ব্রেকিং নিউজ

ela mutsuddi

মুক্তিযুদ্ধে বৌদ্ধ সমাজের কতটুকু ক্ষতি হয়েছিল?

  ইলা মুৎসুদ্দী   আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। আজ জানব মুক্তিযুদ্ধে বৌদ্ধ সমাজের কতটুকু ক্ষতি হয়েছিল? দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপী যুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে পাক-বাহিনী কর্তৃক বৌদ্ধদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব না হলেও মাহবুবু উল আলম রচিত ‘বাংগালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত’ বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে —–‘ঢাকায় ৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ সালে নিখিল ভারত …

বিস্তারিত »

কিসে মঙ্গল হয়- ‘দর্শনে, শ্রবণে না ঘ্রাণে?’

এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তথাগত মহাকারুণিক ‘মহামঙ্গল সূত্র’ দেশনা করেন। তারি ধারাবাহিকতায়  পড়ুন ইলা মুৎসুদ্দী ভগবান তথাগত পরম সম্বোধি লাভ করে শ্রাবস্তীর জেতবনে শ্রেষ্ঠী অনাথপিণ্ডিক নির্মিত মহাবিহারে সশিষ্য অবস্থান করছিলেন। তখন কতিপয় মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছিল-কিসে মঙ্গল হয়- ‘দর্শনে, শ্রবণে না ঘ্রাণে?’ তন্মধ্যে দৃষ্টমাঙ্গলিকগণ বললেন- ‘দর্শনে মঙ্গল’। যদি প্রভাতে …

বিস্তারিত »

☸★•°•‍‌‌~ ঋদ্ধিমান মোদ্গল্যায়ন স্থবিরের পরিনির্বাণ ~•°•★☸

  ইলা মুৎসুদ্দী ✍ আজ অগ্রহায়ন পুর্ণিমা। বুদ্ধের পরিভাষায় কর্মবিপাক অখন্ডনীয়। অগ্রহায়ন মাসের অমাবস্যায় পরিনির্বাপিত হয়েছিলেন মহাঋদ্ধিমান অগ্রশ্রাবক মৌদ্গল্যায়ন স্থবির। ঋদ্ধিমান মৌদ্গল্যায়ন স্থবির দেবলোক ব্রক্ষ্মলোক যাঁর নখদর্পনে সেই ঋদ্ধিশ্রেষ্ঠ স্থবির পরিনির্বাণ লাভ করেছেন অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যায় বেণুবন উদ্যানে। একদিন তথাগত বুদ্ধ ধর্মদেশনা শেষ করার পরে মৌদ্গল্যায়ন স্থবির তথাগতের চরণ বন্দনা …

বিস্তারিত »

পূর্বজন্মের কুবাক্যের কুফল কিভাবে অনুসরণ করেছিল?

পূর্বজন্মের কুবাক্যের কুফল কিভাবে অনুসরণ করেছিল? ইলা মুৎসুদ্দী কাশ্যপ বুদ্ধের আবির্ভাবকালে এই ভিক্ষুণী সম্ভ্রান্ত বংশে জন্মগ্রহণ করিয়া আধ্যাত্মিক জ্ঞান  লাভের ফলে ভিক্ষুণী-ব্রত গ্রহণ করিয়া শীল পালনে তৎপর হন। কিন্তু অপেক্ষাকৃত বয়োবৃদ্ধ অর্হত্ত্ব প্রাপ্ত এক ভিক্ষুণীকে বেশ্যা নামে অভিহিত করার পাপে নিতি নরকে গমন করেন। গৌতম বুদ্ধের সময়ে তিনি কাশীতে একজন …

বিস্তারিত »

পদুমুত্তর বুদ্ধের ভবিষ্যতবাণী শুনে সীবলী মহাস্থবির কি করেছিলেন?

পদুমুত্তর বুদ্ধের ভবিষ্যতবাণী শুনে সীবলী মহাস্থবির কি করেছিলেন? ইলা মুৎসুদ্দী সর্বজ্ঞ জ্ঞানে বিমণ্ডিত ভুবন-মোহন পদুমুত্তর বুদ্ধের মুখনিঃসৃত অপূর্ব ভবিষ্যৎ-বাণী শ্রবণে শ্রেষ্ঠীপুত্রের অন্তরে অফুরন্ত আনন্দ-হিলে¬াল প্রবাহিত হলো। ক্ষণে ক্ষণে জাগ্লো পুলক্-শিহরণ। হৃদয়-তন্ত্রীতে ঝংকৃত হলো সান্ত¡নাময়ী আশার বাণী। প্রীতিরুচ্ছ্বাসে বলে উঠ্লেন তিনিÑ “অদ্বিতীয়, অদ্বিতীয়-বাক্য বুদ্ধের। একান্ত-সত্য সুগত-ভাষিত অমোঘ-বাণী। আকাশে ক্ষিপ্ত ঢিলের যেমন …

