“নির্বাণকামী “পেইজের লিখার আলোকে বলি–আবুরখীলের কাশ্যপুকুর পাড় শরনংকর কুটিরে হামলা যতটা না সাম্প্রদায়িক, তার’চে অন্তঃকোন্দল বেশি দায়ী কিনা সেটা ভাবার বিষয়।গতবৎসর সম্ভবত কঠিন চীবর দানে নিকায়গত রেষারেষিতে নতুন একটা বিহারে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনার অবতারনা হয়েছিল,একই বছর ধুতাঙ্গসাধক শ্রদ্ধেয় শীলানন্দ ভন্তের কুটিরে দানোত্তম কঠিন চীবর দানের সব আয়োজনকে ভন্ডুল করার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছিল ক্ষমতালিপ্সু,অর্থলোভী বৌদ্ধ সমাজের মুখোশপড়া নেতারা। তারা কখনো কি ভেবেছিল কঠিন চীবর দানে একদিন পূর্বে দুরদুরান্ত হতে আসা ধর্মপিপাসু নরনারীর কথা,তারা কি ভেবেছিল সূদুর ভিয়েতনাম থেকে এসে বিদর্শনভাবনায় অংশগ্রহণ করা ধর্মীয় গুরুদের কথা, কখনো ভাবেনি। যদি ভাবতো কখনো ধর্মচর্চার কেন্দ্রগুলোর ধ্বংসের খেলায় মেতে ওঠতোনা,থানাপুলিশ হতে শুরু করে ক্ষমতাধর ব্যত্তিদের কাছে ধর্না দিতোনা।এরা কারা? এরা কি চায়?উদ্দেশ্য কি এদের? বুদ্ধের ধর্ম ধ্বংস করা না রক্ষা করা?এটার উত্তর যেদিন বৌদ্ধ জাতি জানবে,সেদিন হতে আর ঘরের ইঁদুর পাহারা দিতে হবেনা। বাবুরা কখনো প্রতিবাদে জড়ায় নাঅন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকারী হতে ভালবাসে। ওরা নিজেদের কল্যানে ঝগড়াসৃষ্টি করে । আবুরখীলকে ইতিমধ্যে ধর্মগ্রাম বলে। সেখানে ধর্ম সুরক্ষিত থাকার কথা। অথচ এখানেই সব’চে ধর্ম অরক্ষিত। শুনেছি সাম্প্রতিক সময়ে ধুতাঙ্গ ভন্তেকে নিয়ে আবার হীন খেলায় মেতে ওঠেছে। রাষ্টের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত চরিত্রহননে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি জানিনা এই পাপিষ্টদের জন্য কোন নরক বরাদ্দ। একজন শান্ত- ধ্যান্ত,নির্মল, সুপ্রতিপন্ন সাধকের বিরুদ্ধে লাগার কারন বোধগম্য নয়। ওনি তো একজনের দানকৃত কুঠিরে থেকে বুদ্ধের ধর্মকে মানব কল্যানে বিলিয়ে চলেছেন নীরবেনিভৃতে। কেউ দিলে খায়, না পেলে খায়না। এমন একজন ভিক্ষুকে কলংকিত করার পেছনে “দানবাক্স” ইতিহাস আর ক্ষমতালিপ্সুতা ছাড়া কিছুই খোঁজে পাইনা। আমরা মনে প্রাণে কামনা করব আবুরখীলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্ভীদের চারনভুমি হোক,ধর্মগ্রামে ধর্ম রক্ষিত হোক আর কুঠিরে হামলা কারীদের খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্হা হোক।যেকোন প্রতিবাদের সাথে আছি।।
এটা ও দেখতে পারেন
খুব সংক্ষেপে মহাসতিপট্ঠান সহায়িকা
একূশটি উপায়ে অরহ্ত্ত্ব লাভের উপায় তথা কর্মস্থান সংযূক্ত গভীর অর্থসংযুক্ত মহাসতিপট্ঠান সূত্তI এখানে একুশটি উপায়ে …