রাণী মায়াদেবী কি স্বপ্ন দেখেছিলেন?

 

রাজা শুদ্ধোধন রাণী মায়াদেবী দীর্ঘদিন অপুত্রক ছিলেন। সেদিন ছিল আষাঢ়ী পূর্ণিমা। রাণী মায়াদেবী স্বপ্নে দেখলেন, স্বর্গ থেকে চারজন দেবতা এসে তার রত্নপালংক তুলে হিমালয় পর্বতের এক মনোরম স্থানে রাখলেন। মানস সরোবরে স্নান করলেন তিনি। তারপর অনতিদূরে রৌপ্যময় পর্বতের সুবর্ণ অট্টালিকায় দেবতারা তাকে নিয়ে গেলেন। পূর্বদিকে শিয়রে রেখে তিনি শুয়ে পড়লেন। এমন সময় এক শ্বেত হস্তী কপালে সিন্দুরের মতো টিপ, দ্বিতীয়ার চাদেঁর মতো বাঁকা বাঁকা কচি দুটি দাঁত, সে যেন হিমালয়ের ওপার থেকে মেঘের ওপর দিয়ে এসে তার শুড়েঁর শ্বেতপদ্মটি রাণীর কোলে এনে দিল। রাণীর দেহমনে সংগে সংগে অনির্বচনীয় এক আনন্দশিহরণ খেলে গেল। তারপর সব কোথায় গেল আর দেখতে পেলেন না।

 স্বপ্ন ভেংগে গেল। রাণী তার স্বপ্নবৃত্তান্ত খুলে বললেন রাজা শুদ্ধোধনকে। রাজা সংগে সংগে রাজজ্যোতিষী ডেকে স্বপ্নের অর্থ জানতে চাইলেন। জ্যোতিষীরা বললেন, মহারাণী পুত্রবতী হতে চলেছেন। আপনার পুত্র কালে যশস্বী মহাপুরুষ হবেন। সূর্যস্বপ্নে রাজপুত্র মহাতেজস্বী হয়। শ্বেত হস্তীর স্বপ্নে শান্ত গম্ভীর জগৎ দুর্লভ এবঙ জীবের দু:খহারী মহাধার্মিক,  মহাজ্ঞানী পুত্র লাভ। এক মহাপুরুষ জন্ম নিবেন শাক্যবংশে। সত্যিই জগৎপূজ্য মহামানব জন্ম নিলেন এই ধরাতে যিনি আমাদের দু:খ মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। আমাদের মুক্তি পথের দিশারী তথাগত মহাকারুণিক সম্যক সম্বুদ্ধ।  

সূত্র – গৌতম বুদ্ধ দেশকাল ও জীবন।