১. আভাসুত্তং-আভা সূত্র
১৪১. “হে ভিক্ষুগণ! আভা চার প্রকার। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- চন্দ্র আভা, সূর্য আভা, অগ্নি আভা, প্রজ্ঞা আভা। এ’চার প্রকার আভা। এই চার প্রকার আভার মধ্যে প্রজ্ঞা আভা-ই শ্রেষ্ঠ।” (প্রথম সূত্র)
২. পভাসুত্তং-প্রভা সূত্র
১৪২. “হে ভিক্ষুগণ! প্রভা চার প্রকার। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- চন্দ্র প্রভা, সূর্য প্রভা, অগ্নি প্রভা, প্রজ্ঞা প্রভা। এ’চার প্রকার প্রভা। এই চার প্রকার প্রভার মধ্যে প্রজ্ঞা প্রভা-ই শ্রেষ্ঠ।” (দ্বিতীয় সূত্র)
৩. আলোকসুত্তং-আলো সূত্র
১৪৩. “হে ভিক্ষুগণ! আলো চার প্রকার। সেই চার কি কি? যথা- চন্দ্র আলো, সূর্য আলো, অগ্নি আলো, প্রজ্ঞা আলো। এ’চার প্রকার আলো। এই চার প্রকার আলোর মধ্যে প্রজ্ঞা আলো-ই শ্রেষ্ঠ।” (তৃতীয় সূত্র)
৪. ওভাসসুত্তং-জ্যোতি সূত্র
১৪৪. “হে ভিক্ষুগণ! জ্যোতি চার প্রকার। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- চন্দ্র জ্যোতি, সূর্য জ্যোতি, অগ্নি জ্যোতি, প্রজ্ঞা জ্যোতি। এ’চার প্রকার জ্যোতি। এই চার প্রকার জ্যোতির মধ্যে প্রজ্ঞা জ্যোতি-ই শ্রেষ্ঠ।” (চতুর্থ সূত্র)
৫. পজ্জোতসুত্তং-রশ্মি সূত্র
১৪৫. “হে ভিক্ষুগণ! রশ্মি চার প্রকার। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- চন্দ্র রশ্মি, সূর্য রশ্মি, অগ্নি রশ্মি, প্রজ্ঞা রশ্মি। এ’চার প্রকার রশ্মি। এই চার প্রকার রশ্মির মধ্যে প্রজ্ঞা রশ্মি-ই শ্রেষ্ঠ।” (পঞ্চম সূত্র)
৬. পঠমকালসুত্তং- সময় সূত্র (প্রথম)
১৪৬. “হে ভিক্ষুগণ! সময় চার প্রকার। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- যথাসময়ে ধর্ম শ্রবণ, যথাসময়ে ধর্ম আলোচনা, যথাসময়ে সম্যক আচরণ, যথাসময়ে বিদর্শন ভাবনা অনুশীলন। এই চার প্রকার সময়। (ষষ্ঠ সূত্র)
৭. দুতিযকালসুত্তং-সময় সূত্র (দ্বিতীয়)
১৪৭. “হে ভিক্ষুগণ! চার প্রকার যথার্থ সময়, যথার্থ ভাবনা, যথার্থ আচরণ দ্বারা অনুক্রমে আস্রবসমূহ ক্ষয়প্রাপ্ত করা সম্ভব। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- যথাসময়ে ধর্ম শ্রবণ, যথাসময়ে ধর্ম আলোচনা, যথাসময়ে সম্যক আচরণ, যথাসময়ে বিদর্শন ভাবনা অনুশীলন- এ’চার প্রকারের যথার্থ সময়, যথার্থ ভাবনা, যথার্থ সম্যক আচরণের মাধ্যমে অনুক্রমে আস্রবসমূহ ক্ষয়প্রাপ্ত করা সম্ভব। যেমন, ভিক্ষুগণ! পর্বতের উপর ভারী বৃষ্টি বর্ষিত হলে সেই বৃষ্টির পানি নিুদিকে প্রবাহিত হয়ে গিরিগুহা পরিপূর্ণ করে। গিরিগুহা পরিপূর্ণ করতঃ ছোট গর্ত পরিপূর্ণ করে। ছোট গর্ত পরিপূর্ণ করতঃ বড় গর্ত পরিপূর্ণ করে। বড় গর্ত পরিপূর্ণ করতঃ ছোট নদী পরিপূর্ণ করে। ছোট নদী পরিপূর্ণ করতঃ বড় নদী পরিপূর্ণ করে। বড় নদী পরিপূর্ণ করতঃ সমুদ্র পরিপূর্ণ করে। ঠিক একইভাবে এই চার প্রকারের যথার্থ সময়, যথার্থ ভাবনা, যথার্থ আচরণ দ্বারা আস্রবসমূহ অনুক্রমে ক্ষয়প্রাপ্ত করে। (সপ্তম সূত্র)
৮. দুচ্চরিতসুত্তং-দুশ্চরিত সূত্র
১৪৮. “হে ভিক্ষুগণ! বাক্ দুশ্চরিত চার প্রকার। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- মিথ্যাবাক্য, পিশুনবাক্য, পৌরুষবাক্য, সমপ্রলাপবাক্য। এই চার প্রকার বাক্ দুশ্চরিত।” (অষ্টম সূত্র)
৯. সুচরিতসুত্তং-সুচরিত সূত্র
১৪৯. “হে ভিক্ষুগণ! বাক্ সুচরিত চার প্রকার। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- সত্যবাক্য, মধুরবাক্য, নম্রবাক্য, অর্থপূর্ণ বাক্য। এই চার প্রকার বাক্ সুচরিত।” (নবম সূত্র)
১০.সারসুত্তং-সার সূত্র
১৫০. “হে ভিক্ষুগণ! সার চার প্রকার। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- শীল সার, সমাধি সার, প্রজ্ঞা সার, বিমুক্তি সার। এই চার প্রকার সার।” (দশম সূত্র)
আভা বর্গ সমাপ্ত
স্মারক গাথা-
আভা, প্রভা, আলো, জ্যোতি, রশ্মিসহ পঞ্চম,
দুই সময়, দুই চরিত আর সার মিলে দশম।
তৃতীয় পঞ্চাশক সমাপ্ত
৪. চতুত্থপন্নাসকং-চতুর্থ পঞ্চাশক