নারী তথা – মা, মেয়ে, স্ত্রী, বোন, বান্ধবীকে মুক্তি দেয়া – স্নেহাশীষ প্রিয় বড়ুয়া
যে ধর্ম, শিক্ষা, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান, সমাজে নারী তথা মায়ের, মেয়ের, বোনের, স্ত্রীর ,বান্ধবীর সমানসূচক অবস্থানের পরিবর্তে দাসী কিংবা তাদৃশ অবস্থান, সে সকলকে আমি ত্যাগ করিলাম এর জন্য কোন রেফারেন্সের প্রয়োজন নেই নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করাই যথেষ্ট । বুদ্ধের ৪৫ বছর শিক্ষা বিতরনকালে যাহা ঘটে নাই কিন্তু সে পরবর্তী জ্ঞাণপাপীদের জাগানো যায় না কারন তারা জেগে জেগেই ঘুমায় তারা বিবেকবর্জিত হয়, অন্ধবিশ্বাস অথবা নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ই তারা তাদের জ্ঞানকে ব্যবহার করে আর আমরা তাদের প্রশ্রয় দেই । এমন ও দেখেছি নারীর উপার্জনকৃত অর্থে পুরুষ দিনাতিপাত করে ও বলে আমি গৃহকর্তা (প্রভূর আরেক রুপ)– এ মনোভাবকে পরিত্যাগ করছি আনন্দ চিত্তে । জগতের সকল প্রানী সুখী হোক বলেই বিভাজন করলে সকলের মংগল প্রাথনা হয় কি ??? মৈত্রী -মুদিতা-করুনা-উপেক্ষা বলে ঝগড়া বা বিবাদ সৃষ্টি নয় কিংবা ব্যক্তি বিশেষকে উদেশ্য করে কোথাও কিছু বলছি না বরং যারা এ হেন কর্ম সম্পাদন করে তাদের সকলের ছল চাতুরীর বেরাজাল থেকে নিজেকে মুক্তি দিলাম । এটা আপনি তখনি করতে পারবেন যখন আপনার জ্ঞানপাপীদের কাছ থেকে সম্মান পত্র পাওয়ার আশা থাকবে না কিংবা নিজে প্রভু হওয়ার ইচ্ছা থাকবে না অথবা তারা দিলেই আপনি নির্বান পাবেন নতুবা নরকে কিংবা বিপদে পড়বেন বা কষ্ট পাবেন এ ধরনের মনোভাব থাকবে না । পক্ষান্তরে প্রশ্ন যারা তাদের সঙ্গে একমত তাদের সকলে তো তাদের ই বিশ্বাস করেন তবে তাদের কেন দুখ কষ্ট ভোগ করতে হয় , তাদের কেন অসুখ হয় ??? তাদের সবাই কি নির্বান পাচ্ছেন ??? ঝড়ে বক মরে ফকিরের কেরা মতি বাড়ে অনেক পুরানো কথা । তাই বলে বিশ্বাসের চেয়ে সুন্দর আচরন উত্তম । এই ধর্মটি পালন করার সাথে সাথে যে ফলটি পেলাম তা হলো নিজেকে নিজে মুক্তি দেয়া – নারী তথা -আমার মা, মেয়ে, স্ত্রী, বোন, বান্ধবীকে মুক্তি দেয়া ।