১. চেতনাসুত্তং-চেতনা সূত্র
১৭১. “হে ভিক্ষুগণ! কায়ের কারণে ও কায়িক জ্ঞান (সঞ্চেতন) হেতু আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। বাচনিকের কারণে ও বাচনিক সঞ্চেতন হেতু আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। মনের কারণে ও মানসিক সঞ্চেতন হেতু আধ্যত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয় ও অবিদ্যা প্রত্যয়ে আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়।
নিজের দ্বারা কায় সংস্কার পুনঃপ্রকাশ (পুনঃজাগ্রত) পায়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। অপরের দ্বারাও কায় সংস্কার পুনঃপ্রকাশ পায়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। সমপ্রজ্ঞানে বা ইচ্ছাপূর্বক কায় সংস্কার পুনঃ প্রকাশ হয়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। অসমপ্রজ্ঞানতায় বা অনিচ্ছাপূর্বক কায় সংস্কার পুনঃপ্রকাশ পায়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়।
নিজের দ্বারা বাচনিক সংস্কার পুনঃপ্রকাশ পায়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। অপরের দ্বারাও বাচনিক সংস্কার পুনঃপ্রকাশ পায়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। সমপ্রজ্ঞানে বা ইচ্ছাপূর্বক বাচনিক সংস্কার পুনঃপ্রকাশ পায়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। অসমপ্রজ্ঞানতায় বা অনিচ্ছাপূর্বক বাচনিক সংস্কার পুনঃপ্রকাশ পায়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়।
নিজের দ্বারা মনো সংস্কার পুনঃপ্রকাশ হয়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। অপরের দ্বারাও মনো সংস্কার পুনঃপ্রকাশ পায়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। সমপ্রজ্ঞানে বা ইচ্ছাপূর্বক মনোসংস্কার পুনঃপ্রকাশ পায়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। অসমপ্রজ্ঞানতায় বা অনিচ্ছাপূর্বক মনোসংস্কার পুনঃপ্রকাশ পায়, যার দরুন আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়।
ভিক্ষুগণ! এ’ধর্মসমূহে অবিদ্যা সংঘটিত হয়, অবিদ্যার সম্পূর্ণরূপে বিরাগ, নিরোধ হলে কায় উৎপন্ন হয় না, যে প্রত্যয়ে বা (যার দরুন) সেই আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। বাক্য উৎপন্ন হয় না, যার দরুন সেই আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। মন উৎপন্ন হয় না, যার কারণে সেই আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। ক্ষেত্র উৎপন্ন হয় না, যার কারণে সেই আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। বস্তু উৎপন্ন হয় না, যার কারণে সেই আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। আয়তন উৎপন্ন হয় না, যার কারণে সেই আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়। সেই অধিকরণ উৎপন্ন হয় না, যার কারণে সেই আধ্যাত্মিক সুখ-দুঃখ উৎপন্ন হয়।”
“হে ভিক্ষুগণ! আত্মভাব প্রতিলাভ চার প্রকার। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- এমন আত্মভাব (বা দেহসম্পত্তি) প্রতিলাভ আছে, যেই আত্মভাব প্রতিলাভের দরুন আত্মসঞ্চেতন বা আত্ম-জ্ঞান লাভ (আত্ম বিষয়ে জ্ঞান বা ধারণা) হয়, পরোপলব্ধি (অপরের সম্বন্ধে জ্ঞান বা ধারণা) হয় না। এমন আত্মভাব প্রতিলাভ আছে, যেই আত্মভাব প্রতিলাভের দরুন পরোপলব্ধি হয় কিন্তু আত্মোপলব্ধি হয় না। আবার, এমন আত্মভাব প্রতিলাভ আছে, যেই আত্মভাব প্রতিলাভের দরুন আত্মোপলব্ধিও হয়, পরোপলব্ধিও হয়। এমন আত্মভাব প্রতিলাভ আছে, যেই আত্মভাব প্রতিলাভের দরুন আত্মোপলব্ধিও হয় না, পরোপলব্ধিও হয় না। এই চার প্রকার আত্মভাব প্রতিলাভ।”
এরূপে ব্যক্ত হলে আয়ুষ্মান শারীপুত্র ভগবানকে এরূপ বললেন- “ভন্তে ভগবান কর্তৃক সংক্ষিপ্তভাবে ভাষিত এই বিষয়ের অর্থ এরূপে আমি বিস্তৃতভাবে জানি। ভন্তে! তথায় যেরূপ আত্মভাব (বা দেহসম্পত্তি) প্রতিলাভের দরুন আত্মোপলব্ধি হয় কিন্তু পরোপলব্ধি হয় না, তাদৃশ আত্মোপলব্ধি হেতু সেই সত্ত্বগণের (দেবগণের) কায় তথা হতে চ্যুত হয় । তথায় যেরূপ আত্মভাব প্রতিলাভের দরুন পরোপলব্ধি হয় কিন্তু আত্মোপলব্ধি হয় না, সেরূপ পরোপলব্ধি হেতু সেই সত্ত্বগণের কায়ও তথা হতে চ্যুত হয়। তথায় যেরূপ আত্মভাব প্রতিলাভের দরুন আত্মোপলব্ধি ও পরোপলব্ধি উভয়ই হয় এবং সেরূপ আত্মোপলব্ধি পরোপলব্ধি হেতু সেই সত্ত্বগণের কায় তথা হতে চ্যুত হয়। ভন্তে! তথায় যেরূপ আত্মভাব প্রতিলাভের দরুন আত্মোপলব্ধিও হয় না পরোপলব্ধিও হয় না, তা দ্বারা তাদেরকে কোন দেবগণরূপে জানা উচিত?” “হে শারীপুত্র! তাদেরকে নৈবসংজ্ঞা-নাসংজ্ঞায়তন প্রাপ্ত দেবগণরূপে জানা উচিত।”
