৪৬.জগতিদায়ক বর্গ

১.জগতিদায়ক স্থবির অপদান

১.আমি অতীব প্রসন্নমনে মহামুনি ধর্মদশীভগবানের উত্তম বোধিপাদপের বারান্দাটি তৈরি করে দিয়ে ছিলাম।

২.পাহাড়-পর্বত অথবা বৃক্ষ হতে পড়ে গিয়ে আমি ঠিকই নিচে একটি ভিত্তি পেতাম যেখানে আমি দাঁড়াতে পারতাম। ইহা আমার বারান্দ তৈরি করে দেওয়ারই ফল।

৩.চোরেরা আমার কোনো ক্ষতি করত না। ক্ষত্রিয় রাজারা আমাকে অবজ্ঞা করত না। আমি অমার সকল শত্রুকে পরাজিত করতাম। ইহা আমার বারান্দা তৈরি করে দেওয়ারই ফল।

৪.দেবলোকে অথবা মনুষ্যলোকে আমি যেখানেই জন্ম নিই না কেন, সর্বত্রই পূজিত হতাম। ইহা আমার বারান্দা তেরি করে দেওয়ারই ফল।

৫.আজ থেকে আঠার কল্প আগে আমি যেই মাটি দান দিয়েছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার বারান্দা তৈরিকরে দেওয়ারই ফল।

৬.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।

৭.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

৮.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মানজগতিদায়ক স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [জগতিদায়ক স্থবির অপদান প্রথম সমাপ্ত]

২.মোরহস্তিয় স্থবির অপদান

৯.একদিন আমি ময়ূরপালকে তৈরি পাখা হাতে নিয়ে লোকনায়ক বুদ্ধের কাছে গিয়েছিলাম এবং অতীব প্রসন্নমনে ময়ূরপালকে তৈরি পাখাটি দান করেছিলাম।

১০.এই ময়ূরপালকে তৈরি পাখা দনের ফলে ও প্রার্থনা অনুযায়ী আমি রাগাগ্নি, দ্বেষাগ্নি ও মোহাগ্নি এই ত্রিবিধাগ্নি নিভিয়ে ছিলাম এবং বিপুল সুখ লাভ করেছিলাম।

১১.আহো বুদ্ধ! অহো ধর্ম! অহো আমাদের শাস্তাসম্পদ!ময়ূরপালকে তৈরি পাখা দান করেই আমি বিপুল সুখ লাভ করেছিলাম।

১২.আজ আমার ত্রিবিধাগ্নি সম্পূর্ণ নির্বাপিত জন্মসকল ধ্বংসপ্রাপ্ত ও সর্বাসব পরিক্ষীণ হয়েছে। এখন আমার আর কোনো পুনর্জন্ম নেই।

১৩.আজ থেকে একত্রিশ কল্প আগে আমি যেই দান করেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার ময়ূর পালকে তৈরি পাখা দানেরই ফল।

১৪.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।

১৫.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

১৬.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মান মোরহস্তিয় স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [মোরহস্তিয় স্থবির অপদান দ্বিতীয় সমাপ্ত]

৩.সিংহাসনীজিয় স্থবির অপদান

১৭.আমি তিষ্য ভগবানের বোধিবৃক্ষকে বন্দনা করেছিলাম। সেখানে আমি একটি বিজনী নিয়ে বুদ্ধের সিংহাসনকে বাতাস করেছিলাম।

১৮.আজ থেকে বিরানব্বই কল্প আগে আমি বুদ্ধের সিংহাসনকে বাতাস করেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার বাতাস করারই ফল।

১৪.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।

১৫.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীবশুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

১৬.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মান মোরহস্তিয়স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [মোরহস্তিয় স্থবির অপদান তৃতীয়সমাপ্ত]

৪.ত্রি-উল্কাধারী স্থবির অপদান

২২.পদুমুত্তর বুদ্ধের উত্তম বোধিপাদপে আমি অতীবপ্রসন্নমনে তিনটি উল্কক (অগ্নিমলশাল) ধারণ করেছিলাম।

