আর্যমিত্র বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী

 

আজ অষ্টমী। সকলকেই আমার পুণ্যরাশি দান করছি। সকলেই সুখী হোক, দু:খমুক্ত হোক। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা আর্যমিত্র বুদ্ধের সম্পর্কে জানতে চান। আজকের লেখাটি হচ্ছে অনাগত আর্যমিত্র বুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত জানার প্রচেষ্টা।

আর্যমিত্র বোধিসত্ত্ব ষোল অসংখ্যেয় একলক্ষ কল্প পারমী পূরণ করার শেষ সময়ে বোধিসত্ত্বরূপে তুষিত স্বর্গে থাকবেন। যথাসময়ে দেব ব্রক্ষ্মাগণ তাকে বন্দনা করে প্রার্থনা করবেন ------“বোধিসত্ত্ব আপনি মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ করে মানবরূপে জন্ম নিয়ে একত্রিশটি লোকভূমি আলোকিত করুন। নির্বাণ পথ প্রদর্শন করুন।“

তখন বোধিসত্ত্ব্ তুষিত স্বর্গ থেকে চ্যুত হয়ে কেতুমতি রাজ্যে শংক চক্রবর্তী রাজার শুব্রক্ষ্ম ব্রাক্ষ্মণের স্ত্রী ব্রক্ষ্মগতি ব্রাক্ষ্মণীর গর্ভে আর্যমিত্র বোধিসত্ত্ব প্রতিসন্ধি গ্রহণ করবেন। তার জন্ম হবে ঋষিপতন মৃগদা নামক স্থানে। তখন তার নাম রাখা হবে অজিত কুমার। যথোপযুক্ত সময়ে তিনি সংসারধর্ম পালন করবেন।

যেই পারমীবতী মহিলা অজিত কুমারের স্ত্রী হবেন তিনি ছয়টি গুণে গুণান্বিতা থাকবেন। তার স্ত্রীর নাম হবে চন্দ্রমুখী। উনার শরীর থেকে সর্বদা বার হাত পরিবেষ্টিত জ্যোতি বের হতে থাকবে। অর্থাৎ সবসময় চলনে, বলনে, শয়নে, স্বপনে উনি জ্যোতির্ময় আলোকিত হয়ে থাকবেন। কেমন পারমীবান দেখুন?

সংসার জীবন যখন দশ হাজার বৎসর পূর্ণ হবে  তখন একদিন উনি উদ্যান ভ্রমণে বের হবার দিনেই পুত্র সন্তান লাভ করবেন। পুত্রের নাম রাখা হবে ব্রক্ষ্মবংশ। যেদিন পুত্র জন্ম নেবে সেদিন তিনি মায়ার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য সংসার ত্যাগ করবেন। সংসার ত্যাগ করার পর মাত্র ছয়দিন সাধনা করে অরহত্ত্ব মার্গফলে উপনীত হয়ে সম্যক সম্বুদ্ধত্ব লাভ করে দেবতা, ব্রক্ষ্মা এবং মানবের শাস্তারূপে ত্রিলোক পূজ্য হবেন।

 

সূত্র –দেশনা কল্পতরু (উপঞ্ঞা জোত থের)