“ভন্তে! কোন হেতু ও কোন প্রত্যয়ে কোন কোন সত্ত্ব তথা হতে চ্যুত হয়ে ইহজগতে আগমন ও প্রত্যাগমন করে? আর কোন্ হেতু ও কোন্ প্রত্যয়ের কারণে কোন কোন সত্ত্ব তথা হতে চ্যুত হয়ে ইহজগতে আগমন ও প্রত্যাগমন করে না?” “হে শারীপুত্র! এজগতে কোন কোন পুদ্গলের অধঃভাগীয় সংযোজনসমূহ অপ্রহীন থাকে; সে ইহা জন্মে নৈবসংজ্ঞা-নাসংজ্ঞায়তন লাভ করে অবস্থান করে। সে তা আস্বাদন করে, আকাঙক্ষা করে এবং তা দ্বারা সে আনন্দানুভব করে। তথায় সেভাবে প্রতিষ্ঠিত অভিনিবিষ্ট, বহুলবিহারী হয় এবং তা পরিহীন না হয়ে মৃত্যুর পর নৈবসংজ্ঞা-নাসংজ্ঞায়তনপ্রাপ্ত দেবগণের সহচর্যে উৎপন্ন হয়। সে তথা হতে চ্যুত হয়ে ইহজগতে আগমন ও প্রত্যাগমন করে।
শারীপুত্র! এজগতে কোন কোন পুদ্গলের অধঃভাগীয় সংযোজনসমূহ প্রহীন হয়; সে ইহজন্মে নৈবসংজ্ঞা-নাসংজ্ঞায়তন লাভ করে অবস্থান করে। সে তা আস্বাদন করে, আকাঙক্ষা করে এবং তা দ্বারা সে আনন্দানুভব করে। তথায় সেভাবে প্রতিষ্ঠিত, অভিনিবিষ্ট, বহুলবিহারী হয় এবং তা পরিহীন না হয়ে মৃত্যুর পর নৈবসংজ্ঞা-নাসংজ্ঞায়তনপ্রাপ্ত দেবগণের সহচর্যে উৎপন্ন হয়। সে তথা হতে চ্যুত হয়ে ইহজগতে আগমন ও প্রত্যাগমন করে না।
শারীপুত্র! এই হেতু ও এই প্রত্যয়ে কোন কোন সত্ত্ব তথা হতে চ্যুত হয়ে, ইহজগতে আগমন ও প্রত্যাগমন করে। আর এই হেতু ও এই প্রত্যয়ের কারণে কোন কোন সত্ত্ব তথা হতে চ্যুত হয়ে এই জগতে আগমন ও প্রত্যাগমন করে না।” (প্রথমসূত্র)
২. বিভক্তিসুত্তং-বিভাগ সূত্র
১৭২. একসময় আয়ুষ্মান শারীপুত্র “আবুসো ভিক্ষুগণ!” বলে ভিক্ষুগণকে আহ্বান করলেন। সেই ভিক্ষুগণও “হ্যাঁ আবুসো বলে আয়ুষ্মান শারীপুত্রের আহ্বানে প্রত্যুত্তর দিলেন। তখন আয়ুষ্মান শারীপুত্র এরূপ বললেন-
“হে আবুসোগণ! ভিক্ষুত্ব লাভের অর্ধমাস পর আমার সুনির্দিষ্টভাবে ব্যঞ্জনসহ অর্থ প্রতিসম্ভিদা লাভ হয়েছিল। তা আমি অনেক পর্যায়ে ব্যাখ্যা, দেশনা, প্রজ্ঞাপন, প্রবর্তন, বিবরণ( উদ্ঘাটন), বিভাজন ও প্রদর্শন করতে পারি। যার সেই বিষয়ে সন্দেহ ও বিমতি(সংশয়) আছে সে আমাকে প্রশ্ন করতে পারে। যিনি আমাদের সুকুশল ধর্মসমূহের শাস্তা, ওনার সম্মুখে হলেও আমি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।
ভিক্ষুত্ব লাভের অর্ধমাস পর আমার সুনির্দিষ্টভাবে ব্যঞ্জনসহ অর্থ প্রতিসম্ভিদা লাভ হয়েছিল। তা আমি অনেক পর্যায়ে ব্যাখ্যা, দেশনা, প্রজ্ঞাপন, প্রবর্তন, বিবরণ, বিভাজন ও প্রদর্শন করতে পারি। যার সেই বিষয়ে সন্দেহ ও বিমতি আছে সে আমাকে প্রশ্ন করতে পারে। যিনি আমাদের সুকুশল ধর্মসমূহের শাস্তা, উনার সম্মুখে হলেও আমি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।
ভিক্ষুত্ব লাভের অর্ধমাস পর আমার সুনির্দিষ্টভাবে ব্যঞ্জনসহ নিরুক্তি প্রতিসম্ভিদা লাভ হয়েছিল। তা আমি অনেক পর্যায়ে ব্যাখ্যা, দেশনা, প্রজ্ঞাপন, প্রবর্তন, বিবরণ, বিভাজন ও প্রদর্শন করতে পারি। যার সেই বিষয়ে সন্দেহ ও বিমতি আছে সে আমাকে প্রশ্ন করতে পারে। যিনি আমাদের সুকুশল ধর্মসমূহের শাস্তা, উনার সম্মুখে হলেও আমি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।
ভিক্ষুত্ব লাভের অর্ধমাস পর আমার সুনির্দিষ্টভাবে ব্যঞ্জনসহ প্রতিভান প্রতিসম্ভিদা লাভ হয়েছিল। তা আমি অনেক পর্যায়ে ব্যাখ্যা, দেশনা, প্রজ্ঞাপন, প্রবর্তন, বিবরণ, বিভাজন ও প্রদর্শন করতে পারি। যার সেই বিষয়ে সন্দেহ ও বিমতি আছে সে আমাকে প্রশ্ন করতে পারে। যিনি আমাদের সুকুশল ধর্মসমূহের শাস্তা, উনার সম্মুখে হলেও আমি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।” (দ্বিতীয় সূত্র)
৩. মহাকোট্িঠকসুত্তং-মহাকোটিঠক সূত্র
১৭৩. একসময় আয়ুষ্মান মহাকোট্িঠক আয়ুষ্মান শারীপুত্রের নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে সম্বোধন করলেন। প্রীতিপূর্ণ কুশল বিনিময় করে একান্তে উপবেশন করলেন। একান্তে উপবিষ্ট আয়ুষ্মান মহাকোট্িঠক আয়ুষ্মান শারীপুত্রকে এরূপ বললেন-
“হে আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি বিদ্যমান থাকে?
