অপর চেতনা সমৃদ্ধ না করে দান দিলে কি হয়?

 

আজ অষ্টমী তিথি।

বুদ্ধের সময়কালীন একজন ব্রাক্ষ্মণকে উদ্দেশ্য করে বুদ্ধ বলেছিলেন, আশি কোটি ধনসম্পত্তির মালিক ছিল ব্রাক্ষ্মণ। কিন্তু ধন-সম্পত্তি খরচ করতেন না। সম্পত্তির প্রতি মায়া রেখে রেখে না খেয়ে না দেয়ে একদিন ব্রাক্ষ্মণ মারা গেলেন। তার ধন-সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য কোন উত্তরাধিকারী ছিল না। অর্থাৎ উনি ছিলেন নি:সন্তান। তাই ব্রাক্ষ্মণের ধন রাজার কোষাগারে চলে যায়।

তাই বুদ্ধ বলেছেন----এই শ্রেষ্ঠী এত ধন-সম্পত্তির মালিক হয়ে সম্পত্তি ভোগ করতে পারেনি। উত্তরাধিকারী হতে পারেনি। কারণ পূর্বজন্মে সে দান করেছিল ঠিকই। কিন্তু দান দেয়ার পর তার চিত্তে একটা ভাবনা জেগেছিল, আমার দান দেয়াটা বোধ হয় ঠিক হয়নি। ভুল হয়েছে। দানের জন্য আনন্দ করতে পারেনি। দান দেয়ার পর নিজের চিত্তে আনন্দ জাগাতে পারেনি। “অপর চেতনা” সমৃদ্ধ করতে পারেনি। সেই কারণে ব্রাক্ষ্মণ এই জন্মে ধনী হয়া সত্ত্বেও ধন-সম্পত্তির ভোগ দখলকারী ছিল না। শুধু রক্ষক হয়েছিল মাত্র। তাই দান দিয়ে কখনো এরকম চিত্ত উৎপন্ন করবেন না। যেরকম দান দিই না কেন সন্তুষ্ঠ চিত্তে আনন্দিত হবেন। তখনই দান হবে পরিপূর্ণ। সকলের মংগল হোক।