ব্রেকিং নিউজ

প্রবন্ধ ও নিবন্ধ

অরহত উপগুপ্তের যৌবনে পদার্পণ ও বহুশ্রুত জ্ঞানের অধিকারী কিভাবে হলেন?

  ইলা মুৎসুদ্দী ছোট শিশু শ্রীমান উপগুপ্তের বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জ্ঞানও তদ্রুপ বেড়ে চলছে। নির্ভেজাল বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি পিতা-মাতার অচলা শ্রদ্ধা ও অটল বিশ্বাস শ্রীমান উপগুপ্তের মধ্যেও তা’ বিকাশ লাভ করল, পুণ্য-সংস্কারের প্রবল আকর্ষণে। বয়ঃপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই সুগঠিত হতে লাগল পুণ্য-লক্ষণ লাঞ্ছিত তাঁর অঙ্গ-সৌষ্ঠব। স্নেহ ও কারুণ্যে ভরা হাস্যেদ্দীপ্ত …

বিস্তারিত »

বাসবদত্তার সম্যক্জ্ঞান উদয় কিভাবে হলো? (পর্ব ৩)

ইলা মুৎসুদ্দী শ্রীমান উপগুপ্তের অমৃতময় উপদেশ-বাণীর প্রত্যেক বাক্যই বাসবদত্তার কর্ণে প্রবেশ করলো। কায়গতানুস্মৃতির সমস্ত বিষয়ই সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবির ন্যায় ওর জ্ঞান-দর্পণে প্রতিভাত হলো। ঘৃণিত, নশ্বর ও দুঃখময় দেহের প্রতি উৎপন্ন হলো তীব্র বিরাগ। শান্তি লাভের জন্য শ্রদ্ধান্বিত হয়ে প্রথমে তিনবার “নমো তস্স ভগবতো অরহতো সম্মা সম্বুদ্ধস্স” বলে শরণাগত হলো বাসবদত্তা। বহুশ্রুত …

বিস্তারিত »

বাসবদত্তাকে উপগুপ্তের উপদেশ প্রদান (পর্ব ২)

ইলা মুৎসুদ্দী মানুষের মন যখন বাহ্য-দৃষ্টিতে রূপজ মোহে অন্ধ হয়ে যায়, তখন মন আর কিছু দেখতে পায় না। হৃদয় ভাল-মন্দ উপলব্ধি করতে পারে না। মোহের তাড়নায় তখন মন এতো চঞ্চল হয়ে উঠে যে, জগতে একাকার অন্ধকার ছাড়া আর অন্যকিছু দেখতে পায় না। রক্তক্ষরণে দুর্বল বাসবদত্তা থেমে থেমে বলে অনুশোচনার করুণ …

বিস্তারিত »

গৃহী উপগুপ্ত ও বাসবদত্তা (পর্ব-১)

ইলা মুৎসুদ্দী শ্রীমান উপগুপ্তের ব্যবসার উন্নতি এবং সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল তাঁর বিক্রয় লব্ধ দ্রব্যের গুণাগুণের কথা আর তাঁর সুসংযত অমায়িক ভদ্রব্যবহার ও শীলগুণের কথা। সেই সময়ে নগরীতে রূপের পশরা খুলে জাঁকিয়ে বসেছিলো বাসবদত্তা নাম্নী এক যুবতী গণিকা। সে ছিলো প্রায় ধনাঢ্য বণিকদের মানস-প্রিয়া ও অনুগ্রহিতা। পূর্ণ-যৌবনা বাসবদত্তা কলাকৌশলে, গণিকা …

বিস্তারিত »

সম্যকদৃষ্টি কাকে বলে; কিসে আর্যশ্রাবক সম্যকদৃষ্টিসম্পন্ন হন?

ইলা মুৎসুদ্দী এক সময় ভগবান শ্রাবস্তীর নিকটে জেতবনে অনাথপিণ্ডিকের বিহারে অবস্থান করছিলেন। সে সময়ে একদিন আয়ুষ্মান সারিপুত্র সমবেত ভিক্ষুগণকে আহ্বান করে বললেন, বন্ধুগণ!। ভিক্ষুরা প্রত্যুত্তরে হ্যাঁ ভন্তে বলে সাড়া দিলেন। আয়ুষ্মান সারিপুত্র বললেন’ বন্ধুগণ! এই যে লোকে সম্যকদৃষ্টি , সম্যকদৃষ্টি বলে; কিসে আর্যশ্রাবক সম্যকদৃষ্টিসম্পন্ন হন? কিসে তাঁর দৃষ্টি ঋজু হয়? …

বিস্তারিত »

বুদ্ধের পিতা রাজা শুদ্ধোধন কখন কিভাবে ধর্মচক্ষু লাভ করেছিলেন?

