মহাউপাসিকা বিশাখা কিরকম মহাশক্তিধর ছিলেন?

মহাউপাসিকা বিশাখার অনেক গুণের কথা আমরা জানি। আজ জানব বিশাখা কিরকম শারীরিক শক্তির অধিকারী ছিলেন?

বিশাখা অতীত জন্মে পঞ্চ গোরসাদি প্রচুর পুষ্টিকর খাদ্য দান করেছিলেন। খাদ্য ভোজ্য দানের প্রভাবে দাতা আয়ু-বর্ণ-সুখ-বল-প্রজ্ঞা এই পাচটি সম্পদ লাভ করে। দানের ফল এমনিই মহান। বিশাখা পঞ্চ হস্তীর বল ধারণ করতেন। যারা পুষ্টিকর খাদ্য দান করেন তারা মহাশক্তির অধিকারী হন। একদিন কোশলরাজ বিশাখার শারীরিক শক্তির কথা জানতে পেরে বিশাখাকে পরীক্ষা করার মানসে একদিন বিশাখা যখন পঞ্চশত সখীসহ বিহার থেকে গৃহে প্রত্যাবর্তন করছিলেন, তখন রাজা একটি মদমত্ত হস্তী ছেড়ে দিলেন। শুন্ড ঘুরায়ে হস্তী বিশাখার দিকেই ধাবিত হলো। সখীরা প্রাণভয়ে চিৎকার করে পালাতে লাগলো এবং বিশাখাকে পালানোর জন্য অনুরোধ করলো। বিশাখা মৃদু হেসে বললেন, তোমরা ভয় পেয়ো না, নীরবে আমার পিছনে দাড়িয়ে থাকো। একথা বলতে না বলতেই হস্তীটি বিশাখারর সম্মুখে এসে পড়লো। বিশাখা হস্তীর শুড় দুই আংগুলে ধরায় হস্তী তাহা সহ্য করতে না পেরে চিৎ হয়ে পড়ে গেলো। এ দৃশ্য দেখার জন্য বহুলোক সমাগত হয়েছিল। সকলেই পুণ্যবতী বিশাখার অসাধারণ শক্তি দেখে আশ্চর্য্যান্বিত হয়ে গেলেন। আসলেই দানের ফল অচিন্তনীয়। আমরা যদি ইচ্ছা করি জন্ম-জন্মান্তরে এরকম পুণ্যশক্তির অধিকারী অনায়াসে হতে পারি। তজ্জন্য প্রয়োজন আমাদের উদার দানচিত্ত।

 

সূত্র – বিশাখা, শ্রীমৎ শীলালংকার মহাস্থবির