১.শালকুসুমিয়স্থবির অপদান
১.পদুমুত্তর ভগবান পরিনির্বাপিত হওয়ার পর তার দেহ যখন শ্মশানে তোলা হয়েছিল, তখন আমি শালপুষ্প দিয়ে পূজা করেছিলাম।
২.আজ থেকে লক্ষ কল্প আগে আমি যেই পুষ্পপূজা করেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার শ্মশানপূজা করারই ফল।
৩.আমার সমস্ত ক্লেশদগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।
৪.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
৫.চারি প্রতিসমিাদা্ভ অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মান শালকুসুমিয়স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [শালকুসুমিয়স্থবির অপদান প্রথম সমাপ্ত]
২.শ্মশান পূজকস্থবির অপদান
৬.লোকবন্ধু শিখী ভগবানের দেহ দগ্ধ করার সময় আমি আটটি চম্পক পুষ্প দিয়ে শ্মশানে দান করেছিলাম।
৭.আজ থেকে একত্রিশ কল্প আগে আমি শ্মশানে সুগন্ধিচম্পক পূষ্পপূজা করেছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার শ্মশানে সুগন্ধি পুষ্পপূজা করারই ফল।
৮.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।
৯.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
১০.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মান শ্মশানপূজকস্থবির অপদান স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন।
[শ্মশানপূজকস্থবির অপদান দ্বিতীয় সমাপ্ত]
৩.শ্মশান নির্বাপক স্থবির অপদান
১১.মহর্ষি বেস্সভূ ভগবানের দেহ শ্মশানে দগ্ধহওয়ারসময় আমি গন্ধোদক নিয়ে জ্বলন্ত শ্মশান্তের আগুন নিভিয়েছিলাম।
১২.আজ থেকে একত্রিশ কল্প আগে আমি শ্মশানের আগুন নিভিয়েছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতেপড়তে হয়নি। ইহা আমার গন্ধোদক দানেরই ফল।
১৩.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।
১৪.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
১৫.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধেরশাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মান শ্মশাননির্বাপক স্থবির অপদান স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন।
[শ্মশান নির্বাপক স্থবির অপদান তৃতীয়সমাপ্ত]
৪.সেতুদায়কস্থবির অপদান
১৬.বিপশ্বী ভগবানের চংক্রমণঘরের সামনে আমি অতীব প্রসন্নমনে সেতুতৈরি করে দিয়েছিলাম।
১৭.আজ থেকে একানব্বই কল্প আগে আমি সেতু তৈরি করে দিয়েছিলাম, সেই থেকে একবারও আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার সেতুদান করাইফল।
১৮.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।
১৯.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
২০.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মা সেতুদায়কস্থবির অপদান স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন।
[সেতুদায়ক স্থবির চতুর্থ সমাপ্ত]
৫.সুমন তালবণ্টিয় স্থবির অপদান
২১.সিদ্ধার্থ ভগবানকে আমি একটি তালপাতার পাখা দান করেছিলাম। আর আমি সেটি সুমনপুষ্পে আচ্ছাদিত করে মহাযশস্বীর উপর ধারণ করেছিলাম।
২২.আজ থেকে চুরানব্বই কল্প আগেআমি তালপাতার পাখা দান করেছিলাম, সেই থেকে একবারই আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার তালপাতার পাখা দানের ফল।
২৩.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।
২৪.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
২৫.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মান সুমনতালবন্টিয়স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [সুমন তালবণ্টিয় স্থবির অপদান পঞ্চম সমাপ্ত]
৬.অবটফলিয় স্থবির অপদান
২৬.অপরাজিত সয়মূ্ভ শতরংশি ভগবান সম্বুদ্ধবিবেকসুখে অবস্থানেচ্ছু হয়ে ভিক্ষার জন্যে বের হয়েছিলেন।
