বুদ্ধের পরিনির্বাণের পর রাজা অজাতশত্রু
বুদ্ধের শারীরিক ধাতুচৈত্য নির্মাণ করেন। সেখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ সেই চৈত্যকে
পূজা করতে যায়। একদিন এক গরীব মেয়ে চারটি ঝিংগা ফুল নিয়ে বুদ্ধ ধাতু চৈত্য পূজা
করতে যাচ্ছিল। কারণ সে গরীব বলে তার দামী ফুল কেনার সামর্থ্য ছিল না। পূজা করতে
যাবার সময় বুদ্ধগুণে নিমগ্ন ছিল। হঠাৎ একটি গাভী এসে মেয়েটিকে শিং দিয়ে মেরে ফেলে।
মৃত্যুর পর মেয়েটি দেবলোকে জন্মলাভ করে। তখন দেবলোকের সকলে একটি দেবতাদের সভা হবে
সেখানে যাচ্ছিল। হঠাৎ মাঝখানে এই মেয়েটির দেবকন্যা রূপে আবির্ভূত হবার পরে স্বয়ং
দেবরাজ ইন্দ্র তাকে জিজ্ঞাসা করলেন--- হে দেবতে, তুমি মনুষ্যলোকে কি এমন পুণ্য
করেছিলে যার জন্য তোমার স্বর্ণ-চন্দন-উৎপল বিমন্ডিতা, স্বর্ণ বস্ত্রালংকারে
বিভূষিতা, স্বর্ণ-ভাজনে ভোজিনী, স্বর্ণ-প্রাসাদ-আসন-শয়ন-শায়িনী,
স্বর্ণ-বিজনী-সেবনী, স্বর্ণ-ছত্র-ধ্বজাধারিণী, স্বর্ণ-অশ্বরথারোহিনী।
উত্তরে দেবকন্যা বললেন--- আমি চারটি কোসাতকী
(ঝিংগা ফুল) নিয়ে বুদ্ধগুণ স্মরণ করতে করতে বুদ্ধ ধাতু চৈত্য পূজা করতে যাচ্ছিলাম।
পথিমধ্যে একটি গাভী আমাকে হত্যা করে। সেই পুণ্যফলেই আমি এমন সৌভাগ্য শ্রী লাভ করেছি
এবং আপনার সহচরী হতে পেরেছি।