারো চোখে ঘুম নাই।সবার মনে আনন্দের সীমা নাই।ব্যস্ত সবাই আলোক সজ্জা, কল্পতরু বানানো, অতিথিদের আপ্যায়নসহ নানা কাজে। সব ব্যস্ততার অবসান শেষে আজ কঠিন চীবর দান। সকালে বুদ্ধপূজা,সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান,ভিক্ষুসংঘদের পিন্ডদান, নানা গ্রাম হতে আগত অতিথি ভোজন পর্ব শেষ।দুপুর দুই টায় ধর্মসভা ও কঠিন চীবর দান শুরু হলো। প্রধান অতিথি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি বা ধনাঢ্য ব্যবসায়ী।পাল্টে যেতো শুরু করলো কঠিন চীবর দানের সব আয়োজন। সব কিছুর মূলে নিয়ে আসা হচ্ছে প্রধান অতিথি কে। উপস্থাপক বার বার ঘোষনা করছে প্রধান অতিথির নাম। যথারীতি ধর্মীয় সংগীত পঞ্চশীল গ্রহন শেষে শুরু হলো পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের ধর্ম দেশনা। এর মধ্যে প্রধান অতিথির আগমন। বন্ধ হয়ে গেলো ধর্ম দেশনা। মাইকের স্পীকার পূজনীয় ভিক্ষুর হাত হতে চলে গেলো।শত করতালী,উপস্থাপকের গলা ফাটা শ্লোগানে মুখরিত অতিথি আগমনের-শুভেচ্ছা -স্বাগতমে। প্রধান অতিথি এই সব জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কেনো করা হয় এই প্রশ্নের উওর সবার জানা। বিহার উন্নয়ন কিছু অর্থ পাওয়া যাবে এই আশায় তো! বিহার উন্নয়ন চান বেশ ভালো কথা!অধ্যবদি যেই সব বিহারে কঠিন চীবর দানে প্রধান অতিথি কে মূল্যায়ন করে ধর্ম সভা কে বিনষ্ট করছেন আপনারা কত টুকু সফল হয়েছেন? পায়ের জুতা ক্ষয়ে যাবে,মোবাইলে বিল বাড়বে বেহিসাবে মিলবে না এই সব প্রধান অতিথির প্রতিশ্রুতি। আমাদের জাতীয় এক মহাৎসব হলো কঠিন চীবর দান। আমাদের শ্রেষ্ট ধর্মানু্ষ্টান।সারা বছরে একবার সুযোগ আসে এই দান করার জন্য।তাই বলছি বিহার উন্নয়নের নামে প্রধান অতিথি বানিয়ে পূজনীয় ভিক্ষু সংঘদের অস্মানীত করে সুধী জনদের ধর্ম শ্রবণ হতে বঞ্চতি করে কঠিন চীবর দানকে নামের মধ্য সীমাবন্ধ করবেন না। বিহার উন্নয়ন চাইলে সবাই একতা বন্ধ হোন,দেশে বিদেশে আমাদের ধর্মীয় সংগঠন গুলোর কাছে আবেদন করেন। সকলের শুভ বুদ্ধি উদয় হোক। সকলে কঠিন চীবর দানের পূণ্যরাশি সঞ্চতি করুক। “জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
এটা ও দেখতে পারেন
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে অসহায় ব্যক্তি
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে অসহায় ব্যক্তি এবং যিনি মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে ঘুরেন প্রতি মুহুর্তে তার …