২৭.ফল হাকে যেতে যেতে আমি নরোত্তমবুদ্ধকে দেখেতাঁর কাছে গিয়েছিলাম এবং অতীব প্রসন্নমনে অবটফল দান করেছিলাম। আজ থেকে চুরানব্বই কল্প আগে আমি তালপাতার পাখা দান করেছিলাম, সেই থেকে একবারই আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার তালপাতার পাখা দানের ফল।
২৮.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।
২৯.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
৩০.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মানঅবটফলিয় স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [অবটফলিয় স্থবির অপাদান ষষ্ঠ সমাপ্ত]
৭.লবুজফলদায়কস্থবির অপদান
৩২.তখন বন্ধুমতিনগরে আমি এক আরামিক ছিলাম। একদিন আমি বিরজবুদ্ধকে সুনীল আকাশপথ দিয়ে যেতে দেখেছিলাম।
৩৩.আমি হাতে লবুজ ফল নিয়ে বুদ্ধশ্রেষ্ঠকে দান করেছিলাম। মহাযশস্বী বুদ্ধ আকাশ থেকেই তা গ্রহণ করেছিলেন।
৩৪.অতীব প্রসন্নমনে বুদ্ধকে ফল দান করে আমার ইহ জীবনেই সুখাবহ ভক্তি জাগ্রত হয়েছিল।
৩৫.আমি তখন বিপুল প্রীতি ও সুখ লাভ করেছিলাম। আমি যেখানেই জন্মাই না কেন সর্বত্রই আমার নত্ন উৎপন্ন হতো।
৩৬.আজ থেকে একানব্বই কল্প আগে আমি লবুজ ফলদান করেছিলাম, সেই থেকে একবারই আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার ফলদানেরই সুফল।
৩৭.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।
৩৮.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
৩৯.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মানলবুজফলদায়কস্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [লবুজফলদায়কস্থবির অপদান সপ্তম সমাপ্ত]
৮.পিলক্ষফলদায়ক স্থবির আপদান
৪০.গভীর বনে আমি মহাযশস্বী অর্থদর্শী বুদ্ধকে দেখে অতীত প্রসন্নমনে পিলক্ষফল দান করেছিলাম।
৪১.আজ থেকে আঠার কল্প আগে আমি যেই ফল দান করেছিলাম, সেই থেকে একবারই আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার ইহা আমার ফল দানেরই সুফল।
৪২.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।
৪২.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
৪৩.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মানপিলক্ষফলদায়ক স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [পিলক্ষকদায়ক স্থবির অপদান অষ্টম সমাপ্ত]
৯.স্বয়ং প্রতিভাণিয় স্থবির অপদান
৪৫.রাজকীয় প্রতিকের ন্যায় দেবাতিদেব নরোত্তম বুদ্ধকেরথে চড়ে যাচ্ছেন দেখে কে প্রসন্ন হয় না?
৪৬.অজ্ঞতারূপ তমঃঅন্ধকার নাশ করে, বহুমানুষকে সংসার দুঃখ হতে ক্তমুকরে জ্ঞানালোকে জ্যোর্তিময় বুদ্ধকে দেখে কে প্রসন্ন হয় না ?
৪৭.বহুসত্ত্বকে উদ্ধারকারী ও লাখো ক্ষীণাসব অর্হত্ত্বের পরিচালক লোকনায়ক বুদ্ধকে দেখে কে প্রসন্ন হয় না?
৪৮.ধর্মভেরিবাদক, অন্যতীর্থিয়গনকে দমনকারী ও সিংহনাদকারী বুদ্ধকে দেখে কে প্রসন্ন হয় না?
৪৯.ব্রহ্মলোক হতে এসে ব্রহ্মাগণ যাঁকে নিপুণ প্রশ্ন করেনতাঁকে দেকে কে প্রসন্ন হয় না ?
৫০.দেবতারা যাঁকে অজ্ঞলি নিবেদনকরে প্রার্থনা করেন, আর জন্মে জন্মে সেই পুণ্যভোগ করেন তাকে দেখে কে প্রসন্ন হয় না ?
৫১.জনতা সকল সমবেত হয়ে চক্ষুষ্মান বুদ্ধকে ভোজনের নিমন্ত্রণ করে, আর তাতে তিনি মোটেই বিচলিত হন না, তাঁকে কে প্রসন্ন হয় না ?
৫২.যিনি নগরে প্রবেশ করার সাথে সাথে বহু ভেরি বেজে উঠে ও প্রমত্ত হাতিরা গর্জে উঠে, তাকে দেখে কে প্রসন্ন হয় না ?
৫৩.যিনি পথ দিয়ে যাবার সময় সমস্ত রাস্তা তার শরীরের আভায় আলোকিত হয়, গর্বিত হয় তাঁকে দেখে কে প্রসন্ন হয় না?
৫৪.বুদ্ধ যখন দেশনা করেন তখনতাঁর কথা সমগ্র চক্রবালের সত্ত্বগণ শুনতে পায়, সকল সত্ত্বগণের ধর্মজ্ঞান উদয় হয়, তাকে দেখে কে প্রসন্ন হয় না ?
