বোধি প্রাঙ্গণ আমরা সবাই কমবেশি করেছি। কারণ
বোধি গাছ থেকে পাতা ঝড়ে পড়ে প্রতিদিন। যখন গ্রামের বাড়ীতে থাকতাম তখন প্রতিদিন বোধি
প্রাঙ্গণ ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করাটা প্রতিযোগিতার মতো ছিল। কার আগে কে করবে? এখনো
অনেকেই নিয়মিত কাজটি করেন। তখন জানতাম না বোধি প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করলে কিরকম পুণ্য
বা কি কি সুফল লাভ করা যায়? আজ জানব বোধি প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করার সুফল ---১) এই
কুশল কর্মের প্রভাবে সবসময় দেব-মনুষ্যলোকেই জন্ম হয়। কখনো নীচকূলে জন্ম হয় না।
সবসময় উচ্চবংশে জন্মগ্রহণ করে।
২) পরিপূর্ণ অংগসম্পন্ন, অত্যন্ত রূপবান,
পরিশুদ্ধ ব্যক্তি হয়ে জন্মগ্রহণ করে।
৩) বোধি প্রাংগনকে পরিষ্কার রাখার কারণে শরীর
সবসময় পরিষ্কার থাকে, গায়ে ধুলাবালি ষ্পর্শ হয় না।
৪) গরম বাতাস, আগুনের তাপ কিংবা সূর্যের
উত্তাপে ঘাম বের হয় না।
৫) কুষ্ঠ রোগ, চর্ম রোগ, গন্ড রোগ, ফোসকা,
খোস-পাচড়া জাতীয় রোগ শরীরে উৎপন্ন হয় না।
৬) চিত্ত বিকারগ্রস্থ, পাগল হয় না। প্রত্যেক
জন্মে শত্রুমুক্ত থাকে। শরীর রোগমুক্ত হয়।
৭) প্রত্যেক জন্মে আগুন, জল, চোর-ডাকাত
ইত্যাদির উপদ্রব থেকে রক্ষাপ্রাপ্ত হয়।
৮) পরিহানীহীন ধন সম্পদের অধিকারী হয়।
৯) অধীনস্ত দাস-দাসী, কর্মচারীরা আদেশ পালন,
মান্য করে।
১০) আয়ুকাল পরিপূর্ণ করে দেহত্যাগ হয়।
১১) প্রত্যেকেই মৈত্রী চিত্তে উন্নতি সুখ
কামনা করে।
যে ব্যক্তি বুদ্ধের পরিভোগ চৈত্য বোধি
বৃক্ষকে উদ্দেশ্য করে কুশল বৃদ্ধি করবে, সেই ব্যক্তির অপ্রাপ্তি কিছুই থাকবে না।
তাই আমরা পুণ্যের পরিধি জেনে যদি প্রতিনিয়ত এভাবেই কুশল কর্ম সম্পাদন করি তাহলে
আমরা সেইরকম সবকিছুই প্রাপ্ত হব। সকলের মংগল কামনা করছি।
সূত্র – দান
ও
ফল, উ গুণবদ্ধন পঞ্ঞা থের