“হে আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।”
“আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ অশেষ, বিরাগও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি কিছুই বিদ্যমান থাকে না?”
“আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।”
“আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি কিছু বিদ্যমান থাকে, নাকি থাকে না?”
“হে আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।”
“আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে কিছু বিদ্যমান থাকে না, আবার না থাকে তাও নয় কি?”
“হে আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।”
অতঃপর আয়ুষ্মান মহাকোট্িঠক আয়ুষ্মান শারীপুত্রের উদ্দেশে বলে উঠেন- “হে আবুসো! ‘ষড়বিধ সম্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি বিদ্যমান থাকে’, এরূপ প্রশ্ন করলে পূর্বোক্তরূপে বললেন- ‘আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।’ ‘ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি কিছুই বিদ্যমান থাকে না’, এরূপ প্রশ্ন করলে পূর্বোক্তরূপে বললেন- ‘আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।’ ‘ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি কিছু বিদ্যমান থাকে, নাকি থাকে না’, এরূপ প্রশ্ন করলে পূর্বোক্তরূপে বললেন-‘আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।’ আর ‘ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে কিছু বিদ্যমান থাকে না, আবার না থাকে তাও নয়’, এরূপ প্রশ্ন করলে পূর্বোক্তরূপে বললেন-‘আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।’ এই ভাষিত বিষয়ের অর্থ কিরূপে দ্রষ্টব্য?”
এবার আয়ুষ্মান শারীপুত্র বলেন- “হে আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কিছু বিদ্যমান থাকে’, এরূপ বললে অপ্রতিবন্ধক প্রতিবন্ধক হয়। ‘ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কিছইু বিদ্যমান থাকে না’, এরূপ বললেও অপ্রতিবন্ধক প্রতিবন্ধক হয়। ‘ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ তদ্ভিন্ন কিছু বিদ্যমান থাকে, থাকে না’, এরূপ বললে অপ্রতিবন্ধক প্রতিবন্ধক হয়। আর ‘ ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে কিছু বিদ্যমান থাকে না, আবার না থাকে তাও নয়’, এরূপ বললেও অপ্রতিবন্ধক প্রতিবন্ধক হয়। ষড়বিধ স্পর্শায়তনের গতি যতদূর প্রপঞ্চের (প্রতিবন্ধকের) গতিও ততদূর; আর প্রপঞ্চের গতি যতদূর, ষড়বিধ স্পর্শায়তনের গতিও ততদূর। আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তন অশেষ, বিরাগ এবং নিরোধ হলে প্রপঞ্চও নিরোধ ও উপশম হয়।” (তৃতীয় সূত্র)
৪. আনন্দসুত্তং-আনন্দ সূত্র
১৭৪. একসময় আয়ুষ্মান আনন্দ আয়ুষ্মান মহাকোটিঠকের নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে ‘হে আবুসো’ বলে সম্বোধন করলেন। প্রীতিপূর্ণ কুশল বিনিময় করে একান্তে উপবেশন করলেন। একান্তে উপবিষ্ট আয়ুষ্মান আনন্দ আয়ুষ্মান মহাকোট্িঠককে এরূপ বললেন-
“হে আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি বিদ্যমান থাকে?”
“হে আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।”
“আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি কিছুই বিদ্যমান থাকে না?”
“ আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।”
“আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি কিছু বিদ্যমান থাকে, নাকি থাকে না?”
“ আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।”
“আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে কিছু বিদ্যমান থাকে না, আবার না থাকে তাও নয় কি?”
“আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।”
অতঃপর আয়ুষ্মান আনন্দ আয়ুষ্মান মহাকোট্িঠককে উদ্দেশ্য করে বলে উঠেন- “হে আবুসো! ‘ ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি বিদ্যমান থাকে’, এরূপ প্রশ্ন করলে পূর্বোক্তরূপে বললেন-‘আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।’ ‘ ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ অশেষ, বিরাগও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি কিছুই বিদ্যমান থাকে না’, এরূপ প্রশ্ন করলে পূর্বোক্তরূপে বললেন-‘আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।’ ‘ ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি কিছু বিদ্যমান থাকে, নাকি থাকে না’, এরূপ প্রশ্ন করলেও পূর্বোক্তরূপে বললেন-‘আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।’ ‘ ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে কিছু বিদ্যমান থাকে না, আবার না থাকে তাও নয়’, এরূপ প্রশ্ন করলেও পূর্বোক্তরূপে বললেন-‘আবুসো! এরূপ প্রশ্ন করো না।’ আবুসো! এই ভাষিত বিষয়ের অর্থ কিরূপে দ্রষ্টব্য?”
এবার আয়ুষ্মান মহাকোট্িঠক বলেন- “হে আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি বিদ্যমান থাকে’, এরূপ বললে অপ্রতিবন্ধক প্রতিবন্ধক হয়। ‘ ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে তদ্ভিন্ন কি কিছুই বিদ্যমান থাকে না’, এরূপ বললেও অপ্রতিবন্ধক প্রতিবন্ধক হয়। ‘ ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ তদ্ভিন্ন কি কিছু বিদ্যমান থাকে, নাকি থাকে না’, এরূপ বললে অপ্রতিবন্ধক প্রতিবন্ধক হয়। আর ‘ ষড়বিধ স্পর্শায়তনের অশেষ, বিরাগ ও নিরোধ হলে কিছু বিদ্যমান থাকে না, আবার না থাকে তাও নয়’, এরূপ বললেও অপ্রতিবন্ধক প্রতিবন্ধক হয়। ষড়বিধ স্পর্শায়তনের গতি যতদূর প্রপঞ্চের (প্রতিবন্ধকের) গতিও ততদূর; আর প্রপঞ্চের গতি যতদূর, ষড়বিধ স্পর্শায়তনের গতিও ততদূর। আবুসো! ষড়বিধ স্পর্শায়তন অশেষ, বিরাগ এবং নিরোধ হলে প্রপঞ্চও নিরোধ ও উপশম হয়।” (চতুর্থ সূত্র)
৫. উপবাণসুত্তং-উপবাণ সূত্র
১৭৫. একসময় আয়ুষ্মান উপবাণ আয়ুষ্মান শারীপুত্রের নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে ‘হে আবুসো’ বলে সম্বোধন করলেন। প্রীতিপূর্ণ কুশল বিনিময় করে একপাশে উপবেশন করলেন। একান্তে উপবিষ্ট উপবাণ শারীপুত্রকে এরূপ বললেন-
“হে আবুসো শারীপুত্র! কিরূপে একজন বিদ্যার দ্বারা অন্ত সাধনকারী হয়?”