২৩.আজ থেকে লক্ষ কল্প আগে আমি যেই উল্কা ধারণ করেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার উল্কা দানেরই ফল।

২৪.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।

২৫.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

২৬.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মানত্রি-উল্কাধারী স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [ত্রি-উল্কাধারী স্থবির অপদান চতুথসমাপ্তর্]

৫.অক্কমণদায়ক স্থবির অপদান

২৭.আমি বশীভূতমুনি ককুসন্ধ ভগবান বুদ্ধকে দিবাবিহার ত্যাগ করার সময় অক্কমণ দান করেছিলাম।

২৮.এই ভদ্রকল্পেই আমি যেই দান করেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার অক্কমন দানেরই ফল।

২৯.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।

৩০.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

৩১.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মান অক্কমনদায়কস্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [অক্কমনদায়ক স্থবির অপদান পঞ্চম সমাপ্ত]

৬.বনকোরণ্ডিয় স্থবির অপদান

৩২.আমি বুনোফুল হাতে নিয়েবুদ্ধ সিদ্ধার্থ ভগবানকে দান করেছিলাম।

৩৩.আজ থেকে চুরানব্বই কল্প আগে আমি বুদ্ধেকে যেই পুষ্প দানকরেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার বুদ্ধকে পুষ্প পুজা করারই ফল।

৩৪.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।

৩৫.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

৩৬.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি। ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মানবনকোরণ্ডিয় স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [বনকোরণ্ডিয় স্থবির অপদান ষষ্ঠ সমাপ্ত]

[বিশতম ভাণবার সমাপ্ত]

৭.একছত্রিয় স্থবির অপদান

৩৭.এই পৃথিবী অঙ্গার হতে উৎপন্ন ও কঠিন সব পদার্ ে ভরপর। তাই পদুমুত্তর ভগবান খোলা আকাশে চংক্রমণ করছিলেন।

৩৮.তখন আমি একটি পশুরবর্ণের ছাতা হাতে নিয়ে পথ দিয়ে যাচ্ছলাম। পথিমধ্যে সম্বুদ্ধকে দেখে আমার মনে গভীর ভক্তি উৎপন্ন হয়েছিল।

৩৯.এই ভূমি মরিচীকায় ভরা এই পূথিবীও অঙ্গারসম আর শরীরের আয়ুক্ষয়ী প্রবল বাতাস ও দ্রুতগতিতে প্রবহমান।

৪০.হে ভগবান, শীত-উষ্ণ ও বায়ু-তাপ নিবারক এই ছাতা গ্রহণ করুন, যাতে আমি নিবৃতি (নির্বাণ) স্পর্শ করতে পারি।

৪১.পরম অনুকম্পাকারী, মহাকারুণিক, মহাযশস্বী জিন পদুমুত্তর বুদ্ধ আমার কল্পেরসং কথা অবগত হয়ে আমার দেওয়া ছাতা গ্রহণ করেছিলেন।

৪২.ত্রিশ কল্প ধরে আমি দেবলোকে দেবেন্দ্র হয়ে রাজত্ব করেছিলাম। একশ পাঁচবার আমি চক্রবর্তী রাজা হয়েছিলাম।

৪৩.আর প্রাদেসি রাজা তো অসংখ্যবার হয়েছিলাম। এভাবেই আমি আমার পূর্বকৃত সুকর্মের ফল ভোগ করেছিলাম।

৪৪.এই ভবসংসারে এই আমার শেষ জন্ম। অথচ এই জন্মেও আমার মাথার উপর সব সময় শ্বেতচ্ছত্র ধারণ করা হয়।

৪৫.আজ থেকে লক্ষ কল্প আগে আমি যেই ছাতা দান করেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার ছাতা দানেরই ফল।

