তথাগত ভিক্ষুদের বলিলেন, অতীতকালে যত বুদ্ধ
উৎপন্ন হয়েছেন, সকলের একজন সেবক ছিলেন, যেমন আমার আনন্দ। ভবিষ্যতে যত উৎপন্ন হবেন,
তাদেরও
একজন সেবক থাকবে, যেমন আমার আনন্দ। ভিক্ষুগণ, আনন্দ পন্ডিত, মেধাবী।
ভিক্ষুগণ, আনন্দের চারিটি আশ্চর্য্য
ও
অদ্ভুদ গুণ আছে। সেই চারিটি গুণ হলো---
১) ভিক্ষুগণ (আনন্দের প্রশংসার কথা, গুণ
ব্যাখ্যা শুনিয়া) যদি ভিক্ষু পরিষদ তাহাকে দর্শন করিতে আগমন করে, তবে আনন্দকে
দেখিয়াই তাহারা প্রীত হয়।
২) যদি আনন্দ ধর্মভাষণ করে, তবে তাহার বাক্য
শ্রবণেই তাহারা প্রীত হয়।
৩) তাহার দর্শনে, তাহার বাক্য শ্রবণে
ভিক্ষুদের সাধ মিটে না। যত দেখে, তত দেখিতে ইচ্ছা হয়, যত আনন্দের কণ্ঠস্বর শুনে,
ততই শুনিতে ইচ্ছা হয়। তাহাদের অতৃপ্তাবস্থাতেই আনন্দ নীরবতা অবলম্বন করে।
৪) যদি ভিক্ষুণী পরিষদ, উপাসক পরিষদ, উপাসিকা
পরিষদ আনন্দকে দর্শন করিতে উপস্থিত হয়, তবে তাহাকে দেখিয়াই তাহারা প্রীত হয়।
তথাগত বলিলেন, হে ভিক্ষুগণ আনন্দের এই চারিটি
আশ্চর্য্য
ও
অদ্ভুদ গুণ আছে।
উল্লেখ্য, আনন্দ যখন ভূমিষ্ট হয় , তখন
আত্মীয়-স্বজন সকলের মনে আনন্দের ফল্গুধারা বয়ে গিয়েছিল। এজন্য তার নাম রাখা হয়
আনন্দ। অসম্ভব পরিশ্রমী, ত্যাগী, তীক্ষ্ন স্মৃতিশক্তির অধিকারী (বুদ্ধ যেরকম দেশনা
করতেন সেই দেশনা পরবতীতে নির্ভুলভাবে বলতে পারতেন) পারমী সম্ভারে পরিপূর্ণ
মহাজ্যোতিসম্পন্ন আনন্দ স্থবির ছিলেন তথাগতের অতীব প্রিয়ভাজন পূণ্যবান সত্ত্ব।
নতশিরে বন্দনা জানাই এরকম মহাপুণ্যবান
ভিক্ষুর চরণতলে। সকলের মংগল কামনা করছি।
সূত্র-মহাপরিনির্বাণ সূত্র।