“আবুসো! তা এরূপ নয়।”
“হে আবুসো শারীপুত্র! কিরূপে একজন আচরণের দ্বারা অন্ত সাধনকারী হয়?”
“আবুসো! তা এরূপ নয়।”
“হে আবুসো শারীপুত্র! কিরূপে একজন বিদ্যা ও আচরণের দ্বারা অন্ত সাধনকারী হয়?”
“আবুসো! তা এরূপ নয়।”
“হে আবুসো শারীপুত্র! কিরূপে একজন অন্য ধর্ম (অন্য বিষয় বা প্রণালী), বিদ্যা ও আচরণের দ্বারা অন্ত সাধনকারী হয়?”
“আবুসো! তা এরূপ নয়।”
“হে আবুসো শারীপুত্র! কিরূপে একজন বিদ্যার দ্বারা অন্ত সাধনকারী হয়’, এরূপ প্রশ্ন করলে আপনি পূর্বোক্তরূপে বললেন- ‘আবুসো! তা এরূপ নয়।’ ‘কিরূপে একজন আচরণের দ্বারা অন্ত সাধনকারী হয়’, এরূপ প্রশ্ন করলেও পূর্বোক্তরূপে বললেন- ‘আবুসো! তা এরূপ নয়।’ ‘কিরূপে একজন বিদ্যা ও আচরণের দ্বারা অন্ত সাধনকারী হয়’, এরূপ প্রশ্ন করলে পূর্বোক্তরূপে বললেন- ‘আবুসো! তা এরূপ নয়।’ আর কিরূপে একজন অন্য ধর্ম (অন্য বিষয় বা প্রণালী), বিদ্যা ও আচরণের দ্বারা অন্ত সাধনকারী হয়’, এরূপ প্রশ্ন করলেও পূর্বোক্তরূপে বললেন- ‘আবুসো! তা এরূপ নয়।’ আবুসো তাহলে কিরূপে একজন অন্ত সাধনকারী হয়?”
“হে আবুসো! যদি বিদ্যার দ্বারা কেউ অন্ত সাধনকারী হতো তাহলে সে হতো উপাদানযুক্ত (আসক্তিপূর্ণ) অন্তসাধনকারী। যদি আচরণের দ্বারা কেউ অন্তসাধনকারী হতো তাহলে সে হতো উপাদানযুক্ত অন্তসাধনকারী। যদি বিদ্যা ও আচরণের দ্বারা কেউ অন্ত সাধনকারী হতো তাহলে সে হতো উপাদানযুক্ত অন্তসাধনকারী। আর যদি অন্য ধর্ম বিদ্যা ও আচরণের দ্বারা অন্ত সাধনকারী হতো তাহলে সে হতো পৃথকজন অন্তসাধনকারী। আবুসো! পৃথকজনই অন্যধর্ম, বিদ্যা ও আচরণের দ্বারা অন্তসাধনের বিশ্বাসী হয়। আচরণ বিপন্ন ব্যক্তি যথাযথভাবে জানে না, দেখে না। আচরণসম্পন্ন ব্যক্তি যথাযথভাবে জানে ও দেখে। যথাযথভাবে জানলে ও দেখলেই অন্তসাধনকারী হয়।” (পঞ্চম সূত্র)
৬. আযাচনসুত্তং-প্রার্থনা সূত্র
১৭৬. “হে ভিক্ষুগণ! শ্রদ্ধাসম্পন্ন ভিক্ষু প্রার্থনা করলে সম্যকভাবে এরূপ প্রার্থনা করে যে- “আমি যেন শারীপুত্র ও মৌদ্গল্যায়ন সদৃশ হই।’ এরূপে ভিক্ষুগণ! আমার ভিক্ষু-শ্রাবকদের মধ্যে বিশেষতঃ শারীপুত্র ও মৌদ্গল্যায়নের নীতি বা আদর্শ এতোই বেশি।
ভিক্ষুগণ! শ্রদ্ধাসম্পন্না ভিক্ষুণী প্রার্থনা করলে সম্যকভাবে এরূপ প্রার্থনা করে যে- “আমি যেন ক্ষেমা ও উৎপলবর্ণা সদৃশ হই। এরূপে ভিক্ষুগণ, আমার ভিক্ষুণী-শ্রাবিকাদের মধ্যে বিশেষতঃ ক্ষেমা ও উৎপলবর্ণার নীতি বা আদর্শ এতোই বেশি।
ভিক্ষুগণ! শ্রদ্ধাবান উপাসক প্রার্থনা করলে সম্যকভাবে এরূপ প্রার্থনা করে যে- ‘আমি যেন চিত্ত (চিত্র) গৃহপতি ও আলবক হত্থক সদৃশ হই। এরূপে ভিক্ষুগণ, আমার শ্রাবক-উপাসকদের মধ্যে বিশেষতঃ চিত্তগৃহপতি ও আলবক হত্থকের নীতি বা আদর্শ এতোই বেশি।
ভিক্ষুগণ! শ্রদ্ধাবতী উপাসিকা প্রার্থনা করলে সম্যকভাবে এরূপ প্রার্থনা করে যে-‘আমি যেন খুজ্জত্তরা উপাসিকা ও নন্দমাতা বেলুণ্ডকিয়া সদৃশ হই।’ এরূপে ভিক্ষুগণ! আমার শ্রাবিকা-উপাকিকাদের মধ্যে বিশেষতঃ সুজ্জত্তরা উপাসিকা ও নন্দমাতা বেলুকণ্ডাকিয়ার নীতি বা আদর্শ এতোই বেশি।” (ষষ্ঠ সূত্র)
৭. রাহুলসুত্তং-রাহুল সূত্র
১৭৭. একসময় আয়ুষ্মান রাহুল ভগবানের নিকট উপস্থিত হয়ে ভগবানকে অভিবাদন করে একপার্শ্বে উপবেশন করলেন। একপার্শ্বে উপবিষ্ট আয়ুষ্মান রাহুলকে ভগবান এরূপ বললেন-
“হে রাহুল! যা আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক পৃথিবী ধাতু রয়েছে, তা সবই পৃথিবী ধাতুযুক্ত। ‘তা আমার নয়, তা আমি নই ও তা আমার আত্মা নয়’, এরূপে সম্যক প্রজ্ঞা দ্বারা যথাযথভাবে দর্শন করা উচিত। এভাবে সম্যক প্রজ্ঞা দ্বারা যথাযথভাবে দর্শন করলে পৃথিবী ধাতুর প্রতি অনাসক্তি জন্মে ও পৃথিবী ধাতু হতে চিত্ত বিচ্ছিন্ন হয়।
যে আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক আপধাতু রয়েছে, সে সবই আপধাতুযুক্ত। ‘তা আমার নয়, তা আমি নই ও তা আমার আত্মা নয়’, এরূপে সম্যক প্রজ্ঞা দ্বারা যথাযথভাবে দর্শন করা উচিত। এভাবে সম্যক প্রজ্ঞা দ্বারা যথাযথভাবে দর্শন করলে আপধাতুর প্রতি হতে অনাসক্তি জন্মে ও আপধাতু হতে চিত্ত বিচ্ছিন্ন হয়।