৪৬.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।

৪৭.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

৪৮.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মানএকছত্রিয় স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [একছত্রিয় স্থবির অপদান সপ্তম সমাপ্ত]

৮.জাতিপুষ্পিয়স্থবির অপদান

৪৯.মহযমস্বী পদুমুত্তর ভগবান পরিনির্বাপিত হওয়ার পর আমি ফুলের মালা তৈরি করে বুদ্ধের শরীরে দান করেছিলাম।

৫০.তাতে আমি প্রসন্নচিত্ত হয়ে নির্মাণরতি দেবলোকে গমন করেছিলাম। দেবলোকে যাওয়ার পর আমি আমার পূর্বকৃতপুণ্যকর্ম স্মরণ করেছিলাম।

৫১.আকাশ থেকে আমার উপর প্রতিনিয়ত পুষ্পবৃষ্টিতো।হ মনুষ্যলোকে জন্ম নিলে আমি মহাযশস্বী রাজা হতাম।

৫২.সেখানেও আমার উপর প্রতিনিয়ত কুসুমবৃষ্টি বর্ষিত হতো। এগুলো হতো সর্বদর্শী ভগবানকে ব্যাপকভাবে পুষ্পপূজা করার কারণে।

৫৩.এই ভবসংসারে এই হচ্ছে আমার শেষ জন্ম। অথচ এই শেষ জন্মেও আমার উপর প্রতিনিয়ত পুষ্পবৃষ্টি হয়।

৫৪.আজ থেকে লক্ষ কল্প আগে আমি যেই বুদ্ধকে পুষ্পপূজাকরেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতেপড়তে হয়নি। ইহা আমার বুদ্ধের দেহপূজা করারইফল।

৫৫.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।

৫৬.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

৫৭.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি। ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মানজাতিপুষ্পিয়স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [জাতিপুষ্পিয়স্থবির অপদান অষ্টম সমাপ্ত]

৯.পট্টিপুষ্পিয়স্থবির অপদান

৫৮.ভেরিবাজিয়ে যখন বুদ্ধের শরীর নিয়ে যাওয়ার হচ্ছিল তখন আমি অতীব প্রসন্নমনে পট্টিপুষ্প দিয়ে পূজা করেছিলাম।

৫৯.আজ থেকে লক্ষ কল্প আগে আমি যেই পুষ্প পূজা করেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার দেহপূজা করারই ফল।

৬০.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।

৬১.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

৬২.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মান পট্টিপুষ্পিয়স্থবির অপদান স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন।

[পট্টিপুষ্পিয়স্থবির অপদান নবম সমাপ্ত]

১০.গন্ধপূজকস্থবির অপদান

৬৩.ভগবান বুদ্ধের জন্য যখন শ্মশান তৈরি করা হচ্ছিল তখন সেখানে নানা ধরণের সুগন্ধি জড়ো করা হচ্ছিল। তাতে আমি ও অতীব প্রসন্নমনে একমুষ্টি সুগন্ধি দিয়ে পূজা করেছিলাম।

৬৪.আজ থেকে লক্ষ কল্প আগে আমি শ্মশানে সুগন্ধিপূজা করেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার শ্মশানে সুগন্ধি পূজা করারই ফল।

৬৫.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।

৬৬.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

৬৭.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।

ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মানগন্ধপূজকস্থবির অপদান স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [গন্ধপূজকস্থবির অপদান দশম সমাপ্ত]

[জগতিদায়ক বর্গ ছেচল্লিশতম সমাপ্ত]

স্মারক-গাথা

জগতিদায়ক, মোরহস্তিয়, সিংহাসনবীজিয়, ত্রি-উল্কাধারী, অক্কামনদায়ক, বন কোরণ্ডিয়, একছত্রিয়, জাতিপুষ্পিয়, পট্টিপুষ্পিয়স্থবির, ও গন্ধপূজকস্থবির, মোট এই দশটি মিলে সর্বমোট সাতষট্টি গাথায় এই বর্গ হয়েছে সমাপ্ত।