বিস্তারিত »

মূর্খসঙ্গ মার্গফল লাভের উপনিশ্রয় সম্পত্তিও ধ্বংস করতে পারে

ইলা মুৎসুদ্দী উপরাজকালে কুমার অজাতশত্রু দেবদত্তের ঋদ্ধিবলে বশীভূত হয়ে তাঁর প্রতি অত্যন্ত ভক্তিপরায়ণ হন। তিনি প্রতিদিন পাঁচশত ভিক্ষুর খাদ্য দেবদত্তের নিকট পাঠাতেন এবং সকাল বিকাল তার সেবার জন্য গমন করতেন। দেবদত্ত যখন বুঝতে পারেন যে কুমার সম্পূর্ণ তাঁর বশে এসেছেন তিনি একদিন কুমারকে বলেন-পূর্বে মানুষেরা দীর্ঘায়ুসম্পন্ন ছিল, এখন কিন্তু মানুষের …

বিস্তারিত »

পদুমুত্তর বুদ্ধ কি ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন?

ইলা মুৎসুদ্দী সামন্তচক্ষু  বুদ্ধ  ভবিষ্যৎ বাণী প্রকাশ করে বল্লেন “হে আমার প্রিয় শিষ্য মণ্ডলী, যে ব্যক্তি সপ্তাহ-কাল যাবৎ আমাদেরকে মহাদান দিয়েছে, তার দানের সফলতা ও লাভী শ্রেষ্ঠত্বপদ প্রার্থনা পরিপূর্ণ হবে দেখে আমি ঈষৎ হেসেছি। এখন আমি তাঁর দানের ফল বর্ণনা করবো তোমরা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর। জগতের মহাঋদ্ধি সম্পন্ন দেবগণও …

বিস্তারিত »

উপগুপ্ত ভান্তের ধর্ম প্রচার, আয়ু সংস্কার বৃদ্ধি ও নাগরাজের আমন্ত্রণ (ফাং) গ্রহণ

   ইলা মুৎসুদ্দী পূজনীয় উপগুপ্ত ভিক্ষু অর্হত্বফল সাক্ষাৎ করে সে সঞ্জীবনী জ্ঞান-সুধা পাত্র হাতে নিয়ে ছুটে গেলেন মুমূক্ষূ মানুষের দ্বারপ্রান্তে। তাঁর ছিল মৈত্রী মন্ত্রের আকর্ষণীয় শক্তি। শ্রীমুখ হতে সর্বদা নিঃসৃত হতো ঝর্না ধারার মতো সত্য-সুন্দর নৈর্বাণিক-ধর্মের অনুপম অমৃতময় মধুর বাণী। আর সেই ধর্মামৃতের সম্মোহনী বাণীর দ্বারা ভক্তবৃন্দের মন হয়ে উঠত …

বিস্তারিত »

উপগুপ্তের প্রব্রজ্যা ও অর্হত্ত্বফল লাভ এর ঘটনা কিরকম ছিলো?

  ইলা মুৎসুদ্দী শ্রীমান উপগুপ্ত জীবনের প্রথম লগ্ন হতেই শীলবারি ধারায় ধৌত করেছেন নিজ চিত্ত জগতকে। যা’ পরবর্তী কালে পরিণতি লাভ করলো বৈরাগ্য ধর্মে। তিনি ভাবলেন “তৃষ্ণাই’তো দুঃখের জননী। একমাত্র বিরাগই দুঃখ নিবৃত্তির উপায়। এরই আশ্রয় নিতে হবে আমাকে। শুধু অপরকে উপদেশ দিয়ে কী হবে? আত্মজয়ে হতে হবে প্রমুক্ত; সঞ্জীবিত …

বিস্তারিত »

অরহত উপগুপ্তের যৌবনে পদার্পণ ও বহুশ্রুত জ্ঞানের অধিকারী কিভাবে হলেন?

  ইলা মুৎসুদ্দী ছোট শিশু শ্রীমান উপগুপ্তের বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জ্ঞানও তদ্রুপ বেড়ে চলছে। নির্ভেজাল বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি পিতা-মাতার অচলা শ্রদ্ধা ও অটল বিশ্বাস শ্রীমান উপগুপ্তের মধ্যেও তা’ বিকাশ লাভ করল, পুণ্য-সংস্কারের প্রবল আকর্ষণে। বয়ঃপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই সুগঠিত হতে লাগল পুণ্য-লক্ষণ লাঞ্ছিত তাঁর অঙ্গ-সৌষ্ঠব। স্নেহ ও কারুণ্যে ভরা হাস্যেদ্দীপ্ত …

বিস্তারিত »
Translate »