যে আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক তেজধাতু রয়েছে, সে সবই তেজধাতুযুক্ত। ‘তা আমার নয়, তা আমি নই ও তা আমার আত্মা নয়’, এরূপে সম্যক প্রজ্ঞা দ্বারা যথাযথভাবে দর্শন করা উচিত। এভাবে সম্যক প্রজ্ঞা দ্বারা যথাযথভাবে দর্শন করলে তেজধাতুর প্রতি অনাসক্তি জন্মে ও তেজধাতু হতে চিত্ত বিচ্ছিন্ন হয়।
যে আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক বায়ুধাতু রয়েছে, সে সবই বায়ুধাতুযুক্ত। ‘তা আমার নয়, তা আমি নই ও তা আমার আত্মা নয়’, এরূপে সম্যক প্রজ্ঞা দ্বারা যথাযথভাবে দর্শন করা উচিত। এভাবে সম্যক প্রজ্ঞা দ্বারা যথাযথভাবে দর্শন করলে বায়ুধাতুর প্রতি অনাসক্তি জন্মে ও বায়ুধাতু হতে চিত্ত বিচ্ছিন্ন হয়।
যখন হতে ভিক্ষু এ’চারি ধাতুসমূহে নিজেকে
আত্মা নহে বলে দর্শন করে, তখন ‘এই হতে ভিক্ষুর তৃষ্ণা ধ্বংস (ক্ষয়) করেছে, সংযোজন পরিত্যাগ করেছে ও সম্যকরূপে দুঃখের অন্ত উপলব্ধি করেছে’ বলা হয়।” (সপ্তম সূত্র)
৮. জম্বালীসুত্তং-অপরিষ্কার পুষ্করিণী সূত্র
১৭৮. “হে ভিক্ষুগণ! এই চার প্রকার পুদ্গল পৃথিবীতে বিদ্যমান। সেই চার প্রকার কি কি? যথা- এজগতে কোন ভিক্ষু চিত্তবিমুক্তি লাভ করে অবস্থান করে । সে পঞ্চস্কন্ধ (সৎকায়) নিরোধে মনোযোগ দেয়। তার পঞ্চস্কন্ধ নিরোধের প্রতি মনোযোগ থাকলেও পঞ্চস্কন্ধ নিরোধে চিত্ত অগ্রসর হয় না, প্রসাদিত হয় না, স্থিত হয় না ও প্রবর্ত্তিত হয় না (আকর্ষণ করে না)। এভাবে সেই ভিক্ষুর পঞ্চস্কন্ধ নিরোধ প্রত্যাশিত হয় না। ভিক্ষুগণ যেমন পুরুষ আঠালো হস্ত দ্বারা বৃক্ষের শাখা গ্রহণ করে থাকে, তার সেই হস্ত তাতে সংলগ্ন হয়, লেগে যায় এবং দৃঢ়ভাবে আটকা পড়ে; ঠিক এরূপেই কোন ভিক্ষু চিত্তবিমুক্তি লাভ করে অবস্থান করে। সে পঞ্চস্কন্ধ নিরোধে মনোযোগ দেয়। তার সৎকায় নিরোধের প্রতি মনোযোগ থাকলেও পঞ্চস্কন্ধ নিরোধে চিত্ত অগ্রসর হয় না, প্রসাদিত হয় না, স্থিত হয় না ও প্রবর্ত্তিত হয় না। এভাবে সেই ভিক্ষুর পঞ্চস্কন্ধ নিরোধ প্রত্যাশিত হয় না।
এজগতে কোন ভিক্ষু চিত্তবিমুক্তি লাভ করে অবস্থান করে। সে পঞ্চস্কন্ধ নিরোধে মনোযোগ দেয়। তার পঞ্চস্কন্ধ নিরোধের প্রতি মনোযোগ থাকলে পঞ্চস্কন্ধ নিরোধে চিত্ত অগ্রসর হয়, প্রসাদিত হয়, স্থিত হয় ও প্রবর্ত্তিত হয়। এভাবে সেই ভিক্ষুর পঞ্চস্কন্ধ নিরোধ প্রত্যাশিত হয়। ভিক্ষুগণ, যেমন কোন পুরুষ পরিষ্কার হস্তে বৃক্ষের শাখা গ্রহণ করে থাকে, তার সেই হস্তে তাতে সংলগ্ন হয় না, লেগে যায় না এবং দৃঢ়ভাবে আটকা পড়ে না; ঠিক এরূপেই কোনও ভিক্ষু চিত্তবিমুক্তি লাভ করে অবস্থান করে। সে পঞ্চস্কন্ধ নিরোধে মনোযোগ দেয়। তার পঞ্চস্কন্ধ নিরোধের প্রতি মনোযোগ থাকলে সৎকায় নিরোধে চিত্ত অগ্রসর হয়, প্রসাদিত হয়, স্থিত, হয় ও প্রবর্ত্তিত হয়। এভাবেই সেই ভিক্ষুর সৎকায় নিরোধ প্রত্যাশিত হয়।
এজগতে কোন ভিক্ষু চিত্তবিমুক্তি লাভ করে অবস্থান করে। সে অবিদ্যা প্রভেদে মনোযোগ দেয়। তার অবিদ্যা প্রভেদের প্রতি মনোযোগ থাকলেও অবিদ্যা প্রভেদে চিত্ত অগ্রসর হয় না। ভিক্ষুগণ, যেমন বহুবর্ষ ধরে অপরিষ্কৃত কোন এক পুষ্করিণী আছে। তাতে যেই জল প্রবেশদ্বারাদি আছে কোন পুরুষ এসে সেগুলো বন্ধ করে দেয়, জল নির্গমন দ্বারাদি খুলে দেয় এবং বৃষ্টিদেবও যথাসময়ে বর্ষণ করে না। সেজন্য সেই অপরিষ্কার পুষ্করিণীর আলিতে (বাঁধে) কোন ফাঁটল প্রত্যাশিত হয় না। ঠিক এরূপেই কোনও ভিক্ষু চিত্তবিমুক্তি লাভ করে অবস্থান করে। সে অবিদ্যা প্রভেদে মনোযোগ দেয়। তার অবিদ্যা প্রভেদের প্রতি মনোযোগ থাকলেও অবিদ্যা প্রভেদে চিত্ত অগ্রসর হয় না, প্রসাদিত হয় না, স্থিত হয় না ও প্রবর্ত্তিত হয় না। এভাবেই সেই ভিক্ষুর অবিদ্যা প্রভেদ প্রত্যাশিত হয় না।
