যদি বুদ্ধ শাসন না পেয়ে দুর্লভ নবম ক্ষণের
সাক্ষাৎ না পেতাম, যদি অষ্ট অক্ষণের যে কোন একটি অক্ষণে নিপতিত হয়ে থাকতাম তাহলে
কখনো এমন দুর্লভ জন্ম লাভ করতে পারতাম না। আমরা এখনো সৌভাগ্যবান যে আমরা চর্তুঅপায়
অর্থাৎ প্রেত, তির্যক, অসুর এবং নরকলোক বা চারটা অশুভ ক্ষণ অতিক্রম করেছি। অরূপ
ব্রক্ষ্মলোকে উৎপন্ন হলে সেখানে ধর্ম দর্শন করা সম্ভব হতো না। মিথ্যাদৃষ্টি সম্পন্ন
মাতা-পিতার ঘরে জন্ম নিই নাই, বুদ্ধ, ধর্ম, সংঘহীন প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম হয় নাই,
পঞ্চ ইন্দ্রিয় বিকলাংগ হয়ে জন্ম হয়নি, বুদ্ধ শূন্যকালে শূন্যকল্পে জন্ম নেই নাই। এই
আট রকমের অশুভ স্থান বা কাল পেরিয়ে এসেছি অতীতের পারমীর ফলে জন্ম-জন্মান্তরের
দানময়, শীলময়, ভাবনাময় পুণ্যের হেতুর ফলে দুর্লভ নবম ক্ষণে আমাদের জন্ম। আমরা বৌদ্ধ
শাসন পেয়েছি, ধর্ম শ্রবণের সুযোগ পাচ্ছি, বৌদ্ধ কূলে জন্মগ্রহণ করেছি। এখন শুধু
প্রয়োজন নিজেদের সেই দুর্লভ জন্মের সময়কে কাজে লাগানো। যদি যথাযথভাবে কাজে লাগাতে
পারি তাহলে আমরা হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করব। নিজেরা অপায়মুক্ত হবো। নির্বাণ সাক্ষাৎ
হবে। সকলের মধ্যে সেই চেতনা জাগ্রত হোক।
সূত্র-দেশনা কল্পতরু।