আমরা জানি, রাজা
অশোক ৮৪ হাজার ধর্মচৈত্য স্থাপন করে রাজা ধর্মাশোক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
তিনি শ্রেষ্ঠ দায়ক দাতা হিসাবে সম্মানীত হয়েছিলেন। রাজা অশোকের একমাত্র পুত্র
মহেন্দ্র এবং একমাত্র কন্যা সংঘমিত্রা বুদ্ধশাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে ভিক্ষু এবং ভিক্ষুণী
হিসাবে অরহত্ত্ব মার্গফল লাভ করেছিলেন। যিনি এত এত পুণ্যকর্মের অধিকারী ছিলেন তিনি
মৃত্যুর পর কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন? রাজার মৃত্যুর পর ভিক্ষু মহেন্দ্র একদিন
চিন্তা করলেন, আমার পিতা জীবিত থাকাকালীন বুদ্ধশাসনের উন্নতিকল্পে অনেক পুন্যকর্ম
সাধিত করেছিলেন। নিশ্চয়ই আমার পিতা সুগতিলোকে জন্ম নিয়ে থাকবেন। এই চিন্তা করে তিনি
প্রথমে ব্রক্ষ্মলোক, তারপর দেবলোক, তারপর সকল সুগতিভূমি নিরীক্ষন করে দেখলেন, তাহার
পিতা কোথাও নেই। তারপর তিনি তির্যকভূমি পর্যবেক্ষণ করে
দেখলেন, রাজা ধর্মাশোক অজগর সাপ হয়ে অন্য প্রাণী হত্যা করে আরো অধিক পাপ সঞ্চিত করে
চলেছেন। দেখেই মন খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু কেন তিনি অজগর সাপ হয়ে জন্ম নিয়েছিলেন?
কারণ তিনি মৃত্যুর সময়ে ক্রোধচিত্ত নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তখন সেই অরহত ভিক্ষু
পুত্র মহেন্দ্র পিতার সমীপে উপস্থিত হয়ে পিতাকে ধর্মদেশনা প্রদান করে মুক্ত
করেছিলেন। আমাদের তো সেরকম কেউ নেই মুক্ত করার। তাহলে আমাদের কি হবে? কারণ আমরা তো
সর্বদাই প্রমাদে রত হয়ে আছি। ক্রোধচিত্ত সবসময় আমাদের মধ্যে বিরাজমান। তাই
আমাদের ক্রোধচিত্ত পরিহার পূর্বক মৈত্রীচিত্তে থাকার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে।
সকলের মংগল কামনা করছি।