এজগতে কোন ভিক্ষু চিত্তবিমুক্তি লাভ করে অবস্থান করে। সে অবিদ্যা প্রভেদে মনোযোগ দেয়। তার অবিদ্যা প্রভেদের প্রতি মনোযোগ থাকলে অবিদ্যা প্রভেদে চিত্ত অগ্রসর হয়, স্থিত হয় ও প্রবর্ত্তিত হয়। এভাবে সেই ভিক্ষুর অবিদ্যা প্রভেদ প্রত্যাশিত হয়। ভিক্ষুগণ, যেমন বহুবর্ষ ধরে অপরিষ্কৃত কোন এক পুষ্করিণী আছে। তাতে যেই জল প্রবেশ দ্বারাদি আছে কোন পুরুষ এসে সেগুলো খুলে দেয়, জল নির্গমন দ্বারাদি বন্ধ করে দেয় এবং বৃষ্টিদেবও যথাসময়ে বর্ষণ করে। সেজন্য সেই অপরিষ্কার পুষ্করিণীর আলিতে (বাঁধে) ফাঁটল প্রত্যাশিত হয়। ঠিক এরূপেই কোন ভিক্ষু চিত্তবিমুক্তি লাভ করে অবস্থান করে। সে অবিদ্যা প্রভেদে মনোযোগ দেয়। তার অবিদ্যা প্রভেদের প্রতি মনোযোগ থাকলে অবিদ্যা প্রভেদে তার চিত্ত অগ্রসর হয়, প্রসাদিত হয়, স্থিত হয় ও প্রবর্ত্তিত হয়। এভাবে সেই ভিক্ষুর অবিদ্যা প্রভেদ প্রত্যাশিত হয়। ভিক্ষুগণ! এই চার প্রকার পুদ্গল পৃথিবীতে বিদ্যমান।” (অষ্টম সূত্র)
৯. নিব্বানসুত্তং-নির্বাণ সূত্র
১৭৯. একসময় আয়ুষ্মান আনন্দ আয়ুষ্মান শারীপুত্রের নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে ‘হে আবুসো’ বলে সম্বোধন করলেন। আর প্রীতিপূর্ণ কুশল বিনিময় করে একপার্শ্বে উপবেশন করলেন। একপার্শ্বে উপবিষ্ট আনন্দ শারিপুত্রকে এরূপ বললেন- “আবুসো শারীপুত্র! কোন হেতু ও কোন প্রত্যয়ে কোন কোন সত্ত্ব ইহজন্মে পরিনির্বাণপ্রাপ্ত হয় না?”
“হে আবুসো আনন্দ! এজগতে সত্ত্বগণ এই পরিত্যাগভাগীয় (পরিত্যাগে সহায়ক) সংজ্ঞা যথাযথভাবে জানে না, এই স্থিতিভাগীয় সংজ্ঞা যথাযথভাবে জানে না, এই বিশেষভাগীয় সংজ্ঞা যথাযথভাবে জানে না ও এই নির্বেদভাগীয় সংজ্ঞাও যথাযথভাবে জানে না। আবুসো আনন্দ! এই হেতু ও এই প্রত্যয়ে কোন কোন সত্ত্বগণ ইহজন্মে পরিনির্বাণপ্রাপ্ত হয় না।”
“আবুসো শারীপুত্র! কোন হেতু ও কোন প্রত্যয়ে কোন কোন সত্ত্ব পরিনির্বাণপ্রাপ্ত হয়?” “আবুসো আনন্দ! এজগতে সত্ত্বগণ এই পরিত্যাগভাগীয় সংজ্ঞা যথাযথভাবে জানে, এই স্থিতিভাগীয় সংজ্ঞা যথাযথভাবে জানে, এই বিশেষভাগীয় সংজ্ঞা যথাযথভাবে জানে ও এই নির্বেদভাগীয় সংজ্ঞাও যথাযথভাবে জানে। আবুসো আনন্দ! এই হেতু ও এই প্রত্যয়ে কোন কোন সত্ত্বগণ ইহজন্মে পরিনির্বাণপ্রাপ্ত হয়।” (নবম সূত্র)
১০. মহাপদেসসুত্তং-মহাসঙ্গতি সূত্র
১৮০. একসময় ভগবান ভোগনগরে আনন্দ চৈত্যে অবস্থান করছিলেন। তথায় ভগবান ভিক্ষুগণ “হে ভিক্ষুগণ” বলে আহ্বান করলেন। সেই ভিক্ষুগণও “হ্যাঁ ভদন্ত” বলে ভগবানের আহ্বানে প্রত্যুত্তর দিলেন। তখন ভগবান এরূপ বললেন- হে ভিক্ষুগণ! আমি তোমাদেরকে চার প্রকার মহাসঙ্গতি (বা প্রমাণ) সম্পর্কে দেশনা করব, তা তোমরা মনোযোগের সাথে শ্রবণ কর; আমি ভাষণ করছি।” “ভন্তে, তাই হোক” বলে সেই ভিক্ষুগণ ভগবানের কথায় প্রতিশ্রুতি দিলেন। অতঃপর ভগবান এরূপ বললেন-
“হে ভিক্ষুগণ! চার প্রকার মহাসঙ্গতি কি কি? যথা- এজগতে কোন ভিক্ষু এরূপ বলে থাকে-‘আবুসো! আমি ভগবানের সম্মুখ হতে শ্র্রবণ করেছি এবং প্রতিগ্রহণ করেছি যে- এটি ধর্ম, এটি বিনয় ও এটিই শাস্তার শাসন’। ভিক্ষুগণ, সেই ভিক্ষুর ভাষিত কথা অভিনন্দন করাও উচিত নয় আবার প্রত্যাখ্যান করাও উচিত নয়। অভিনন্দন ও প্রত্যাখ্যান না করে সেই পদব্যঞ্জনসমূহ উত্তমরূপে শিক্ষা করে সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা উচিত, বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষা করা উচিত। সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখার সময়ে এবং বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষাকালে যদি সূত্রের সাথে না মিলে এবং বিনয়ের সাথে সাযুজ্য না হয়, তবে এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কর্তব্য যে- ‘ইহা নিশ্চয়ই সেই ভগবান অরহত সম্যক সম্বুদ্ধের বচন নয়; এটি এ’ভিক্ষুটির গৃহীত ভূল শিক্ষা।’ ভিক্ষুগণ! এটি তোমাদের পরিত্যাগ করা উচিত।
