কেন একবার হেসেছিল আবার কেদেছিল?

অতীতকালে বারাণসীতে একজন পন্ডিত ব্রাক্ষ্মণ বাস করতেন। একদিন তিনি একজন মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের জন্য একটি ছাগল হত্যা করার মানসে নিয়ে আসলে তার শিষ্য ছাগলটিকে স্নান করিয়ে পুষ্পমাল্য পরিয়ে নিয়ে আসে। ছাগলটিকে হত্যা করার পূর্ব মুহুতে ছাগল হেসে উঠে। পরক্ষণে আবার কেদে ফেলে। তা দেখে ব্রাক্ষ্মণ এর কারণ জিজ্ঞাসা করে। উত্তরে ছাগল মনুষ্য ভাষায় বলে, অতীত জীবনের কথা স্মরণ হয়েছে। ৫০০ জন্ম পূর্বে একজন পন্ডিত ব্রাক্ষ্মণ হয়ে একটি ছাগল হত্যা করে। সেই কর্ম বিপাকের কারণে ৪৯৯ বার ছাগল হয়ে জন্ম নেয়ার পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এটাই তার শেষ জন্ম। আজ সে মুক্ত হবে। এজন্য সে হেসেছিল। আর ব্রাক্ষ্মণ তাকে হত্যা করার পর ৫০০ জন্ম ছাগল হয়ে জন্ম নিয়ে মহাদু:খ ভোগ করবে বলেই কেদেছিল। একথা শোনার পর ব্রাক্ষ্মণ তাকে হত্যা না করে তাকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করেন। তারপর ও বাচাতে পারেনি ছাগলটিকে। ছাগলটি পাহাড় ধারে ঘাস খাবারসময় বজ্রপাতে একটি পাথর ছাগলের গলায় পতিত হয়ে ছাগলের শির দেহ হতে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এভাবেই ছাগলটির মৃত্যু হয়। এটি দ্বারা বোঝা যায় প্রাণীহত্যার পাপ কতই না ভয়ংকর।

 

 সূত্র – বিশ্বশান্তির সোপান পঞ্চশীল, শ্রী কুশলায়ন ভিক্ষু।