৫৫.আজ থেকে লক্ষকল্প আগে আমি যে বুদ্ধের ভূয়শী প্রশংসাকরেছিলাম, সেই থেকে একবারই আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার প্রশংসা করারই ফল।
৫৬.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।
৫৭.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
৫৮.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মানস্বয়ংপ্রতিভাণিয় স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [স্বয়ংপ্রতিভাণিয় স্থবির অপদান নবম সমাপ্ত]
১০.নিমিত্ত ব্যাকরণিয় স্থবির অপদান
৫৯.তখন আমি হিমালয় পর্বতে প্রবেশ করে মন্দ্র শিক্ষা দিতাম। চুয়ান্ন হাজার শিষ্য আমাকে সেবা করত।
৬০.তারা সবাই সর্ববিধ বেদ অধিকার করে, ষড়াঙ্গ পারমী পূরণ করে ও স্ব স্ব বিদ্যার উপর নির্ভর করে হিমালয়ে বসবাস করত।
৬১.মহাযশস্বী দেবপুত্র তুষিত স্বর্গ হতে চ্যুত হয়ে মাতর্ভৃপ্রতিসন্ধিগ গ্েরহণ করেছেন, এই বোধ আমার আপনাতেই জাগ্রত হয়েছিল।
৬২.সম্বুদ্ধ জগতে জন্ম নেওয়ার সময় দশ সহস্র চক্রবাল কম্পিত হয়েছিল। লোক নায়ক উৎপন্ন হওয়ার সময় অন্ধরা চক্ষু লাভ করেছিল।
৬৩.এই পৃথিবী সর্বাকারে প্রকম্পিত হওয়ায় ও ব্রহ্মণনির্ঘোষ শব্দ শুনে বহু মানুষ উদ্বিগ্নন হয়েছিল।
৬৪.তারা সকলে মিলে আমার কাছে এসেছিল। তারা আমাকে প্রশ্ন করেছিল, এই পৃথিবী প্রকম্পিত হওয়ার কারণ কী হতে পারে ?
৬৫.তখন আমি তাদের বলোছিলাম, কেঁদো না। ভয়ের কোনো কারণ নেই। সবাই এই ভেবে আশ্বস্ত হও যে, সামনে শুভ কিছু হতে যাচ্ছে।
৬৬.আটটি কারণে এই পৃথিবী প্রকম্পিত হয় এবং ঠিক একই কারণেনিমিত্ত ও বিপুল জ্যোতিদেখা যায়।
৬৭.এই বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই, জগতে চক্ষুষ্মান বুদ্ধশ্রেষ্ঠ জন্ম নেবেন।জনতার উদ্দেশে পঞ্চশীল দেশনা করবেন।
৬৮.দুর্লভ বুদ্ধের উৎপত্তি ও পঞ্চশীলরের কথা শুনে তাদের মনের সমস্ত উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দূর হয়েছিল এবং তারা অতীব খুশী হয়েছিল।
৬৯.আজ থেকে বিরানব্বই কল্প আগে আমি যেই নিমিত্ত বা কারণ ব্যাখা করেছিলাম, সেই
থেকে একবারই আমাকে অপায় দুর্গতিতে পড়তে হয়নি। ইহা আমার ইহা আমার কারণ ব্যাখ্যা করারই ফল।
৭০.আমার সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ হয়েছে, আমার সমস্ত জন্ম বিধ্বংস হয়েছে এবং নাগের ন্যায় সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আমি সম্পূর্ণ অনাসক্ত হয়ে অবস্থান করছি।
৭১.বুদ্ধের কাছে আসাটা আমার অতীব শুভপ্রদ হয়েছে। ত্রিবিদ্যা লাভ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
৭২.চারি প্রতিসম্ভিদা অষ্ট বিমোক্ষ ও ষড়াভিজ্ঞা সাক্ষাৎ করে আমি বুদ্ধের শাসনে কৃতকার্য হয়েছি।
ঠিক এভাবেই আয়ুষ্মাননিমিত্ত ব্যাকরণিয় স্থবির এই গাথাগুলো ভাষণ করেছিলেন। [নিমিত্তব্যাকরণিয় স্থবির অপদান দশম সমাপ্ত]
[শালকুসুমিয় বর্গ সাতচল্লিশতম সমাপ্ত]
স্মারক-গাথা
শালকুসুমিয়, শ্মশানপূজক, শ্মশান নির্বাপক, সেতুদায়ক, সুমনতালবন্টিয়, অবটফলিয়, লবুজফলদায়ক, পিলক্ষফলদায়ক, স্বয়ংপ্রতিভাণিয়, ও নিমিত্তব্যাকরণিয় স্থবির এই দশটি গাথায় মোট বাহাত্তরটি গাথায় এই বর্গ হয়েছে সমাপ্ত।