ভিক্ষুগণ! এজগতে কোন ভিক্ষু এরূপ বলে থাকে- ‘আবুসো! আমি ভগবানের সম্মুখ হতে শ্রবণ করেছি এবং প্রতিগ্রহণ করেছি যে- এটি ধর্ম, এটি বিনয় ও এটিই শাস্তার শাসন’। ভিক্ষুগণ, সেই ভিক্ষুর ভাষিত কথা অভিনন্দন করাও উচিত নয় আবার প্রত্যাখ্যান করাও উচিত নয়। অভিনন্দন ও প্রত্যাখ্যান না করে সেই পদব্যঞ্জনসমূহ উত্তমরূপে শিক্ষা করে সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা উচিত, বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষা করা উচিত। সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখার সময় এবং বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষাকালে যদি সূত্রের সাথে মিল থাকে এবং বিনয়ের সাথে সাযুজ্য হয়, তবে এরূপ সিদ্ধন্তে উপনীত হওয়া কর্তব্য যে- ‘এটি নিশ্চয়ই সেই ভগবান অরহত সম্যক সম্বুদ্ধের বচন; এটি এ’ভিক্ষুটির সুগৃহীত শিক্ষা।’ ভিক্ষুগণ! এই প্রথম মহাসঙ্গতি (বা প্রমাণ) তোমাদের ধারণ করা উচিত।
ভিক্ষুগণ! এজগতে কোন ভিক্ষু এরূপ বলে থাকে-‘অমুক নামক আবাসে বহুসংখ্যক স্থবির ও অর্হৎ ভিক্ষুসংঘ অবস্থান করছেন। আমি সেই সংঘের সম্মুখ হতে শ্রবণ করেছি এবং প্রতিগ্রহণ করেছি যে- এটি ধর্ম, এটি বিনয় ও এটিই শাস্তার শাসন। ভিক্ষুগণ, সেই ভিক্ষুর ভাষিত কথা অভিনন্দন করাও উচিত নয় আবার প্রত্যাখ্যান করাও উচিত নয়। অভিনন্দন ও প্রত্যাখ্যান না করে সেই পদব্যঞ্জনসমূহ উত্তমরূপে শিক্ষা করে সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা উচিত, বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষা করা উচিত। সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখার সময় এবং বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষাকালে যদি সূত্রের সাথে না মিলে এবং বিনয়ের সাথে সাযুজ্য না হয়, তবে এরূপ সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়া কর্তব্য যে- ‘এটি নিশ্চয়ই সেই ভগবান অরহত সম্যক সম্বুদ্ধের বচন নয়; এটি সেই সংঘের গৃহীর ভূল শিক্ষা।’ ভিক্ষুগণ! এটি তোমাদের পরিত্যাগ করা উচিত।
ভিক্ষুগণ! এজগতে কোন ভিক্ষু এরূপ বলে থাকে-‘অমুক নামক আবাসে বহুসংখ্যক স্থবির ও অর্হৎ ভিক্ষুসংঘ অবস্থান করছেন। আমি সেই সংঘের সম্মুখ হতে শ্রবণ করেছি এবং প্রতিগ্রহণ করেছি যে- এটি ধর্ম, এটি বিনয় ও এটিই শাস্তার শাসন’। ভিক্ষুগণ, সেই ভাষিত কথা অভিনন্দন করাও উচিত নয় আবার প্রত্যাখ্যান করাও উচিত নয়। অভিনন্দন ও প্রত্যাখ্যান না করে সেই পদব্যঞ্জনসমূহ উত্তমরূপে শিক্ষা করে সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা উচিত, বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষা করা উচিত। সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখার সময় এবং বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষাকালে যদি সূত্রের সাথে মিল থাকে এবং বিনয়ের সাথে সাযুজ্য হয়, তবে এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া উচিত যে, ‘এটি নিশ্চয়ই সেই ভগবান অরহত সম্যক সম্বুদ্ধের বচন; এটি সেই সংঘের সুগৃহীত শিক্ষা।’ ভিক্ষুগণ! এই দ্বিতীয় মহাসঙ্গতি (বা প্রমাণ) তোমাদের ধারণ করা উচিত।
ভিক্ষুগণ! এজগতে কোন ভিক্ষু এরূপ বলে থাকে- ‘অমুক নামক আবাসে বহুসংখ্যক স্থবির ভিক্ষু অবস্থান করছেন, যারা বহুশ্রুত, ধর্মধর, বিনয়ধর ও মাতিকাধর। আমি সেই স্থবিরগণের সম্মুখ হতে শ্রবণ করেছি এবং প্রতিগ্রহণ করেছি যে- এটি ধর্ম, এটি বিনয় ও এটিই শাস্তার শাসন’। ভিক্ষুগণ, সেই ভিক্ষুর ভাষিত কথা অভিনন্দন করাও উচিত নয় আবার প্রত্যাখ্যান করাও উচিত নয়। অভিনন্দন ও প্রত্যাখ্যান না করে সেই পদব্যঞ্জনসমূহ উত্তমরূপে শিক্ষা করে সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা উচিত, বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষা করা উচিত। সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখার সময় এবং বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষাকালে যদি সূত্রের সাথে না মিলে এবং বিনয়ের সাথে সাযুজ্য না হয়, তবে এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কর্তব্য যে- ‘এটি নিশ্চয়ই সেই ভগবান অরহত সম্যক সম্বুদ্ধের বচন নয়; এটি সেই স্থবিরগণের গৃহীত ভূল শিক্ষা’। ভিক্ষুগণ! এটি তোমাদের পরিত্যাগ করা উচিত।