ইলা মুৎসুদ্দী বুদ্ধ পরদিন প্রত্যুষ সময়ে গাত্রোত্থান করিয়া কি উপায়ে অদ্য ভোজন সমাধান করিবেন চিন্তা করিয়া “অদ্য পূর্ববুদ্ধগণের প্রতিপদা* আচরণ করাই সর্বোত্তম হইবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলেন। তাঁহার মনে হইল -পূর্ব পূর্ব বুদ্ধগণ নিমন্ত্রণ ব্যতীত জনগণের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাচরণ করিয়া জীবন ধারণ করিয়াছিলেন। বিনা নিমন্ত্রণে কাহারো গৃহে ভোজন করেন নাই। বুদ্ধ …

বিস্তারিত »

বুদ্ধের কপিলাবস্তু আগমন পরবর্তী জ্ঞাতিগণের অভিমান চূর্ণ করার প্রয়াসে কি করেছিলেন?

ইলা মুৎসুদ্দী তথাগত বুদ্ধ সশিষ্য প্রত্যহ এক যোজন পথ অতিক্রম করিয়া দুই মাসের শেষে কপিলাবস্তু নগরে উপনীত হইলেন। তখন আত্মীয়গণ ও শাক্যবংশীয় রাজাগণ পরামর্শ করিয়া বিশ সহস্র ভিক্ষুসহ বুদ্ধের বসবাসের উপযোগী করিয়া শাক্যবংশীয় নিগ্রোধ শাক্যের রাজকীয় উদ্যানের মধ্যবর্তীস্থলে রমনীয় স্থানে উপযুক্ত বিহার প্রতিষ্ঠা করিয়া বুদ্ধকে দান করিলেন। বুদ্ধ তাঁহার বিশ …

বিস্তারিত »

গৃহী সমাজের শ্রদ্ধা উৎপাদনে সমর্থবান শিষ্যদের মধ্যে স্থবির কালুদায়ীই সর্বশ্রেষ্ঠ —– তথাগত কেন বলিয়াছিলেন? (পর্ব ২)

  ইলা মুৎসুদ্দী   তখন শাস্তা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন “উদায়ী, তুমি এত মধুর স্বরে আমাকে স্বগ্রামে যাইতে উৎসাহ প্রদান করিতেছ কেন?” উদায়ী সবিনয়ে বরিলেন, “ভন্তে, আপনার বৃদ্ধ পিতা মহারাজ শুদ্ধোধন আপনাকে দর্শন করিতে একান্ত অভিলাষী। আপনি তাঁহাকে একবার দর্শন দান করিয়া জ্ঞাতি কর্তব্য সম্পদন করুন।” উদায়ীর অনুরোধে সম্মত হইয়া শাস্তা …

বিস্তারিত »

বুদ্ধের কপিলাবস্তু আগমন ঘটেছিল কার কারণে? তিনি কোন্ জন যিনি বুদ্ধকে আমন্ত্রণ করতে পেরেছিলেন রাজা শুদ্ধোধন কর্তৃক প্রেরিত হয়ে? (পর্ব ১)

ইলা মুৎসুদ্দী   বুদ্ধ রাজগৃহ বেনুবন উদ্যানে শ্রাবক সংঘ সহ অবস্থান করিতেছেন এই সংবাদ রাজা শুদ্ধোধন শ্রবণ করিলেন। তখন বুদ্ধকে কপিলাবস্তু নগরে আনয়নের জন্য একজন অমাত্যকে আহ্বান করিয়া বলিলেন “হে প্রিয় অমাত্য, তুমি এক সহস্র পরিষদসহ রাজগৃহ নগরে গমন করিয়া আমার পুত্র বুদ্ধকে নিমন্ত্রণ করিয়া কপিলাবস্তু নগরে আনয়ন কর। তাহাকে …

বিস্তারিত »

তিনি কে যাঁর পরিনির্বাণের সময় সমস্ত হিমালয়ও অশ্রু স্নাত হয়েছিল?

ইলা মুৎসুদ্দী   ঞাণ কৌন্ডিণ্যের জ্ঞান লাভের পশ্চাতে আয়ুষ্মান বপ্প, আয়ুষ্মান ভদ্দিয়, আয়ুষ্মান মহানাম এবং আয়ুষ্মান অশ্বজিত ধর্মচক্ষু লাভ করেন। এই ধর্মচক্ষুর অর্থ হলো যা কিছু সমুদয় ধর্ম তা নিরোধ শীল, এতে কারো অধিকার নেই। এরূপ যথাযথ রূপে জ্ঞাত হওয়া।  ধর্মচক্ষু প্রাপ্তির পর ঞাণ কৌন্ডিণ্য ভগবানের নিকট উপসম্পদা প্রার্থনা করেন। …

বিস্তারিত »
Translate »