ভাবনা করতে গেলে প্রথমে কি কি করতে হবে?

 

ভাবনা ছাড়া নির্বাণ লাভ বা দর্শন করা কোনদিনই সম্ভব নয়। দান, শীলের পরেই ভাবনা পরিপূর্ণ করতে হবে। নতুবা দু:খ থেকে মুক্তি সূদুর পরাহত। ভাবনা ব্যতীত নির্বাণ কামনা করা বোকামী। তাই প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ভাবনা করুন। এভাবে আস্তে আস্তে  এগিয়ে যান দেখবেন এমন একটা সময় আসবে যখন আপনার মনে প্রশান্তি আসবে। তখন মনে হবে এটাই সত্যিকারের জীবন। শুধুমাত্র খেলাম, বেড়ালাম, ঘুমালাম এটা জীবন নয়। ঘরে বসে ১০ মিনিট ভাবনার সুফল পাবেন যখন কোন ভাবনা কোর্সে অংশগ্রহণ করবেন। তখন এতো কষ্ট পেতে হবে না। আপনি যদি নিয়মিত ভাবনা করেন কিছু কিছু ক্লেশমার ধ্বংস করতে পারবেন। যেমন বসামাত্রই ঝিনঝিন, পা ব্যথা করা, চুলকানি, মনে হবে হাতের উপর কিছু হাটছে এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মারগুলো ধ্বংস করতে পারলে অনেক। এখন বলি কিভাবে ধ্যানে বসবেন?

প্রথমে আপনি বুদ্ধের সামনে হোক বা নিরিবিলি যে কোন জায়গায় পদ্মাসন বা অর্ধপদ্মাসনে বসবেন। শরীর সোজা রাখতে চেষ্টা করবেন। শরীর যাতে না ঝুকে। তারপর চোখ বন্ধ করে নাকের অগ্রভাগে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে নিজের শ্বাস প্রশ্বাসকে দেখার চেষ্টা করুন। অন্য চিন্তা থেকে বিরত থাকবেন। শ্বাস টানলে “টানছি” বলে জানুন। শ্বাস ছাড়লে “ছাড়ছি” বলে জানুন। যদি মন শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে সরে যায়, তাহলে আবার শ্বাস-প্রশ্বাসে মনকে ফিরিয়ে আনুন। এভাবে করতে করতে মন একাগ্র হতে থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাসে মন নিবিষ্ট থাকলে আস্তে আস্তে সমাধি আসবে। তবে এতো তাড়াতাড়ি সমাধি চিত্ত উৎপন্ন হবে ভাববেন না। না হোক ক্ষতি নেই, তবু জন্ম জন্মান্তরের জন্য কুশল পারমী, কুশল সংষ্কার আপনার সৃষ্ঠি হবে। যে কোন এক জন্মে আপনার এই কুশল সংষ্কার ফলবান হয়ে নির্বাণের দিকে অগ্রসর করবে। সকলেই প্রজ্ঞাবান হোন।