ভিক্ষুগণ! এজগতে কোন ভিক্ষু এরূপ বলে থাকে- ‘অমুক নামক আবাসে বহুসংখ্যক স্থবির ভিক্ষু অবস্থান করছেন, যারা বহুশ্রুত, ধর্মধর, বিনয়ধর ও মাতিকাধর। আমি সেই স্থবিরগণের সম্মুখ হতে শ্রবণ করেছি এবং প্রতিগ্রহণ করেছি যে- এটি ধর্ম, এটি বিনয় ও এটিই শাস্তার শাসন’। ভিক্ষুগণ, সেই ভিক্ষুর ভাষিত কথা অভিনন্দন করাও উচিত নয়, আবার প্রত্যাখ্যান করাও উচিত নয়। অভিনন্দন ও প্রত্যাখ্যান না করে সেই পদব্যঞ্জনসমূহ উত্তমরূপে শিক্ষা করে সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা উচিত, বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষা করা উচিত। সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখার সময় এবং বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষাকালে যদি সূত্রের সাথে না মিলে এবং বিনয়ের সাথে সাযুজ্য না হয়, তবে এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কর্তব্য যে- ‘এটি নিশ্চয়ই সেই ভগবান অরহত সম্যক সম্বুদ্ধের বচন; এটি স্থবিরগণের সুগৃহীত শিক্ষা।’ ভিক্ষুগণ! এই তৃতীয় মহাসঙ্গতি (বা প্রমাণ) তোমাদের ধারণ করা উচিত।
ভিক্ষুগণ! এক্ষেত্রে কোন ভিক্ষু এরূপ বলে থাকে- ‘অমুক নামক আবাসে একজন স্থবির ভিক্ষু অবস্থান করছেন, যারা বহুশ্রুত, ধর্মধর, বিনয়ধর ও মাতিকাধর। আমি সেই স্থবিরের সম্মুখ হতে শ্রবণ করেছি এবং প্রতিগ্রহণ করেছি যে- এটি ধর্ম, এটি বিনয় ও এটিই শাস্তার শাসন’। ভিক্ষুগণ, সেই ভিক্ষুর ভাষিত কথা অভিনন্দন করাও উচিত নয় আবার প্রত্যাখ্যান করাও উচিত নয়। অভিনন্দনও না করে সেই পদব্যঞ্জনসমূহ উত্তমরূপে শিক্ষা করে সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা উচিত, বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষা করা উচিত। সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখার সময় এবং বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষাকালে যদি সূত্রের সাথে না মিলে এবং বিনয়ের সাথে সাযুজ্য না হয়, তবে এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কর্তব্য যে- ‘এটি নিশ্চয়ই সেই ভগবান অরহত সম্যক সম্বুদ্ধের বচন নয়; এটি স্থবিরের গৃহীত ভূল শিক্ষা।’ ভিক্ষুগণ! ইহা তোমাদের পরিত্যাগ করা উচিত।
ভিক্ষুগণ! এক্ষেত্রে কোন ভিক্ষু এরূপ বলে থাকে- ‘অমুক নামক আবাসে একজন স্থবির ভিক্ষু অবস্থান করছেন, যিনি বহুশ্রুত, ধর্মধর, বিনয়ধর ও মাতিকাধর। ইহা আমি সেই স্থবিরের সম্মুখ হতে শ্রবণ করেছি এবং প্রতিগ্রহণ করেছি যে- এটি ধর্ম, এটি বিনয় ও এটিই শাস্তার শাসন’। ভিক্ষুগণ, সেই ভিক্ষুর ভাষিত কথা অভিনন্দন করাও উচিত নয় আবার প্রত্যাখ্যান করাও উচিত নয়। অভিনন্দন ও প্রত্যাখ্যান না করে সেই পদব্যঞ্জনসমূহ উত্তমরূপে শিক্ষা করে সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা উচিত, বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষা করা উচিত। সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখার সময় এবং বিনয়ের সাথে পরস্পরের সম্বন্ধ পরীক্ষাকালে যদি সূত্রের সাথে না মিলে এবং বিনয়ের সাথে সাযুজ্য না হয়, তবে এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কর্তব্য যে- ‘এটি নিশ্চয়ই সেই ভগবান অরহত সম্যক সম্বুদ্ধের বচন; এটি স্থবিরের সুগৃহীত শিক্ষা।’ ভিক্ষুগণ! এই চতুর্থ মহাসঙ্গতি (বা প্রমাণ) তোমাদের ধারণ করা উচিত। ভিক্ষুগণ! এই চার প্রকার মহাসঙ্গতি।” (দশম সূত্র)
সঞ্চেতনীয় বর্গ সমাপ্ত।
স্মারকগাথা ঃ
চেতনা, বিভাগ, কোট্িঠক, আনন্দ আর পঞ্চমে উপবাণ;
প্রার্থনা, রাহুল, অপরিষ্কার পুষ্কারিণী, মহাসঙ্গতি ও নির্বাণ।