যারা নিয়মিত ভাবনা করে এগুতে চান, তারা এই
পোষ্টগুলো গুরুত্ব সহকারে নিবেন। প্রয়োজনে লিখে রাখবেন। যারা ভাবনা কোর্সে অংশগ্রহণ
করবেন বা করেছেন তারা জানেন নিশ্চয়ই ভাবনা কোর্স চলাকালীন প্রতিদিন গুরুভান্তেএসব
বিষয়ে দেশনা করে থাকেন। যারা জেনে পড়ে যাবেন তাদের এইসব বিষয়গুলো ধরতে বা জানতে
খুবই সুবিধা হবে। আর যারা না জেনে যাবেন তাদের জন্য নতুন বিষয় যেহেতু প্রথমে বুঝতে
কষ্ট হবে। অনেক সময় লাগবে আয়ত্ত করতে। তাই ভাবনা কোর্সে যান আর না যান, সবসময় পড়ে
পড়ে আয়ত্তে রাখবেন। দেখবেন একদিন এই পড়াটা আপনাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। কাজ
যেমন আগেভাগে করে রাখলে পরে কম করলে চলে, অনুরূপ।
এবার জেনে নিই কেন আমাদের শরীর বিদর্শন
ভাবনার কেন্দ্র? অনেকেই বলে থাকেন বিদর্শন ভাবনা করতে হলে পাহাড় পর্বতে বা নির্জন
কোন জায়গায় গিয়ে করতে হবে। নাহলে সঠিকভাবে হবে না। এটা
ভুল ধারণা। কারণ চিত্তের উৎপত্তি-বিনাশ
নাম-রূপের মধ্যেই বিদ্যমান। চিত্তে উৎপত্তি
ও
বিনাশকে যে চিত্ত দর্শন করে তাহা নাম-রূপের মধ্যে আছে। উৎপত্তি
ও
বিনাশের অর্থ “জন্ম-মরণ”। জন্ম
ও
মরণকে “দু:খ সত্য” বলে। সেইজন্ম
ও
মরণকে যে চিত্ত দর্শন করে , তাকে “মার্গ-জ্ঞান” বা মার্গ-সত্য বলে। বিদর্শন ভাবনার
অর্থ দর্শ-বিজ্ঞান, শ্রবণ-বিজ্ঞান, গন্ধ-বিজ্ঞান, রস-বিজ্ঞান এবং
ষ্পর্শ-বিজ্ঞানগুলির উৎপত্তি বিনাশকে দর্শন করা। কাজেই বিদর্শনের স্থান আমাদের
শরীর। যে কোন স্থানে, যে কোন পরিবেশে, যে কোন সময় ভাবনা করা যায়।
ধারাবাহিকভাবে আরো কিছু জানাব পরবর্তী পোষ্ট
সমূহে। সকলে চেষ্টা করুন নিজেকে মুক্তির পথে আনতে। আলোর পথে চলতে। চেষ্টা করলে সুফল
মিলবেই। এই জন্মে কাজ একটু এগিয়ে রাখলে সেই পুণ্যশক্তির প্রভাবে আগামী জন্মে একটু
কম কষ্ট করলেই পেয়ে যাবেন হয়তো কোন একটি মার্গ জ্ঞান। দু:খ থেকে মুক্তি মিলিবেই
মিলিবে। বুদ্ধের বাক্য মিথ্যা নয়- সকলের মধ্যে বুদ্ধ হবার যোগ্যতা রয়েছে । শুধু
প্রয়োজন বীর্যশক্তি। জয়মংগল হোক সবার।